এই ধরণীর ধূলি মাখা তব অসহায় সন্তান মাগে প্রতিকার, উত্তর দাও, আদি-_পিতা ভগবান!_
শহীদের ঘুম ভেঙেছে অনেক আগেই। খুব যে ভোরে উঠেছে তা কিন্তু নয়। তবে ভোরের সূর্যের সিগ্ধময় আলো ঘরটাকে আলোকিত করে তুলেছে। শহীদ বিছানায় শুয়ে আছে। প্রতিদিনই শুয়ে শুয়ে মাথার উপরে ঘুরতে থাকা সিলিং ফ্যানের দিকে বেশ কিছু সময় তাকিয়ে থাকে।
সে জানে সে অনেক ব্যস্ত। ঘুম ভাঙলেই মনের ভিতর একধরণের অস্থিরতা কাজ করে। যেন তাকে এখনই কাজে বেরিয়ে পড়তে হবে। প্রতিদিনের মতো কিছুক্ষণ পর তার ছোট বোন চা নিয়ে আসবে। ছোটবোনটা রুমে ঢোকা মাত্রই শহীদের খাট ছেড়ে উঠার পালা।
শহীদ জানে ছোটবোন চা টেবিলে দিয়ে খাট গোছানো শুরু করবে আর যাবার সময় টেবিলে চায়ের পিরিচের নিচ থেকে স্কুলের টিফিন খরচ নিয়ে হাসিমুখে আসি ভাইয়া বলে বেরিয়ে যাবে। শহীদও মুখে হাসি ফুটিয়ে বলবে বিছানা গোছানোর হাদিয়া দিলাম। শহীদের ছোট পরিবার। সে, তার মা আর একমাত্র আদরের ছোটবোন নিশি। ডেইলি রুটিন অনুযায়ী চা খেয়ে নিজের রুমের জানালার পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে।
মনে মনে বিড়বিড় করে বলতে থাকে, এপাশে সূর্য উঠে, ওপাশে অস্ত যায়। আমি দেখি আর দেখি। মাঝেমাঝেই দুই তিনটা বাড়ি পরে উঁচু বড় নীল রঙের বাড়ির তিনতলায় এক রমণীকে দেখা যায়। ভেজা চুলে বেলকনিতে দাড়িয়ে চা খান। তারপর চলে যায়, আর দেখা যায় না।
আবার পরের দিন ঠিক একই সময়ে দেখা যায়। হয়তো শহীদের মতো এই রমণীও ব্যস্ত। মহা ব্যস্ত। সকাল ৯টায় অফিস। দেয়ালে ঝুলন্ত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৮টা বাজে।
গোসল করতে বাথরুমে ঢুকে গেল শহীদ। শহীদ বাসায় শুধু রাতের খাবার খায়। অভাবের সংসারে সকাল আর দুপুরে বাসায় খাওয়া শহীদের রুচিতে বাঁধে। তাই অফিসের জন্য তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়ে বাসা থেকে। উদ্দেশ্য অফিস।
অফিসে থাকাকালীন সময়টা মন্দ কাটে না শহীদের। কাজের চাপে তখন বাইরের দুনিয়ার কথা মনে থাকে না। এটা হল ফাইল, মনিটর-কীবোর্ড, চিঠিপত্র আর কাগজ কলমের পৃথিবী। এখানে পরিবার কিংবা অন্য কিছুর প্রবেশ নিষেধ।
এখানকার প্রথম কথা হল কাজ।
দ্বিতীয় কথা হল ফাঁকি। এ দুইয়ের অপূর্ব মিশ্রণে অফিসের সময়টুকু বেশ কাটে ওর। কর্মচারীর সংখ্যা নেহায়েত নগণ্য নয়। বড় সাহেব আছেন একজন। তার নিচে মাঝারী ও ছোট সাইজের আরো দুইজন পালাক্রমে।
তারপরে শহীদের মতো কেরানি চ্যালারা আছে জ্বি হুজুর! জ্বি হুজুর! করার জন্য। এটা অবশ্য শহীদের একার মত।
আজ অফিসে ঢুকবার পথে দারোয়ান আরিফ টুল ছেড়ে দাড়িয়ে লম্বা একটা সালাম ঠুকল শহীদকে। শহীদ বুঝতে পারলো ও কিছু বলতে চায়। কেমন আছো আরিফ, কিছু বলবে?
