শৈশবের গল্প
আজ শৈশবের দিকে তাকালাম। হঠাৎ একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। তাই প্রিয় বন্ধুদের স্েঙগ শেয়ার করার তর সইছিল না। তাই লিখে ফেললাম।
--------------------------------------------------------------------------------------------------
বয়স সাত কিংবা আট হবে।
আমি বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছি। আমার বোন মাওইকে সঙ্গে নিয়ে কুটমবাড়ি যাবেন।
বেশ কিছুদিন ধরে বোনের বাড়ি থেকে একিঘেয়েমি লেগে গিয়েছিল। অন্য কুটুমবাড়ি যাবার কথা শুনে মনটা ভরে উঠৈছিল।
কিন্তু যা ঘটল তা নিতান্তই ওই বয়সের জন্য দুঃখজনক।
আমার পন্চ স্যান্ডেল জোড়া ছিড়ে গেল এবং ভেঙে গেল। মেরামত করতে পারলাম না।
দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। কিভাবে কুটুমবাড়ি যাব?
বিষয়টা নিয়ে রীতিমত ভাবনায় পড়ে গেলাম। বোনকে বললাম।
বোন যা বললো তা হচ্ছে ছোট মানুষ খালি পায়ে গেলেও সমস্যা নাই।
(উল্লেখ্য আমার দুলাভাইয়ের অবস্থােএকদমই ভাল ছিল না। তাই একজোড়া পন্চ কেনাটাও তাদের জন্য এখন ভাবি খুব কষ্টেরই ছিল। নইলে আমার দুলাভাই য়হয়তোিএকজোড়া স্যান্ডেল কিনেই দিতেন। )
অতঃপর যখন আমরা কুটুমবাড়ি যাবার জন্য রওনা দেবো।
তখন বোনকে বল্লাম। ছেড়া স্যান্ডেলই নিয়ে যাবো।
বোন বললো,কেন?
আমি বল্লাম, যদি খালি পায়ে যাই তবে সবাই ভাববে আমার কোন স্যান্ডেলই নাই। তাই নিয়ে গেলে ভাল হবে না। সবাই ভাববে আমার স্যান্ডেল পথিমধ্যে ছিড়ে গেছে।
বোন শুনে বেশ হাসলো। স্েঙগ আমার মাওইও বটে। তবে একটু লজ্জা পেলেও সবাই পরে আমাকে বুদ্ধিমান বলেছিল। আমি বেশ খুশি হয়েছিলাম। আর ভেবেছিলাম আমি বুঝি বড় হচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।