আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবকিছুর মদ্ধেও একটুখানি রহস্যের উদয় ঘটিয়াছে!

রানা প্লাজা থেকে ১৭দিন পর উদ্ধার হয়েছে রেসমা বেগম। আমরা অনেকে খুসিতে কেদেও ফেলেছিলাম। কিন্তু উদ্ধার হওয়ার একটু পরই প্রধাণমন্ত্রী রেসমা বেগমের সাথে নাকি ফোনে কথা বলেছিলেন! ১৭দিন খেয়ে না খেয়ে জীবনের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা মানুষ, সাথে সাথে ফোনে কথা বলতে পারল? এটা কি সম্ভব? যারা ৩-৪দিন এও জীবীত উদ্ধার হয়েছে তাদের জামা-কাপর দেখেছি ছেড়া,নোংড়া এমনকি অনেকের কাপড়ই ছিলনা! মানুষ কাপড় জড়িয়ে উদ্ধার করেছিল। কিন্তু রেমাকে দেখলাম নতুন পোসাক পড়া! এটা সম্ভব কি করে? আমি একবার রাগ করে শকাল থেকে পরের দিন সন্ধা পর্যন্ত না খেয়ে ছিলাম (চুরি করে ৩-৪বার পানি খেয়েছিলাম) তখন আয়নাতে আমাকে দেখে চিনতে একটু কষ্টয় হয়েছিল কারণ আমার চোঁখ প্রায় আধা ইন্চি ডেবে গেছিল! আর রেসমার চোঁখ টিভিতে দেখলাম তাতে না খেয়ে থাকার তেমন একটা ছাপ দেখতে পাইনাই আমি! ঘটনাটা সত্তি না নতুন নাটক এটায় ভাবছি...((উদ্ধার হওয়ার পর থেকে এমন চিন্তা মাথায় এসেছিল)) অন্যের ভাষায় লেখাটা দেখুন এবার>> রেশমা নাটক দেখে আমি মুগ্ধ হতে পারেনি, দূর্বল চিত্রনাট্য আমাকে হতাশ করেছে। হেফাজতের বিরুদ্ধে চালানো গণহত্যার ইস্যু মুছে দেওয়া সহজ হবেনা।

গতকাল মুন্নি সাহাকে নিয়ে বেশ কিছু স্ট্রাটাস দেবার পর। রাতে আমার কাছে বেশ কিছু ইনবক্স আসে। যা পড়ে আমি খুবই হতাশ। রেশমা উদ্ভার যে টোটালি নাটক ছিলো এটা বুঝতে পেরে আমার মন ভেংঙ্গে গেছে। আমার অনেক বন্ধু লেখায় নানান যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছেন যে বুম হাতে মুন্নি সাহা সঠিক কাজটিই করেছে।

মুন্নির প্রশ্ন গুলিও সঠিক ছিলো। এই নাটক যারা সাজিয়েছেন তাদের গল্পে অনেক দূবলর্তা ছিলো। অনেক ফাক ফোকর ছিলো। আমি নিজে একজন গল্প লেখক বলেই সহজে গল্পের গাথুনি বুঝতে পেরেছি। প্রথমেই বলি রেশমার পোশাক পরিচ্ছদ নির্বাচনটা ভুল ছিলো।

১৭ দিন পর একটি মানুষ ঝকঝকে একটি জামা পড়ে ধ্বংশ স্তুবের ভেতর থেকে বের হলে দর্শক মাত্রই পরিচালকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করবে! এই দূবলর্তা নাটকটির মান নিয়ে প্রথমেই দর্শক কে ধাক্কা দিয়েছে। আরো হাস্যকর হলো, রেশমা গলা বের করে প্রথমেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চাইলো কেন? ইতিপূর্বে আরো আড়াই হাজার মানুষকে উদ্ভার করা হয়েছে, তারা কেউ প্রধানমন্ত্রী কেন কোন এমপি সাহেবকেও দেখতে চায়নি। নাটকের এটাও একটা দূর্বলতা। কেননা ভবন ধসের পর প্রধানমন্ত্রীর সাভার যেতে সময় লেগেছিলো পাঁচ দিন। আর রেশমাকে দেখতে কয় মিনিট? রেশমার ঝকঝকে দাত নিয়ে প্রশ্ন আসে।

রেশমা শুকনো খাবার কৈ পেলো? না খেয়ে আসলে কত দিন বেচে থাকা যায়? চরম গোজামিল আর বাংলাফ্লিমি টাইপের গল্প। রেশমাকে উদ্ধারের পর ঐগর্তে বেসরকারী এক কিশোর উদ্ভার কর্মী প্রবেশ করে দেখেছে যে সেখানে হাটুমুড়ে বসে থাকা যায় দাড়ানো যায়না। এমন একটি অবস্থায় থেকে কোন মানুষের পক্ষে কি হাসি মুখে কথা বলা সম্ভব? এরকম অনেক প্রশ্নই হয়ত চলে আসবে। তবে সিএনএন এর ভাষায় বলতে হয় এই রহস্যও কোনদিন প্রকাশ হবে না। লিংক : Click This Link  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.