আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারুণ্যের জয়

সম্প্রতি শাহবাগ চত্বরে যা ঘটেছে, তাকে গণঅভ্যুত্থান বললেও অতুক্তি হবে না। তারুণের জোয়ার সৃষ্টি করেছে এক মহাগণজাগরণ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে এসেছে আবাল, বৃদ্ধ-বনিতা। ৬ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে এসেছেন মা। স্বামী-স্ত্রী ছেলে-মেয়ে নিয়ে এসেছে গোটা পরিবার।

গ্রাম থেকে ছুটে এসেছে মুক্তিযোদ্ধা কৃষকের সন্তান। কারখানা থেকে এসেছে শ্রমিক। সারাদিন অফিস করে চাকরিজীবীরা রাত কাটাচ্ছেন এই চত্বরে তারুণ্যের সহচার্যে। একটা বিপ্লবী প্রক্রিয়া সমাধানের জন্য যেসব সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের প্রয়োজন, তার সব কিছুই আছে এখানে। গান, কবিতা, নাটক, নৃত্য, কার্টুন, গণসঙ্গীতের আসর বসেছে এই চত্বরের বিভিন্ন এলাকায়।

মুহুর্মুহু সস্নোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে এই চত্বর। এই তরুণরা মুক্তিযুদ্ধ করেনি, মুক্তিযুদ্ধ দেখেওনি। তবুও নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে আর এক মুক্তিযুদ্ধে। এটা দেশ ও জাতিকে বাঁচানোর যুদ্ধ। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার যুদ্ধ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। যে লক্ষ্য সামনে রেখে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সে লক্ষ্য অর্জনের যুদ্ধ। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের ঋণ শোধের যুদ্ধ। নৃশংসভাবে নিহত হওয়া জাতীয় বুদ্ধিজীবীদের অত্মার তৃপ্তির যুদ্ধ। এই যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।

অসূম্পর্ণ বিপ্লবকে পূর্ণতা দিতেই হবে। তা না হলে শহীদদের অত্মা শান্তি পাবে না। একটা রায় ঘোষণা জনগণের প্রত্যাশা পূরণের ব্যর্থ। কয়েকজন যুবকের পারস্পরিক ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযোগ। একটা ব্যানার নিয়ে শাহবাগ স্কয়ারে উপস্থিত।

আর মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক লাখ লোকের সমাগম, কোন দল নয়, সুদৃঢ় নেতৃত্ব নয়, দলীয় সাংগঠনিক তৎপরতা নয়। কাউকে আসার জন্য আবেদন জানানো হয়নি, যাতায়াত খরচ বাবদ পথ ভাড়া দেয়া হয়নি, করা হয়নি এমন কোনো আয়োজন- যার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলসমূহ জনসমাবেশ ঘটায়। অথচ লাখ লাখ মানুষ আবাল-বৃদ্ধ ও বনিতা হাজির হয়েছে কয়েকজন যুবকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে। এ এক বিস্ময়কর ব্যাপার। তা হলে কেমন করে এটা ঘটল।

ঘটেছে এ কারণে জণগণের অতৃপ্ত ক্ষুব্ধ শোকাহত হৃদয়- যা সুদীর্ঘ ৪ দশক ধরে অপেক্ষণমান ছিল ওদের বিচারের রায়ের। যারা ১৯৭১ সালে আমাদের ২.৫ লাখ মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে, ৩০ লাখ শহীদের জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়ে দেশত্যাগ করে আবার ফিরে এসেছে, এই স্বাধীন বাংলার মাটিতে প্রতি বিপ্লব সফল করে। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তযুদ্ধের মহানায়ককে হত্যা করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় ৪ নেতাকে জেলাখানায় হত্যা করা হয়েছে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সমর্থকদের। যে দেশ ওরা স্বাধীন করতে চায়নি, শত্রুপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশে পৃথিবীর বর্বরতম হত্যাকা- সংঘটিত করেছে, সেই দেশেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে তাদের সমমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। প্রদান করা হয়েছ নাগরিকত্ব, রাজনীতি করার অধিকার, অংশীদারিত্ব দেয়া হয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রক্রিয়া। সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বিপুল অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহের।

