আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পেশাগত জীবনে সাফল্যের সহজতম উপায়



পেশাগত সাফল্যের কোয়ান্টাম পঞ্চসূত্র ১ম সূত্র ॥ আস্থা-বিশ্বস্ততা · নিজের প্রতি আস্থা রাখুন। কাজের প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন। কাজই হোক আপনার প্রেম। · আংশিক নয়, পেশাকে পরিপূর্ণরূপে গ্রহণ করুন। যখন যে পেশায় থাকবেন, সে পেশার কাজের সঙ্গে একাকার হয়ে যান।

· কাজকে অবহেলা করবেন না। গোঁজামিল বা ফাঁকি দেবেন না। · কোনো অপারগতায় অজুহাত দেবেন না। যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখিয়ে সরল ¯স্বীকারোক্তি করুন। · ভান বা অভিনয় নয়, মনের আনন্দে কাজ করুন।

প্রয়োজনে নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগ দিন। কাজে বৈচিত্র্য আনুন। · যতদিন যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, ততদিন তার স্বার্থ রক্ষায় আপনার পক্ষে করণীয় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। ২য় সূত্র ॥ কর্মকৌশল · সিদ্ধান্ত নিতে সাহসী হোন; অহেতুক বিলম্ব করবেন না। প্রজ্ঞাপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকেই বদলে দেবে।

· উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কম ক্ষতি স্বীকার করে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে সচেষ্ট থাকুন। · যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই সমস্যা সমাধানের কৌশল ঠিক করুন। · প্রতিদিন অন্তত একজন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন। পূর্বপরিচিতদের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রাখুন। · কাজের প্রয়োজনে অন্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও যোগাযোগের মাত্রা/ধরন ঠিক করুন।

· আবেগপ্রবণ হবেন না। প্রো-অ্যাকটিভ থাকুন। অভিমান-অভিযোগ না করে সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিন। ৩য় সুত্র ॥ পেশাদারিত্ব · অফিসকে বাসায় বা বাসাকে অফিসে নিয়ে আসবেন না। পেশাগত বা পারিবারিক দুশ্চিন্তা ও সমস্যা যেন একটি অপরটির শান্তিকে বিঘ্নিত না করে।

· কথায় ও কাজে আন্তরিক প্রাতিষ্ঠানিকতা বজায় রাখুন। · কোনো মন্তব্য বা আচরণের প্রেক্ষিতে বস/ সহকর্মীর সঙ্গে বিরোধে জড়াবেন না। প্রকাশ্যেও কাউকে অপমান বা হেয় করবেন না। · কর্মক্ষেত্রে সম্পর্কের জটিলতা বা ভুল বোঝাবুঝিকে ব্যক্তিগতভাবে না নিয়ে সবসময় সাংগঠনিকভাবে দেখুন। · কোনো ভুল হয়ে গেলে যুক্তিখণ্ডন করবেন না।

অন্যেরা বলার আগে নিজেই তা নিঃসংকোচে স্বীকার করুন। ৪র্থ সূত্র ॥ পদ-আনুগত্য · চেয়ার/বসের প্রতি আন্তরিক আনুগত্য প্রদর্শন করুন। তাহলে আপনিও আপনার অধীনস্থদের আনুগত্য লাভ করবেন। · প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিটি কাজে বসকেই সবচেয়ে নির্ভুল মডেল মনে করুন। · চাকরির কাজে বসের কথা ও সিদ্ধান্তকে সবসময় ‘হাঁ’ বলুন।

তার প্রতি মনে কোনো ক্ষোভ রাখবেন না। মনে ক্ষোভ থাকলে বাস্তবেও দূরত্ব বেড়ে যাবে। · আনুগত্য ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সাংগঠনিক পদক্রম অনুসরণ করুন। · বসের যুক্তিসঙ্গত প্রশংসা করতে কখনোই কার্পণ্য করবেন না। যেকোনো ছোট আনুকূল্যের জন্যেও তাকে ধন্যবাদ দিন।

৫ম সূত্র ॥ ক্রম-উৎকর্ষ · পেশাভিত্তিক যোগ্যতা-দক্ষতা অর্জনের মাপকাঠিতে প্রতিদিন নীরবে আত্মপর্যালোচনা করুন। · প্রচ্ছন্ন নেতৃত্বের (ঘোষিত নয়, কিন্তু সবকিছুর নিয়ন্তা যেন তিনিই) অবস্থানে নিজেকে নিয়ে যেতে সচেষ্ট থাকুন। · ব্যবস্থাপকীয় গুণাবলি ও সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়ান। তাহলে অন্যদের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারবেন। · চাকরি সংক্রান্ত ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন।

· সহকর্মীকে সহযোগী, বসকে অভিভাবক এবং নিজেকে নিজের প্রতিযোগী মনে করুন। সুস্থ প্রতিযোগিতা আপনার কর্ম-উৎকর্ষকে বেগবান করবে। সূত্র: কোয়ান্টাম মেথড

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.