কোন ধরনের পারিশ্রমিক ছাড়াই সাংবাদিকতার জন্য আবেদন জানিয়ে ছিলাম অগ্রজ দাউদ রনির পোষ্টে। কেননা, গ্রামে থাকি মফস্বল সাংবাদিক হওয়ার অভিলাষ বহু দিনের। গ্রাম থেকে সাংবাদিকতার জন্য কোন পারিশ্রমিকের আবদার নেই বা না দিলেও চলবে, এমন ধরনের মন্তব্যের কমেন্ট তাহার পছন্দ হয় নি। সুতরাং বুঝতে আর অসুবিধা হয়নি আপনারা যারা শহুরে সাংবাদিক তাদের মফস্বল সাংবাদিকতার ধরন সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই। কত রকমারী সাংবাদিকতা এখানে।
এখানে মফস্বল সাংবাদিকতার করার জন্য কোন বেতনের প্রয়োজন হয় না! বেতন বা পারিশ্রমিক ছাড়াই তারা ঢ়ের চলতে পারেন। তাইতো দেখেছি প্রথম সারির পত্রিকার সাংবাদিককে যখন এলাকার জনদুর্ভোগের জন্য ডেকেছি কিন্তু পাইনি , কেন পাইনি সেটা মনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কাউকে খুলে বলতে হয় না। আবার যদিও কখনো অনেক অনুনযয়ের বিনিময়ে পেয়েছি কিন্তু উৎকৃষ্ট মোলাকাতের অভাবে তা নিউজ হয়ে আসে নি। এও দেখেছি শুধু সাংবাদিকতার উপর নির্ভর করে আয়েশী জীবন যাপন। আবার এও দেখেছি সচ্ছ সাংবাদিকতা করে জীবন ধারনের জন্য আবার অন্য জীবিকার উপর নির্ভর করতে।
এত সব কিছু জানলাম কি করে? সাংবাদিক হওয়ার খায়েশ অনেক দিনের। চাকুরীর পরের বেশ অবসর সময়টুকু একাজে নিয়োজিত করার মানসে এক সময় এলাকার সব সংবাদিকের সাথে ঘুরেছি, এলাকার বস্তুুনিষ্ঠ ও সঠিক সংবাদ প্রেরণ করবেন সেই আশায় ফ্রী মেইল সেবা দিয়েছি। আমি দেখেছি সৃষ্টিশীলতার অভাবে একই রিপোর্ট কপি-পেস্ট করার মানসিকতা, দু'একজন ছাড়া অধিকাংশরই শিক্ষার অভাবে রিপোর্ট লিখার ব্যর্থতা, রিপোর্ট কাভার করার পর বিনিময়ের কন্ডিশন, টাকা না দিলেই উল্টো রিপোর্ট আরো কত কি। সুতরাং এক সময় মানসিক দিক খেকে খুবই সংকুচিত হয়ে পড়ি।
সুতরাং সরে আসি সেখান থেকে, কেননা এধরনের সাংবাদিকতার জন্য কলেজ শিক্ষকতার সন্মানটুকু কখনোই বিসর্জন দিতে পাড়ি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।