আরিফ বিনয়ের সঙ্গে শুধালো, আমার দরখাস্তের কিছু হল স্যার।
কিছুদিন আগে বেতন বাড়ানোর জন্য বড় সাহেবের কাছে একটা দরখাস্ত পাঠিয়েছিলো সে। নতুন বিয়ে করেছে। এই বেতনে চলে না। শহীদ মৃদু হেসে বলল, হবে হবে। আর কিছুদিন অপেক্ষা করো আরিফ।
আরিফ খুশি হয়ে আরেকটা সালাম ঠুকল। আসি বলে ভিতরে চলে এল সে।
নিজের চেয়ারে বসে অর্ধসমাপ্ত ফাইলগুলো টেনে নিল সামনে। ফাইলে মুখ ঢুকিয়ে হিসেব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। কটা বাজে তাতে কোন খেয়াল নেই শহীদের।
হঠাৎ একটা ফোন পেয়ে বাইরে যে একটা জগৎ আছে তা মনে পড়ে। তার ছাত্রী জেরিন ফোন দিয়েছে। শহীদ মুখে বিরক্তি ফুটিয়ে নিজে নিজে বলতে থাকে এই মেয়েটা প্রতিদিনই পড়ার আগে ফোন করে মনে করিয়ে দেয়। এটার কোন মানে হয়। তার তো মনে থাকে সন্ধ্যায় সেতার শিখাতে তাকে যেতে হবে।
বিরক্তি নিয়ে ফোন রিসিভ করে শহীদ।
হ্যালো –
হ্যালো-ওপাশ থেকে মিহি কণ্ঠের আওয়াজ ইথারে ভেসে এলো। কথাটুকু শহীদের কানে পৌছা মাত্রই তার মনটা ভাল হয়ে গেল।
হ্যাঁ! জেরিন বল।
আপনার আজ সন্ধ্যায় ঠিক ৭টায় আমাকে সেতার শিখাতে আসার কথা।
শহীদ ব্রিবতবোধ করল পূর্বের কথা মনে পড়ায়। মনে মনে চিন্তা করল আজ একে শায়েস্তা করতে হবে। কিন্তু মুখ দিয়ে বেরুলো, আমি আসব। নিজের কন্ঠ শুনে অবাক হয়ে যায় শহীদ। যা বলতে চাইল তা বলতে না পেরে।
কলটা রেখে দিয়ে পুনরায় কাজে মনোযোগ দেয় শহীদ।
সন্ধ্যা ৭টা। ধানমন্ডির একটি বাসায় বসে আছে শহীদ। তিনতলা বাড়ি। অনেক পরিপাটি ও অসাধারণ নকশা করা বাড়ি।
সামনে বাগান। এ বাসায় কলেজ পড়ুয়া জেরিনকে সেতার শেখায় সে। পুরো বাড়িটাই জেরিনদের। জেরিনের বাবা কি কাজ করেন তা সম্পর্কে অবগত নয় শহীদ। কখনো জিজ্ঞেস ও করেনি জেরিনকে।
তার ছাত্রীটাও একটু ভিন্ন। এই আধুনিক যুগে কেউ সেঁতার শিখতে আগ্রহী এটা বিশ্বাস করা যায় না। অফিস থেকে সরাসরিই পড়াতে এসেছে সে। এসেই দেখে পুরো বাড়ি ছেলে-মেয়ে-বুড়ো লোকের ভিড়। সবার পরনে সদ্য কেনা দামি কাপড়।
পাশের রুমে কিছু মেয়ের সাথে গল্প করছে জেরিন। আজ খুব সুন্দর লাগছে তাকে। পরনে রঙিন লেস বসানো সাদা রঙের সালওয়ার-পাজামা। চুলগুলো ছাড়া ছাড়া অবস্থায় ঝুলছে। কপালে কালো রঙের টিপ।
গাঢ় সাজ একেবারেই করেনি মেয়েটা। একদম হালকা সাজ আর এতেই চমৎকার লাগছে। শহীদকে সোফায় বসে থাকতে দেখতে পেয়ে এগিয়ে এলো মেয়েটা।
আপনি এলেন তাহলে? – একমুখ হেসে বলল জেরিন। হাসলে ওকে আরো সুন্দর দেখায়।
সরু সরু দাঁতগুলো মুক্তোর মতো চিক চিক করে ওঠে।
শহীদ বলল, না আসার কোন হেতু ছিল কি? যাকগে, বাড়িতে এতো অতিথির ভিড় কেন?
জেরিন জিভ কেটে বলল, ওমা আপনি জানেন না বুঝি, আজ আমার জন্মদিন।
কি করে জানবো......কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেল শহীদ।
জেরিন পরক্ষণেই বলল, তাইতো আমি তো আপনাকে বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। কিছু মনে করেননি তো?
