আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পর্যটনের অপার সম্ভাবনা সন্দ্বীপে

যে যায় লংকায়, সে হয় রাবন প্রকৃতির অপরূপ মায়াবীর চাদরে ঢাকা সবুজ, শ্যামল, মনোমুগ্ধকর, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সমারোহে ভরপুর দ্বীপের রানী-খ্যাত সন্দ্বীপ। নানা জাতের পাখি, মাছ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত এ দ্বীপ। নারকেল, সুপারি, আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, আনারসসহ মৌসুমি ফলের গাছে ভরা সন্দ্বীপের প্রতিটি বাড়ির বাগান আর পতিত জায়গাজমি। গাছের ডালভর্তি প্রকৃতির অপার দান পাকা ফল। পুকুরভর্তি মাছ।

কারুকার্যে খচিত নয়নাভিরাম বাড়িঘর, সুদৃশ্য শানবাঁধানো ঘাট। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এলাকাজুড়ে জারি গান, কবিয়াল গান আর মারফতি গানের আয়োজন। হাটবাজারগুলোতে আছে কুস্তি প্রতিযোগিতা। আরণ্যক সৌন্দর্যের টানে বহুকাল ধরে সৌন্দর্যপ্রেমী প্রভাবশালী পর্যটকদের আগমন ঘটেছিল।

একসময় পীর-আউলিয়া এবং রাজা-মহারাজাদের স্বর্গরাজ্য ছিল এই দ্বীপ। এখনও সমন্বিত পরিকল্পনা আর সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে সন্দ্বীপকে গড়ে তোলা যায় দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে। সৌন্দর্যের যাবতীয় আয়োজন রয়েছে এই দ্বীপে। নদী আর সাগরের জল আছড়ে পড়ে দ্বীপের চারপাশে। নদী কিংবা সাগরের পানিতে সকাল-বিকাল সূর্যের আলো অপরূপ সৌন্দর্য সৃষ্টি করে।

নদীতটের চিকচিক বালিতে সূর্যের আলো তৈরি করে মোহনীয় পরিবেশ। স্বর্ণালি স্বপ্নের মতোই অপরূপ এ দ্বীপ বর্ণিল শোভায় ঘেরা। এলাকাজুড়ে ছোট ছোট নৌকা চলছে বড় বড় ঢেউয়ের তালে। জাল ফেলে রাতদিন মাছ ধরছে জেলেরা। সাগর আর নদীর তীরে ভেসে বেড়ায় অসংখ্য পাখি।

তাদের কিচিরমিচির শব্দে সন্ধ্যার পরিবেশ হয়ে ওঠে সত্যিই দারুণ উপভোগ্য। দেখা যায়, সমুদ্রগামী জেলেদের জীবনসংগ্রাম। সন্দ্বীপকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো যথেষ্ট প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে সন্দ্বীপে। অপার সম্ভাবনাময় সন্দ্বীপের সমুদ্রসৈকত সম্পূর্ণটাই যেন একটি পর্যটন কেন্দ্র।

এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো গেলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমনে মুখর হয়ে উঠতে পারে সন্দ্বীপ। এখানকার অফুরন্ত প্রাকৃতিক শোভার কোনো তুলনা নেই। পর্যটনের সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে একদিন সন্দ্বীপ বিশ্বসেরা পর্যটন নগরীগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে। এতে ভাগ্য বদলে যেতে পারে এলাকার মানুষের। চট্টগ্রাম থেকে খুব সহজেই সন্দ্বীপ যাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম সদরঘাট থেকে একাধিক স্টিমার নিয়মিত সন্দ্বীপে চলাচল করে। সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, বাড়বকুণ্ড, ফকিরহাট অথবা কুমিরা থেকে প্রতিদিন অনেক লঞ্চ, স্পিডবোট সন্দ্বীপে যাতায়াত করে। স্টিমারে চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা লাগলেও লঞ্চে যাওয়া যায় মাত্র এক ঘণ্টায়। স্পিডবোটে লাগে মাত্র দশ থেকে পনেরো মিনিট। বছরের ঝুঁকিপূর্ণ ঝড়ঝঞ্ঝার দিনগুলো বাদে বিশেষ করে শীত-হেমন্তে সন্দ্বীপে ভ্রমণ বেশ জমে ওঠে।

এখানে গাড়ির ধোঁয়া নেই, ধুলাবালির আধিক্য নেই, শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী গাড়ির হর্ন নেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.