CCNA, BUET
বিপর্যস্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ-কারীদের আস্থা ফেরাতে স্বল্প ও মেয়াদি_ দুই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসইসির পুনর্গঠন এবং আইন সংশোধনের পাশাপাশি কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের শায়েস্তা করতে ১৫ দিনের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আজও লেনদেন বন্ধ থাকবে। তবে কাল থেকে শেয়ার লেনদেন চালু হবে। সূচক নিয়ন্ত্রণের জন্য আরোপিত সার্কিট ব্রেকার পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
শেয়ারবাজার পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি), ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই), বাংলাদেশ ব্যাংক, এফবিসিসিআই, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনসহ স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান শেয়ারবাজার ঝুঁকিমুক্ত নয়। বাজার থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা উধাও হয়ে গেছে_ এটা একদম বাজে কথা। যা চলে গেছে তবে তা অতি সামান্য।
তিনি বলেন, এমন মহাধসের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূচকের পতন বা উত্থান ঠেকাতে আরোপিত সার্কিট ব্রেকার আপাতত বন্ধ থাকবে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে যে তিনটি কোম্পানির শেয়ার বাজারে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত এর মধ্যে মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্টের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বাজার কারসাজিকারীদের ব্যাপারে তদন্তের জন্য সিডিবিএলের কাছে থাকা তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। কয়েক দিনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যে মুনাফা লুটে নিয়েছেন তার একটা বড় অংশ শেয়ারবাজারে বাধ্যতামূলকভাবে বিনিয়োগ করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।