আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুদ্ধতম পরকীয়া (উপন্যাসিকা)

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

শুদ্ধতম পরকীয়া (উপন্যাসিকা) (পূর্ব প্রকাশনার পর ) এক / (তৃতীয় অংশ ) ষ্টপেজ এসে গেছে, আমাকে নামতে হবে । সামনেই মেয়েদের আলাদা সীট । এও এক ধরনের তামাশা, উওম্যান লিব এর যুগেও ।

নারীরা সমানাধিকার চাইবে, আবার পাশাপাশি তাদের জন্যে আলাদা সুযোগ সুবিধার দাবীও জানাবে । এটা যে পরস্পর বিরোধী, এ বোধটুকুও হয়তো তাদের নেই । এই ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে গিয়ে তারা নিজেরাই যে অজান্তে নিজেদের পুরুষের নীচে নামিয়ে আনছে, নিজেদের অপমানিত করছে এটা কি তারা বোঝে ? এখানে পুরুষ তার প্রতিযোগী নয়, অজান্তে নারী নিজেই নিজেদের প্রতিযোগী । এরা না বুঝুক, আমার ক্ষতি কিম্বা কোনও লাভ নেই । আমার এখন এদেরকে ঘৃনা করার দিন ।

এই একটা বাজে অভ্যেস হয়েছে আমার, সারাটা পথের অনেকটা সময় আমি এদের খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি । কিঁছু একটা খুঁজি হয়তো । শীলার যে ছবিটি আমার কাছে আছে সেই আদলের কাউকে কি আমি খুঁজছি মানুষের ভীড়ে ! একটা দুরাগত আশা, সুউচ্চ আকাশের অসীম থেকে ডানা ঝাপটে পাখীর মতো একটি ছবির মুখ নেমে আসবে একদিন আমারি চোখের অলিন্দে । দু’হাতে সে মুখখানি তুলে, চোখে চোখ রেখে বলবো, এতোদিন কোথায় ছিলে ! আমার বেলা শেষের কুড়িয়ে পাওয়া একটি নীল মুক্তো যেন । কোথায় লুকোবো তাকে, কোনখানে ।

লোকে বলে নীলা নাকি কারো সয় কারো সয়না । আমার সইবে তো । নামতে হলে মেয়েদের পাশ দিয়েই আমাকে যেতে হবে । যেতে যেতে আমি একবার ঘৃনার দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকাতে চেষ্টা করলাম । এক একটি আপাত নিষ্পাপ মূখ ।

এইসব মুখের আড়ালে কিম্বা মনের ভেতরে কি নষ্ট চাঁদের মতো কলঙ্ক লুকিয়ে আছে ? আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা । এক একজনের এক এক সাজ । মানুষের সাজগোছের বহর থাকে । যা থেকে তাকে চেনা যায় । বোঝা যায় তার রুচি ।

মুখে কি কিছু লেখা থাকে ? শীলা আমাকে “বুদ্ধু” বলতো । আমি কি সত্যিসত্যিই বুদ্ধু হয়ে গেছি ! আমি কেন বুঝে উঠতে পারছিনা ? ঘৃনা এলোনা আমার । একজন শীলার জন্যে আমি তাবৎ মেয়েদের কে ঘৃনা করতে পারিনা । কিন্তু আমি যে শিখতে চাইছি, কি করে ঘৃনা করতে হয় ! শীলা আমাকে লিখেছিলো, “ ক্যারী অ্যা হার্ট দ্যাট নেভার হেটস্, ক্যারী অ্যা স্মাইল দ্যাট নেভার ফেডস্ , ক্যারী অ্যা টাচ্ দ্যাট নেভার হার্টস্ ” । আমি কি একথা ভুলে যাবো ! এতো ভয়ঙ্কর সুন্দর কথাগুলো সে কেন লিখেছিলো যদি সে নিজেই তা ভুলে যায় ? এতো বড় মিথ্যে দিয়ে সে আমাকে আটকাতে গেল কেন ! ভোরের শিশির বিন্দু যেমন ঘাসের ডগায় রোদের কণক আভা ছড়িয়ে সুন্দর হয়ে ফোঁটে, আবার ঝরে যায় এ ও কি তাই ! ক্ষনেকের ! এই সব সুন্দর সুন্দর কথা কি ছেলে ভোলানো ফাঁদ! আমি সে ফাদেঁ কি ধরা পড়েছিলাম! নইলে আমি কেন তাকে উত্তরে লিখতে গেলাম, “যে হৃদয় আমি ধারন করে আছি তার তল তুমি খুঁজে পাবেনা, আমার মুখের হাসির ব্যপ্তি আকাশের মতো সীমাহীন, কোমল আমার স্পর্শের হাত উষ্ণতা ছড়ায় তাকেই যে অনুভব করার ক্ষমতা রাখে ”।

এটা পেয়ে মুঠোফোনের বাটনে তার পদ্মকলি আঙ্গুলের ছোঁয়ায় যে লেখাগুলো ফুটে উঠেছিলো আমার ছোট্ট স্ক্রীনে, তা শুধু আমার প্রশংসা । আর আমার এই লেখা পড়ে সে যে মুগ্ধ, তা জানাতেও দেরী করেনি । লিখেছিলো, "য়্যু নট অনলি টাচ্ড মাই হার্ট, য়্যু আর ইনসাইড ইট । " ( চলবে..... অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন তিন / চার দিন )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।