বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
সব কিছুর নাকি দাম কমে যাচ্ছে। চারিদিকে এখন শুধু সরকারের জয়গান। সরকার আমাদের বাজারের আগুন নিভাতে নাকি সব ব্যাবস্থা করেছে। জনগন নাকি এখন শান্তি পাবে।
সবার মুখে এই একই কথা। আশ্চর্য হয়ে যাই। বলে কি সবাই, আমি ভুল শুনছি না ওরা পাগল।
আসছে রমজান, এই রমজানে সরকার নাকি আমাদের সুখে রাখবে। আবার নাকি ছোলা মুড়িতে বাঙ্গালী বাঙ্গালী একটা ভাব ফুটে উঠবে।
এর জন্য সরকারের কর্তাব্যাক্তিরা এখন গলদঘর্ম। যাই হোক ওরা যে যাই করুক না কেন, আমজনতার ভোগান্তি আমাদের ভুগতেই হবে।
রমজান হলো সংযমের মাস। শুধু না খেয়েই থাকা নয়। তার সাথে প্রয়োজন আল্লাহর নির্দেশিত উপায়ে সংযম করা।
কিন্তু আমরা করি ঠিক তার উল্টো। বিকালে গৃহিনীদের মধ্যে যেন প্রতিযোগীতা বেঁধে যায়। পাশের বাসা থেকে কাবাবেব গন্ধ আসলে তো আমার বাসা থেকে বিরিয়ানীর সুগন্ধ যাওয়া চাই। আর পুরুষেরা অফিস থেকে ফেরার পথে হালিম, কাবাব, আর সব দামী ব্রান্ড ইফতারী হাউজের প্যাকেট হাতে নিয়ে একটু বেশী দুলিয়ে দুলিয়ে বাসায় প্রবেশ করা চা--ই চাই। সব ক্ষেত্রেই প্রতিযোগীতা।
আমাদের এই আচরন গুলো ত্যাগ করা উচিত। ব্যাক্তিজীবন থেকে শুরু করে সামাজিক জীবন পর্যন্ত।
ব্যাপারটি অনেকটা এমন, এক লোক জীবনে প্রথম সোনার আংটি পরে আংটি দেখিয়ে মাছওয়ালাকে মাছের দাম জিজ্ঞাস করছিল, আর মাছওয়ালাও কি কম যায়। সে তার বাহুতে বাঁধা সোনার তাবিজটি দেখিয়ে কুনুই বাড়িয়ে বলছে, পাঁচশত টাকা, পাঁচশত টাকা, পাঁচশত টাকা।
যাই হোক বাজারে যতটুকু শোনা যাচ্ছে সেটা হলো, এবার সরকার অন্যবারের চেয়ে সবচেয়ে বেশী নাকি আমদানি করবে যে প্রোডাক্টগুলো রমজানে বেশী ব্যাবহৃত হয়।
যেমন: পিঁয়াজ, ছোলা, রসুন, খেজুর, তেল, চাল-ডাল ইত্যাদি। আবার ব্যাবসায়ী সংগঠন থেকে টীম নাকি বাজার পর্যবেক্ষণ করবে। যাই হোক যে যত যাই কথা বলুক না কেন, আমরা শান্তি চাই, ভালো ভাবে বাঁচতে চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।