না এতে মনে করার কি আছে।
নিজেই যেন লজ্জা পেল শহীদ।
জেরিন বলল আপনি বসুন, আমি আসছি। আপনাকে নিয়ে আজ রাতের শহর দেখবো। শহীদের মুখখানা লজ্জায় লাল হয়ে গেল। কিছু বলতে গিয়েও সে পারলো না।
শহীদ ও জেরিন একখানা রিকশায় পাশাপাশি বসা। একটা মেয়ের সাথে রিকশায় চড়ার অভিজ্ঞতা তার এই প্রথম। সর্বোপরি তার ছাত্রী। তাই বারংবার অস্বস্তিবোধ করছিলো শহীদ। কপালে মৃদু ঘাম জমেছিল তার।
বারবার সরে বসার চেষ্টা করছিলো সে। ওর অবস্থা দেখে জেরিন ঠোঁট টিপে হাসল।
আপনি ভয় পাচ্ছেন বুঝি?
শহীদের অপ্রস্তুত উত্তর, কই না-তো।
তাহলে এমন করছেন কেন?
না এমনি। লজ্জা কাটিয়ে ওর সঙ্গে সহজ হবার চেষ্টা করল শহীদ।
রাতের নীরব রাস্তার মানুষগুলো তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। কি হচ্ছে তা বোঝার জন্য। তবে তাদের তাকানোর রহস্য হল শহীদের বোকামার্কা জবাবে জেরিনের জোরে হাসির শব্দ। কাচভাঙ্গা হাসির শব্দে যেন রাস্তায় ভাঙনের মাতম তুলছে সাথে শহীদের বুকে কে যেন ছুরি দিয়ে দাগ কেটে দিচ্ছে। মনে মনে শহীদ চেচাছে,
আমি বেঁচে আছি তো।
রাতে বেশ আরামের ঘুম দিল শহীদ। পরদিন অফিসের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় মোবাইলটা অফিসের টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দেয়। ড্রয়ার থেকে বের করার প্রয়োজন মনে করেনি শহীদ। সন্ধ্যায় কাজ সেরে অফিস থেকে বের হওয়ার সময় টেবিলের ড্রয়ার থেকে মোবাইলটা বের করে দেখে ২৫টা মিসকল ও ১টা মেসেজ। মুঠোফোনের স্কিনে নামটা দেখে বুকের মধ্যে দপ করে উঠে শহীদের।
কলগুলো জেরিন করেছে, মেসেজও তার। অজানা আশংকায় মেসেজটা ওপেন করে সে। জেরিন লিখেছে— অনেকক্ষণ ফোন করেও আপনাকে পেলাম না। বিশেষ প্রয়োজন ছিল। সময় করে একবার বাসায় আসবেন কিন্তু।
আপনাকে আমার বড় দরকার।
মেসেজটা বারকয়েক পড়লো শহীদ। বিশেষ করে শেষ লাইনটা। সেখানে যেন একটু অন্তরঙ্গতার ছোঁয়া, রয়েছে আন্তরিকতার স্পর্শ।
আজ আর যাওয়া যাবে না।
রাত অনেক হয়েছে। কাল ছাড়া যাওয়া সম্ভব নয় বলে বাসায় চলে আসে শহীদ। বাসায় এসে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়লো শহীদ।
ওর মনে এখন রঙের ছোঁয়া লেগেছে। দু-চোখে স্বপ্নের আবির ছড়িয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে।
একদিন জেরিনকে বিয়ে করবে সে। অর্থের প্রতি তার কোন লোভ নেই। একগাদা টাকা আর অনেকগুলো দাসীবাঁদীর স্বপ্নও সে দেখে না। ছোট্ট একটা বাড়ি থাকবে তার। শহরে নয় শহরতলীতে।
যেখানে লাল কাঁকরের রাস্তা আছে আর আছে নীল আর সবুজের সমারোহ। মাঝে মাঝে দু-পায়ে কাঁকর মাড়িয়ে বেড়াতে বেরুবে ওরা।
সকালে কিংবা সন্ধ্যায়। রাস্তায় লোকজনের ভিড় থাকবে না। নিরালা পথে মন খুলে গল্প করবে ওরা।
কথা বলবে।
আজকের বিকেলটা বড় সুন্দর তাই না?
কালও এমনটি ছিল।
চিরকাল যদি এমনি থাকে।
তাহলে বড় একঘেয়ে লাগবে। সহসা শব্দ করে হেসে উঠবে জেরিন।
হয়তো বলবে, একটানা সুখ আমি চাই না। মাঝে মাঝে দুঃখেরও প্রয়োজন আছে, নইলে সুখের মূল্য বুঝবো কেমন করে?
ওরা কথা বলবে।
আরো অনেক কথা।
কখনো কানে কানে, কখনো মনে মনে, কখনো নীরবে, কখনো ইশারায়।
তারপর রাত নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাসায় ফিরে আসবে।
সামনের বাঁকানো বারান্দায় টেবিলের ওপর দু-কাপ চা রাখা।
গরম চায়ের উত্তাপ যেন বারবার দেহকে স্পর্শ করছে এসে।
বাইরে অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থেকে ধীরেধীরে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিবে ওরা।
কি ভাবছো?
