নিরপেক্ষ আমি
void(1);
জীবনানন্দের সেই কবিতাটা মনে আছে? 'আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে, এই বাংলায়/
হয়তো মানুষ নয়, হয়তোবা শঙ্খচিল শালিকের বেশে। ' প্রকৃতির কবি যে শঙ্খচিলের বেশে বারবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে চেয়েছেন কালের বিবর্তনে সে শঙ্খচিল এখন হারাতে বসেছে।
একটা সময় ছিল নদী-নালা, জলাশয়ের আশপাশে তাকালেই চোখে পড়ত সাদা পেটওয়ালা মরচের মতো সোনালি ডানার ঝাঁকে ঝাঁকে চিল। গোলাকৃতি লেজের ডগা। দেখতে সাধারণ চিলেরই মতো।
তবে এরা ঠিক চিল নয়, শঙ্খচিল। এদের মাথা, ঘাড়, বুক, পেটের তলার পালক শঙ্খের মতো সাদা। ধারণা করা হয়, এ জন্যই এদের নাম রাখা হয়েছে শঙ্খচিল। কিন্তু এর ডানা দুটি ও শরীরের অন্যান্য অংশ খয়েরী। শঙ্খচিলের গড় দৈর্ঘ্য ৪৮ সে.মি.।
সাধারণ চিলের মতো শঙ্খচিলের ডাক তীক্ষ্ম নয়; বরং কিছুটা কর্কশ। জলের কাছাকাছি উঁচু গাছের ডালে বর্ষাকালে এরা কাঠি ও ডাল দিয়ে বড়সড় বাসা বানায়। এরা জলের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। জোয়ারের সময় খাঁড়িগুলো এদের বিশেষভাবে পছন্দ। এদের ডাক অনেকটা বাচ্চাদের কান্নার মতো।
শঙ্খচিলের ইংরেজি নাম Brahmiy Kite, বৈজ্ঞানিক Haliastur indus। এরা অ্যাক্সিপিট্রিডি পরিবারের সদস্য। দেশে একসময় প্রায় ৮৩ প্রজাতির চিল ছিল। দিন দিন নদী-নালা জলাশয় দূষণ হয়ে বিপন্ন হতে বসেছে প্রিয় এ পাখিটি। তার উপরে শিকারিদের লোলুপ দৃষ্টি এদের মাথা তুলে দাঁড়াতে দিচ্ছে না।
সাধারণত জলাশয়, নদীরপাড় এবং বর্ষায় ডুবে যাওয়া ধানখেতের আশপাশে এদের 'জমিদারি' হাঁটাচলা। মাছ, ব্যাঙ, ছোটখাটো সরীসৃপ, পোকামাকড় থেকে আরম্ভ করে মানুষের ফেলে দেওয়া বা পরিত্যক্ত খাবারের টুকরা পর্যন্ত এদের খাদ্য।
মেহেদী হাসান রাহাত
View this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।