আমার শৈশব কেটেছে খুব আনন্দে, তখন মনে হত এত শাসন কেন ? এখন বুঝি কতটা মমতা জড়িয়ে ছিল এ শাসনের পিছনে। আমার বাবা হচ্ছেন খুব অদ্ভুত মানুষ, তাঁর আদর আমরা তখন বুঝতে পারি নাই শুধু শাসন চোখে পড়েছিল। তিনি আমাদের শৈশব আনন্দে ভরিয়ে দিয়েছিলেন তবে একটু অন্যভাবে।
আমার মা বাবা আমাদের জন্য সব সময় এডভেঞ্চার এর ব্যবস্থা করে রাখতেন।
আমরা ৪ ভাই বোনের জন্ম মরুভূমির দেশে তাই স্বাভাবিক ভাবে ঘর ছিল শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, এর জন্য প্রত্যেক রুমের মাঝে ছিল ছোট জানালার মত এবং তা ছিল হাতের নাগালের উপরে।
উনারা ওখানের কোনটায় রেখে দিতেন মজার কোন বিস্কুট, কোনটায় মজার চকলেট! খেতে ইচ্ছা হল নিয়ে বা চেয়ে খাব সে উপায় ছিল না। আমাদের অনেক কসরত করে এটা সেটা টেনে এনে উপর থেকে নামাতে হত।
আরেকটা মজার জিনিষ ছিল যা খুব মনে পড়ে তা হল খেজুরের পুরো একটা ডাল ঝুলিয়ে দিতেন। আমরা বিছানায় উঠে লাফ দিয়ে খেজুর নেবার ব্যর্থ চেষ্টা করতাম। কয়েক লাফে একটা খেজুর নিতে পারতাম।
এমন করে কত কিছু থাকত আমাদের জন্য। একেকবার অনেক চিপস আনতে দেখতাম যা পরে আর একসাথে দেখতে পেতাম না, লুকিয়ে রাখতেন। আর আমরা খুব বুদ্ধি খাটিয়ে বের করে ফেলতাম কিন্তু কোন বাহবা পেতাম না।
একবার কিছু আইসক্রীম নিয়ে এলেন বাবা, দেখতে টেনিস বলের মত। কিন্তু উনি এর সাথে কিছু বল মিশিয়ে আনলেন, এনেই বললেন ধর তোমাদের জন্য আইসক্রীম আর বল।
আমরা নিয়েই গাধার মত ছুড়ে মারলাম কোনটা বল আর কোনটা আইসক্রীম বের করার জন্য। টেম্পরেচার দেখার কথা মনেই আসে নাই। ফলাফল আইসক্রীম বের হয়ে সারা ঘর আর আমাদের বড় দুইজনের ঘর মোছা।
দেশ থেকে বাংলা পাঠ্য বই যেত যা আমাদের কাছে ছিল ছড়া আর গল্পের বই। শ্লেট ছিল এর মাঝে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ আমাদের জন্য! সুন্দর করে আমরা এতে আমাদের শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলতাম...
ফুল ফুটুক বা নাই ফুটুক বসন্ত আসবেই তেমন করে আমি লিখবই কারণ আমার লিখতে ভাল লাগছে !!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।