নতুন করে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে জঙ্গি তৎপরতায়। লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশ আর কখনো যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের ধারায় ফিরে না যায়। সুদীর্ঘ দুই দশক ধরে নির্যাতন চালানো হয়েছে স্বাধীনতার সপক্ষের বৃহত্তম দল আওয়ামী লীগকে ধ্বংস এবং স্বাধীনতার সপক্ষের অন্যান্য শক্তিকে দুর্বল করার জন্য। এ ব্যাপারে তারা বেশ কিছুটা সফল হয়েছে। সফল হয়েছে বলেই সংবিধানে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে।

যুদ্ধাপরাধী ও খুনিদের বিচার করা সম্ভব হয়নি। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬- এই ২১ বছর বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রকৃতির অনুরূপ ছিল না। স্বাধীন বাংলাদেশ ছিল পরাধীনতার গ্লানিতে আবৃত। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবিষ্ট হওয়ার পরই এই পটের পরিবর্তন হতে শুরু করে। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করেন।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম কিছুটা সফল হয় ১৯৯৬ সালের বিজয়ের মধ্যদিয়ে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে শেখ হাসিনা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় বেশ কিছুটা ফিরিয়ে আনেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার শুরু হয়। দ্বিতীয়বার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সে রায় কার্যকর হয়। ২০০৮ সালে নির্বাচনের পূর্বেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতাসীন হয়ে ওই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আইনের শাসনের ধারায় সে বিচার সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। সুদীর্ঘ ৪ বছর পর রায় কার্যকর করা হয়। যুদ্ধাপরাধী প্রথম আসামি বাচ্চু রাজাকারের মৃত্যুদ-াদেশ দেয়া হয়। তিনি দেশের বাইরে থাকায় তার রায় কার্যকর করা আপাতত সম্ভব হচ্ছে না।

দ্বিতীয় রায় ঘোষিত হয়েছে আরেক যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার। মাননীয় ট্রাইব্যুনাল তাকে যাবজ্জীবন কারাদ-ে দ-িত করেছেন। কিন্তু জনগণ এই রায়ে তুষ্ট হতে পারেনি। দেশবাসী সুদীর্ঘ ৪ দশক ধরে যে আশা করেছিল, তার প্রতিফল হয়নি এই রায়ে। বিক্ষুব্ধ তরুণসমাজ সেই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

মুহূর্তের মধ্যে সেই প্রতিবাদ বিক্ষুব্ধ জনগণ 'ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই' বলে রাজপথে নেমে এসেছে। শুধু শাহবাগ নয়, বাংলাদেশের ছোট-বড় প্রতিটি শহরে শাহবাগের মতো প্রতিবাদ স্কয়ার গড়ে উঠেছে। দিন যতই গড়াচ্ছে, জনগণের সম্পৃক্ততা ততই বাড়ছে। দিন নেই, রাত নেই, সকাল নেই, সন্ধ্যা নেই, আহার নেই, নিদ্রা নেই- শুধুই সস্নোগান আর সস্নোগান। 'জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ কর-করতে হবে'।

স্বাধীনতার শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে, স্বাধীন বাংলার মাটিতে তারা যেন আর কোনো দিন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। প্রয়োজন বোধে আর একটা মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে। নতুন প্রজন্মের এই যুদ্ধ সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার যুদ্ধ। অন্যায় ও অসত্যের চির অবসানের যুদ্ধ, মাত্র গুটিকয়েক লোককে ফাঁসি দিলেই এই যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটবে না। ১৯৭১-এর অসূম্পর্ণ বিপ্লবকে সফল করার এই যুদ্ধ সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধের যে লক্ষ্য, তা ছিনিয়ে আনতে চায়।

প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তারা বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী মানবতাবিরোধী অপরাধে অপরাধী সব স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে বিচার করে শাস্তি দেয়ার। স্বাধীনতা অর্জনের পর সুদীর্ঘ ৪ দশক অতিক্রান্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। ১৯৭৫-এর প্রতিবিপ্লবের নেতা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল জিয়াই তাদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অংশীদারিত্ব দিয়েছেন, সামাজিক শক্তি হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। পরবর্তীতে তার স্ত্রী বেগম জিয়া তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট গঠন করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তাদের অধিষ্ঠিত করেছেন।

