চোখ খুবলে নেয়া অন্ধকার, স্ফুলিঙ্গ জ্বেলে দাও!
দেশ জুড়ে এখন তীব্র শৈত্য প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নেমে গেছে। তীব্র শীতে গত কয়েকদিন ধরে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কয়েক শ' মানুষ মারা গেছে। যারা বেঁচে আছেন তারা তীব্র যন্ত্রণায় রাত কাটাচ্ছেন। প্রতিটি রাত যেন তাদের কাছে জীবন-মরণের সংগ্রামে পরিণত হয়েছে।
মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ, ক্ষতি হচ্ছে ফসলের এবং মারা যাচ্ছে গবাদি পশু।
(প্রপদ কর্মীরা শীতার্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে)
“শীত সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে, শীতার্ত মানুষ, জাতি ও জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে জনগণের উপর চেপে থাকা শোষণমূলক ব্যবস্থাকে আঘাত করুন” শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রগতির পরিব্রাজক দল- প্রপদ শীতের শুরু থেকেই শীতার্তদের সহযোগিতার জন্য হাতে নিয়েছে ‘১৫তম শীতার্ত সহযোগিতা ও প্রচার কার্যক্রম’। ১৯৯৬ সাল থেকেই প্রপদ প্রতিবছর শীতার্তদের সহযোগিতায় শীত বস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণ করে আসছে। প্রতি বছরের মত এবারও শীতে প্রপদ অর্থ, বস্ত্র ও স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে কাজ শুরু করে। শীতের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে প্রচারণার জন্য প্রপদ পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, ভাঁজপত্র প্রকাশ ও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউডা, ঢাকা কলেজের পাশাপাশি সাভার, উত্তরা, রংপুর, নীলফামারী, কিশোরগঞ্জ, জকিগঞ্জ, খানসামা উপজেলায় একযোগে শীত বস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরনের কাজ চলছে।
(সংগৃহীত শীতবস্ত্রগুলো বাছাইয়ের কাজ করছে প্রপদ কর্মীরা)
শীতের শুরুতে প্রপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বেচ্ছাশ্রমদানের আহবান জানিয়ে কর্মী সংগ্রহ করে এবং শীত সংকটের প্রকৃত কারন তাদের মাঝে তুলে ধরে। সংগৃহীত কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন হল ও এ্যাপার্টমেন্টগুলোতে বুথ স্থাপন করে বস্ত্র দেয়ার জন্য আহবান জানায়। পাশাপাশি বিভিন্ন শপিংমল, মার্কেট, দোকান ও জনসমাগমস্থল থেকে প্রপদের কর্মীরা টীম নিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে।
(গ্রামের বাড়ী বাড়ী গিয়ে এভাবেই প্রপদ কর্মীরা জরীপ চালিয়ে খুঁজে বের করে প্রকৃত শীতার্ত মানুষদের।
)
সংগৃহীত শীতবস্ত্র ও অর্থদ্বারা ক্রয়কৃত নতুন গরম কাপড় স্থানীয় ও কেন্দ্রীয়ভাবে বিতরণ করা হয়। বিতরণ টীম কেন্দ্রীয়ভাবে নির্ধারিত এলাকার প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে জরীপ চালায় । যাদের শীতবস্ত্র প্রয়োজন তাদের তালিকা করে টোকেন দিয়ে আসে এবং বিতরনের তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হয়।
(গ্রামের প্রবীন শ্রমজীবী ব্যক্তি দ্বারা শীতবস্ত্র বিতরনের উদ্বোধন করানো হয়। ঠাকুরগাঁওয়ের কিসমত চামেশ্বরীতে উদ্বোধন করছেন প্রবীন শ্রমজীবী তমিজ উদ্দিন)
বিতরণের সময় সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতায় বিতরণ উদ্ধোধন করার জন্য শীতার্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বয়সের শ্রমজীবী ব্যক্তিকে প্রধান অতিথি করা হয়।
টোকেন অনুযায়ী শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিতরণ শেষে শীতার্তদের সাথে শীতের কারণ নিয়ে মতবিনিময়সভা আয়োজন করা হয়। সবশেষে পুরো কাজের বিবরণ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে প্রকাশিত হয় শ্বেতপত্র।
(বৃদ্ধের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিচ্ছে প্রপদ কর্মীরা)
