সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
এ পর্যন্ত সবাই আমার এ প্রশ্নে সহজ ও স্বাভাবিক উত্তর দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ জিতবে। কেউ কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগ একাই সরকার গঠনের মতো আসন পাবে। কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ১৬০ থেকে ২০০ আসনে জয়ী হবে।
আওয়ামী লীগ/মহাজোট যে জিতবে এতে কোনো সন্দেহ নাই। হতে পারে ১৫১ হতে পারে ২০০ আসন। কিন্তু তারা যে জিতবে এ ব্যাপারে মোটাদাগে কোনো সন্দেহ নাই।
ব্যক্তিগত আড্ডায় যারা এই মত দিছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগার না। কিন্তু সবার মত প্রায় একই।
ঢাকা শহরের মতো সারা দেশেও নাকি এই অবস্থা। আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হইছে। আমিও মেনে নিছি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতেছে। ভোটে আওয়ামী লীগই জিতবে।
............................................................
আওয়ামী লীগ জিতুক।
জিতলে কেন জিতবে তার ভাল-মন্দ সব কারণ আমরা জানি। বিএনপি হারলে কেন হারবে তার কারণও আমরা জানি। কিন্তু বাই এনি চান্স বিএনপি যদি জিতে তাইলে কী হইতে পারে। কেন তারা জিততে পারে? জিতলে কী হইতে পারে?
...........................................................
বিএনপি যদি জিতে তাইলে বুঝতে হবে জিরো থেকে হিরো হইছে তারা।
জিতলে কারণ অনুসন্ধান শুরু হবে।
নানা তোলপাড় হবে। নানা বিশ্লেষণ হবে। সেইগুলা পড়ে আমরা শিখবো। জানবো। কিন্তু তার আগে সেই কারণগুলা একটু অনুমান করে নিতে চাই।
এই সরকার ক্ষমতা হাতে নেওয়ার সময় বিএনপি ছিল শতাংশে ০। খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করার মাধ্যমে বিএনপি হয়ে গেছে ৫%। শেখ হাসিনার বিদেশ যাওয়ার মধ্য দিয়ে হইছে ১৫%। তারেক ও কোকোকে বিদেশ পাঠানোর মধ্য দিয়ে বিএনপি হইছে ২০%। খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্যদিয়া হইছে ২৫%।
অন্যান্য নেতার মুক্তির মধ্যদিয়া হইছে ৩০%। দলত্যাগী সংস্কারপন্থীদের ফিরে আসায় হইছে ৪০%।
পরাজয় নিশ্চিত জেনেও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় হইছে ৪৫%। অন্যান্য কারণে আরও ৫% গ্রেস দিলে বিএনপি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিনেও ছিল ৫০%। আর আওয়ামী লীগ ছিল ৯৫ পার্সেন্ট।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগের সংগঠন, নেত্রী ও শক্তির ৫% ক্ষতি করতে পেরেছিল।
কিন্তু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সেটি সামাল দিয়ে আওয়ামী লীগ ৯৫% শক্তি দ্রুত গুছিয়ে ফেলছিল। অবশ্য মনোনয়ন সমস্যায় তারা আরও ৫% শক্তি ক্ষুইয়ে ৯০% হয়েছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন।
৫০% বিএনপি ও ৯০% আওয়ামী লীগে লড়াই শুরু হয়েছে।
জোটের হিসাবে স্বৈরাচার ও রাজাকার সমান সমান।
এরশাদরে ফিক্সড আসন আছে। কিন্তু সারাদেশে ফিক্সড ভোট নাই। জামাতের ফিক্সড আসন নাই কিন্তু সারাদেশে ফিক্সড ভোট আছে।
দুই জোটের শরিকদের অংশগ্রহণ আসলে বড় ফ্যাক্টর না। লড়াই নৌকা আর ধানের শিষেই হবে।
এখন গণেষ ওল্টালে তার কারণগুলো ভাবা যাক :
১. খালেদা জিয়া প্রচুর পরিশ্রম করছেন। শেখ হাসিনার চাইতে বেশি করে মাঠে যাচ্ছেন।
২. বিদেশ না যাওয়ার কারণে তিনি ভুলভাবে হোক/ঠিকভাবে হোক আপোষহীন নেত্রীর তকমা নতুন করে জোগাড় করেছেন।
৩. তার আমলের ব্যাপক দুর্নীতির কথা মানুষ ভুলতে বসেছে মামলাগুলোর বেহাল দশা দেখে।
৪. দুর্নীতি দমনে এই সরকারের আপাত ব্যর্থতার পর মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে দুর্নীতি অদম্য।
তাদের এ বিষয়ে করার কিছু নেই। বা সবাই এ রোগে আক্রান্ত।
৫. দ্রব্যমূল্য তেলের দাম এইসব কারণে লোকে এই সরকারের ওপর নাখোশ তাই খালেদা যখন এই সরকারের বিরুদ্ধে বলছেন তখন তারা কিছুটা আস্থা পাচ্ছে।
৬. লোকে বিশ্বাস করতে পারে যে, এই সরকারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সমঝোতা হয়েছে। ভোটের বদলে সমঝোতার পথে যাওয়ার জন্য তারা এর বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারে।
৭. আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ক্ষমতাসীন অনুভূতি তৈরি হতে পারে। ফলে, তারা কাজ কমিয়ে দিতে পারেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ প্রসঙ্গেও এ কথা বলা যায়।
৮. মিডিয়ায় বিএনপি পন্থী উপাদান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। আওয়ামী পন্থী উপাদান প্রায় সমান সমান।
৯. তরুণ ভোটাররা মনে করতে পারে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে না। তাই তারা না ভোট দিতে পারে। অথবা ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে।
১০. ধর্ম ফ্যাক্টর। সজীব ওয়াজেদ জয়ের সেকুলার প্লানের নেতিবাচক প্রচারণা ও হুজুগের কারণে ধর্মভিত্তিক ভোট সরে যেতে পারে।
আরও কিছু কারণ এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। এই কারণগুলোকে ৪০% থেকে ৫০% শক্তির যোগানদাতা হিসেবে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে বিএনপি জিততে পারে। প্রায় অসম্ভব একটা ঘটনা।
সে অসম্ভব সম্ভব হতে পারে কি না সেটা বোঝা যাবে ২৯ ডিসেম্বরের পর।
ভবিষ্যত বিশ্লেষকদের জন্য তোলা থাকলো
পুনশ্চ : এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মূল নিয়ামক। ষড়যন্ত্র অন্য আন্ডারস্ট্যাডিংকে নিয়ামক হিসাবে ধরা হয় নাই। নিয়ামক= ভেরিয়েবল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।