এমনভাবে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হিসেবে তাদের অভ্যুদ্বয় ঘটেছে। জেনারেল জিয়া ও বেগম জিয়ার লক্ষ্য ছিল, স্বাধীনতার এই শত্রুদের পুনর্বাসিত করে তাদের সমর্থনে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে চিরতরে প্রতিহত করা এবং ক্ষমতার ভীতকে চিরস্থায়ী করা। তাদের অনেকেরই ধারণা, সুদীর্ঘ আড়াই দশক ধরে তারা যেভাবে দেশ শাসন করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে রাষ্ট্রের ক্রিয়া-কর্মের বাইরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, তাতে করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ বাংলার মাটি থেকে চিরতরে ধ্বংস হয়ে গেছে। শুধু তারা কেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি অনুধাবন করতে পারেনি যে, আমাদের যুবশক্তি বিশেষ করে তরুণসমাজ ও আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ঠিক ১৯৭১-এর মতো এখনো ধারণ করে। এবার গণজাগরণই প্রমাণ করেছে, তার সত্যতা।

শুধু কয়েকজন যুবকের আহ্বানে নয়, এদেশের লক্ষ-কোটি মানুষ ভুলতে পারেনি ১৯৭১-এর সেই বর্বরতা। তাদের শোকাহত হৃদয় গভীরভাবে অপেক্ষমাণ ছিল স্বাধীনতার শত্রু ও মানবতাবিরোধীর বিচার করার অদম্য বাসনা। আকাঙ্ক্ষা নিয়ে। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি এখন ক্ষমতায়। জাতির জনকের কন্যা এখন প্রধানমন্ত্রী।

এই সরকারের নেতৃত্বেই ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে ওদের বিচার করার জন্য। এই বিচারের রায় বৃথা যাবে- এটা জনগণ কখনো মেনে নিতে পারে না। সুদীর্ঘ দিনের সঞ্চিত ক্ষোভ দুঃখ-বেদনা তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই অকল্পনীয় গণবিস্ফোরণের মাধ্যমে। কোন দল নয়, নেতা নয়, গণমানুষই এই গণজাগরণের নেতৃত্বে ইন্ধন যুগিয়েছে আমাদের যুব ও তরুণসমাজ। তারা সঠিক সময়, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করার।

'ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই। ' মৃত্যুদ- চাই তাদের, যারা আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে লক্ষ্যহীন করেছে। ৩০ লাখ শহীদের সঙ্গে বেইমানি করেছে। জাতীর জন্য যা অর্জন করা সম্ভব ও স্বাভাবিক ছিল, তা অর্জন করতে দেয়নি। তাই আজকের এই বিপর্যয়।

প্রতিবিপ্লবের পর বিপ্লব ঘটিয়েই একটা দেশ ও সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করা সম্ভব। কোনো দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার পরিসমাপ্তি নেই। একটা নিরন্তর প্রক্রিয়া তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পেঁৗছে দেয়ার জন্য আবহ থাকে। বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়ে তা সফল করতে পারেন নি। এটাও ছিল আর একটি মুক্তিযুদ্ধ।

যে যুদ্ধে তাকে জীবন দিতে হয়েছে এবং তার অনুপস্থিতির কারণেই মুক্তিযুদ্ধ সফল পরিণতিতে পেঁৗছতে পারে নি। যুবসমাজ এভাবে সত্যিকার উপলব্ধি করে থাকে যে, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং এই যুদ্ধে তাদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। তাদেরই দেশকে বিজয়ের সিংহাসনে পেঁৗছে দিতে হবে। তাহলে অবশ্যই শত সাহসী দেশপ্রেমিককে সঠিক নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। মাত্র গুটিকয়েক অপরাধীকে ফাঁসি দিলেই দেশ ও জাতি সঠিক পথে এগুতে সক্ষম হবে না।

যদি না একটি সুদৃঢ় অর্থবহ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সফল না করা যায়। হঠাৎ করে যে বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে আমরা পেঁৗছে গেছি, তা সফল করা বেশকিছুটা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয়। কেবল জাতি ঐক্যবদ্ধ হলেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। ডা. এস এ মালেক: রাজনীতিক ও কলাম লেখক ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।