এবারের শীতার্ত সহযোগিতা ও প্রচার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রপদ ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানার কিসমত চামেশ্বরী, লক্ষীরহাট, দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার রামচন্দ্রপুর, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ ও ডোমার উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির চা বাগানে শীতবস্ত্র বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। আরো কয়েকটি এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য টীম পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
প্রপদ ইতিমধ্যে ছাত্র-যুবদের সংগঠিত করে শীতার্তদের জন্য শীতবস্ত্র ও অর্থ সংগ্রহ করে বিতরণ করছে এবং এখনও কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। গত তের বছর ধরেই প্রপদ শীতার্ত সহযোগিতা কার্যক্রমের পাশাপাশি শীত সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য সমাজ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের সংগ্রামে জনগণকে জাগরিত করার চেষ্টা করছে প্রপদ।
গত কয়েকদিনের জরুরী পরিস্থিতিতে ডাকসু ভবনে প্রপদ-এর কার্যালয়ে শীতার্ত সহযোগীতা সমন্বয় সেল স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে প্রপদ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গের ত্রাণ সহযোগিতা ও উদ্যোগকে সমন্বিত করছি। ইতিমধ্যে অনেকে তাদের সংগৃহীত এবং দেয় ত্রাণ নিয়ে প্রপদের কাছে এসেছে।
তাই এই জরুরী শীত সংকটে ব্যাপক ছাত্র-যুব, সব ধরণের সংগঠন এবং ব্যাপক জনগণের প্রতি প্রপদের আহ্বান, ক্ষুদ্র হলেও নিজেদের সামর্থকে সমন্বিত করে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ান।
প্রপদ-এর শীতার্ত সহযোগিতা সমন্বয় সেল-এ সহায়তা সংগ্রহ করছে এবং বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যাক্তিবর্গের উদ্যোগকে সমন্বিত করছে। যে কারো সহায়তার জন্য নেয়া উদ্যোগকে সমন্বয় করতে যোগাযোগ করুন: প্রপদ- ডাকসু ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। ফোন: ০১৯১৩৩০৫২১৪।
শীতবস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণের কাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে অংশ নিতে কিংবা অর্থ ও বস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করতে যোগাযোগ করুন-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়- ০১৫৫৭২৩৯০৮৬
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়- ০১৯১৬৩৩৩৭৯৬
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়- ০১৭২৪০১৪৪২৮
সাউথ ঈস্ট ইউনিভার্সিটি- ০১৬৭৫৩২৪৫০৪
ঢাকা কলেজ-০১৯১৭৪১১৯৬০
ইডেন কলেজ- ০১৯১৫৫৩১৪০৮
ইম্পেরিয়াল কলেজ- ০১৬৭৫১৮৩১৯০
আহসান উল্ল্যাহ বিশ্ববিদ্যালয়- ০১৬৭৬৮৬৮০৮৩
আইইউবিএটি-০১৬৭০৮২৫২৪৮
তিতুমীর কলেজ- ০১৯২১৫২২৭৩৭, ০১৭১০৬৫৩৯৮৫
সাভার -০১৬৭০৯৬৩৪৯২, ০১৬৭৫৫৬৬৫৮৫
উত্তরা-০১৬৭১৪৬৪৪০৮
গেন্ডারিয়া-০১৬৭৫১৮৩১৯০
যাত্রাবাড়ি-০১৭১৭০৫৪৫৯০
কামরাঙ্গীরচর-০১৭১৬৯১১০৪৫
ধানমন্ডি-০১৯১৩৩০৫২১৪
রংপুর-০১৯১৬৯৯৭২০৮
সিলেট-০১৯১৫৪৫৭৪১৫
জকিগঞ্জ (সিলেট)-০১৯১১৫২৬৬৯২
নীলফামারী-০১৯১৮৫৫৪০৬১
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)-০১৯১৪৯২৮৮১৯
এ ছাড়া যে কেউ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চাইলে পাঠাতে পারেন-
মিলন কর, Milan Kar
সঞ্চয়ী হিসাব নং- ০১৭১১০১০০০৩৬০১০,
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ
অথবা সরাসরি যোগাযোগ করুন-
প্রপদ কার্যালয়,
ডাকসু ক্যাফেটরিয়া প্রাঙ্গন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মোবাইল: ০১৯১৩৩০৫২১৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।