সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করবে বলেও দৃঢ় আশাবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সোমবার সাংবাদিকদের জন্য আওয়ামী লীগের ইফতার অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশরাফ বলেন, “এখন যে যাই বলুক। সব রাজনৈতিক দলই সে নির্বাচনে অংশ নেবে। ”
বর্তমান সরকার আমলে সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচিত অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই দশম সংসদ নির্বাচন হবে।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না দাবি করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে আছে বিএনপিসহ বিরোধী দল।
অনির্বাচিতদের সাময়িক ক্ষমতা দেয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বিরোধী দলকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যারা দুই বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল।
আশরাফও বলেন, “সেনাবাহিনী, তত্বাবধায়ক বা অনির্বাচিত সরকার রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প হতে পারে না।
“একটি গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতা আরেকটি গণতান্ত্রিক সরকার। একটি নির্বাচিত সরকারের ভুল-ত্রুটি হতে পারে। সেগুলো শোধরানোর দায়িত্ব রাজনৈতিক সরকারের।
সেনাবাহিনী, তত্ত্বাবধায়ক বা অনির্বাচিত সরকারের নয়। ”
ওয়ান-ইলেভেনের মতো পরিস্থিতি কখনোই ‘সুখকর’ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মন্তব্য নিয়ে বিরোধী দলের সমলোচনার মধ্যে সোমবারের ইফতার অনুষ্ঠানে আশরাফও বলেছেন, “শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে। ”
জয় গত ২৩ জুলাই যুবলীগের এক ইফতার অনুষ্ঠানে বলেন, তার কাছে তথ্য আছে যে আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় যাবে।
এটা ‘ষড়যন্ত্রের আভাস’ দাবি করে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ছেলেকে সমর্থন করে গত রোববার বলেন, “সার্ভে করা হয়েছে।
পোল করা হয়েছে। যে সার্ভে রির্পোট এসেছে। তাতে এখনো দেখা যায়- আওয়ামী লীগের ওপর এখনো জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। সিটের দিক থেকে আওয়ামী লীগ ভালো পজিশনে আছে। ”
জয়ের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকা রোববার বলেন, “তারা যে আগামী নির্বাচন নিয়ে দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করছে, তা আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে।
”
জয়কে নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “জয় যখন বললো, আমি পোল করে এ তথ্য পেয়েছি। সেটাকে বিকৃত করে বলা হয়েছে, ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় ফিরে আসা যায়। ”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ঈদের পর দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামও বক্তব্য রাখেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।