বাংলায় লেখি,বাংলায় বুঝি,বাংলায় হাসি, বংলায় কাদিঁ।
এখন ভোর ৪.৪৫,
আমি ল্যাপিটা নিয়ে বসে আছি ড্রয়িং রুমে, পাশেই বারান্দা৷ অনেক দুর থেকে যান বাহনের যন্ত্রিক শব্দ গুলো জানিয়ে দিচ্ছে কিছুক্ষণ পর সূর্য উঠবে শুরু হবে একটা নতুন দিন৷ আমি অপ্রাণ চেষ্টা করছি কিছু একটা লিখার৷ মানুষ হিসেবে আমি খুবই অলস৷ সারা দিন সারা রাত নেটে বসে থাকলেও লিখার পরিমাণ এত কম যা লজ্জা জনক৷ কিন্তু লিখা আমায় সব সময় টানে৷ কতো যে লিখতে চাই৷ কিন্তু শুরুটাই করা হয় না৷ আসলে শুরু করাটাই কঠিন৷ এটা শুধু লিখার ক্ষেত্রে না , সম্ভবত সব ক্ষেত্রেই৷
আশে পাশে দুই একটা পাখির শব্দ শুনতে পাচ্ছি, পাখি বলতে কাক এর কা কা ই শুনতে পাচ্ছি... হয়তো সাথে আরও কিছু শব্দ মিশে আছে.... কিন্তু কা কা শব্দে সব মিলিয়ে গেছে... ঐ তো ওতেওটা ট্রেন এর হর্ন না? ঠিক ঠিক আহা কত দিন ট্রেনে উঠা হয় না৷ ট্রেনের শব্দ ট্রেনের ওয়েটিং রুম এগুলো কেন যেন আমাকে অনেক টানে৷ ট্রেন এর হর্ন শোনা যাচ্ছে ৷ কোথায় যাচ্ছে ট্রেন টা? আচ্ছা কেমন হয় যদি একদিন কোনও প্ল্যানিং ছাড়া ট্রেনে উঠে যাওয়া যায়? ট্রেন যেখানে নিয়ে যাবে সেখানেই যাব, হঠাৎ কোনো একটা স্টেশনে নেমে যাব হয় তো তখন সূর্যের আলো উঠে যাবে... হয়তো বা তখন সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যাবে... ট্রেন থেকে নেমে কি করব? সম্ভবত অনেক খুধা লাগবে.. কাছে পিঠেই হয়তো একটা হোটেল পেয়ে যাব, গপাগপ খেয়ে নিব, এর পর কি? চলে আসব? ফিরতি ট্রেনে? না! তা কি করে হয়! আজ এত তারা তারি ফিরব না ৷ আজ এত তারা তারি ফেরা যাবে না ৷
পাড়ার কোনো একটা চা এর দোকানে অনেক ভিড় জমেছে! আচ্ছা এত ভিড় কেন? সামনে এগিয়ে যেয়ে দেখব বাংলাদেশের খেলা শুরু হয়ে গেছে... সারা টি দিন পার করে হয়তো রাত গড়াবে খেলা শেষ হবে না হয়তো ১১.৩০ এর দিকে খেলা শেষ হয়ে যাবে৷ হয়তো সারা দেশ আনন্দে উল্লাসে ফেটে পড়বে, না না... হয়তো না আজ অবশ্যই সারাদেশ আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়বে... আবার একটা বিজয় পাব আজ আমরা... তার পর ঐ অচেনা মানুষ গুলোর সাথেই হয়তো আমি আমার অনন্দ ভাগা ভাগি করে নিব৷ ঐ অচেনা স্থানে অচেনা মানুষ গুলোর সাথে কাটা সুন্দর সময় গুলোকে নিজের সাথে নিয়ে আবার রাতের ট্রেনে উঠে যাব ফিরে আসব ঐ চির চেনা নগরীতে...
বেচে থাকবে শুধু স্মৃতি গুলো... যেখানে ক্রিকেট নামের একটা খেলা, না এটা শুধু খেলা না, ক্রিকেট নামার শুধু খেলা ছাড়াও অরো অনেক কিছু যা আমাকে ঐ অপরিচিত স্থানে ঐ অপরিচিত মানুষ গুলোর সাথে একই সূত্রে গেঁথে দিয়ে ছিল , বাংলাদেশের চার ছক্কায় প্রতিটি রানে আমরা একই সাথে গর্জে উঠছিলাম তখন ওরা ভয় পেয়েছিল৷ আমাদের গর্জনে ওরা ঘাবড়ে গিয়েছিল ৷ কারন এই বাংলাদেশের ১৬ কোটি প্রাণের একটিই চাওয়া ছিল ৷
আমি নিশ্চিত ঐ দিনটা ১৬ কোটি প্রাণ মনে রাখবে৷ তাই এই ১৬ কোটি প্রাণের জন্য আরেকবার জ্বলে ওঠ তোমরা বহু ভেদাভেদ আর হতাশার মাঝে উজ্জ্বল আলো হয়ে জ্বলে ওঠো ৷ কারন জ্বলে ওঠা টা খুবই দরকার৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।