কিছু না।
আমার কি মনে হয় জানো?
কি?
তোমার কপালে একটা তারার টিপ পরিয়ে দিতে পারতাম।
অদ্ভুত অদ্ভুত স্বপ্ন দেখতে দেখতে শহীদের ঘুম ভাঙ্গে চায়ের কাপের শব্দে। তাকিয়ে দেখে নিশি টেবিলে চা দিয়ে বিছানায় পাশে এসে বসেছে। বালিশের একপাশে রাখা মোবাইলটা তুলে নিলো সময় দেখার জন্য। স্কিনে ক্লিক করতেই শহীদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। জেরিন ১৫বার কল দিয়েছে।
বিড়বিড় করে নিজেকে বকতে লাগলো শহীদ। কেন যে কাল রাতে ওদের ওখানে গেল না, কেন যে মোবাইলটা সাইলেন্ট করে রেখেছে। সাথে সাথে ফোন ব্যাক করল।
মেয়েটা হ্যালো না বলে একনাগাড়ে রাগমিশ্রিত কণ্ঠে ক্ষোভ ঝাড়তে লাগলো, আপনি কই থাকেন। এতো ব্যস্ত কেন, রাতেও কি অফিস করেন নাকি?
ইয়ে, আসলে মোবাইলটা সাইলেন্ট ছিল।
ভয়ে আতংকিত হয়ে করুনার সুরে শহীদ বলল।
হয়েছে। আপনি আজ অফিসে যাচ্ছেন না। এটা আপনার শাস্তি। আপনি আজ আমার সাথে সারাদিন থাকবেন।
১০টায় আমার বাসার সামনে আসবেন। শাসনের সুর জেরিনের কণ্ঠে।
হুম, আসব। - বলে লাইনটা কেটে দেয় শহীদ।
একজোড়া ফুল নিয়ে শহীদ জেরিনদের বাসার সামনে দাড়িয়ে আছে।
মেয়েটা আজ ফ্রগ পরেছে। কেমন বাচ্চা বাচ্চা লাগছে। শহীদের আজ বলতেই হবে। নিজের ভিতর যুদ্ধ করে চলেছে সে। আজই সুযোগ।
এই মেয়েকে সে হারাতে দিবে না।
চল হাঁটি। - মৃদুকণ্ঠে শহীদ বলল।
কথা না বলে শহীদের পাশাপাশি জেরিন হাঁটছে।
শহীদ সহসা বলে উঠলো, জেরিন আমি তোমাকে ভালোবাসি, জেরিন।
জেরিন নীরব। চোখজোড়া মাটিতে নামিয়ে নিয়ে কি যেন গভীরভাবে ভাবছে সে। সারামুখে ঈষৎ বিস্ময়। সারা দেহ উৎকণ্ঠায় কাঁপছে তার। সন্দেহ আর সম্ভাবনার দোলায় দুলছে তার মন।
শহীদ ভয়ে ভয়ে আবার জিজ্ঞেস করল, তুমি কি আমায় ভালোবাসো না জেরিন ?
জেরিনের ঠোঁটের কোণে এতক্ষণে একটুকরো হাসি জেগে উঠলো। ধীরেধীরে সে হাসি চোখে আর চিবুকে ছড়িয়ে পড়লো তার। লজ্জায় মাথাটা নত হয়ে এলো। মুখখানা অন্য দিকে সরিয়ে নিয়ে ফিসফিস করে বলল সে, তুমি কি কিছুই বুঝো না?
শহীদ নীরব।
মুহূর্তে আনন্দে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছে সে।
দীর্ঘসময় ধরে দিনেরাতে যাকে নিয়ে অশেষ কল্পনার আলপনা বুনতো, সে আজ তার কাছে ধরা দিয়েছে।
জেরিন! মিষ্টি করে হেসে ডাকল।
বলো। চোখতুলে তাকাতে সঙ্কোচ বোধ করছে মেয়েটি।
শহীদ বলল, তুমি আমাকে বড় অবাক করলে।
কেন!
আমি ভাবতে পারিনি তুমি আমাকে ভালবাসবে।
অমন করে ভাবতে গেলে কেন?
জানি না। শুধু জানি এ প্রশ্ন বারবার আমাকে যন্ত্রণা দিতো। আরো কি যেন বলতে যাচ্ছিলো সে।
জেরিন কাছে সরে এসে একখানা হাত রাখল ওর নরম তুলতুলে চুলের অরণ্যে।
তারপর ধীরে ধীরে সিঁথি কাটতে কাটতে মৃদু গলায় সে বলল, আমি তোমাকে ভালোবাসি।
শহীদ ওর চোখে চোখ রেখে আস্তে করে শুধালো, শুনিনি, আবার বল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।