যোগাযোগমন্ত্রীর কল্যাণে এবার সড়ক-মহাসড়কগুলোর অবস্থা গত কয়েক বছরের তুলনায় মোটামুটি ভালো। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে যারা ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন তাদের যাওয়া-আসার পথে এ জন্য কিছুটা হলেও কম ভোগান্তি পোহাতে হবে। তবে তারপরও স্বস্তির কোনো অবকাশ নেই। রাস্তাঘাটের দুরবস্থার ধকল কমলেও অব্যবস্থাপনার ধকল কমছে না। রাজধানী থেকে বাইরে যাওয়ার চারটি সড়কপথের অব্যবস্থাপনায় রাস্তা ভালো থাকা সত্ত্বেও গত কয়েক দিনে যাত্রীদের গড়ে দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ সময় গুনতে হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের যাত্রীদের কাছে জলজ্যান্ত অভিশাপের নাম যাত্রাবাড়ী। সায়েদাবাদ বাসটার্মিনাল থেকে কাঁচপুর ব্রিজ মাত্র কয়েক মিনিটের রাস্তা হলেও এটুকু পথ যেতে এখন সময় লাগছে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত ১৫ গুণ সময় খেয়ে নিচ্ছে এই পথের অব্যবস্থাপনা। যাত্রাবাড়ীতে ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ চলায় যানজট নিয়তির লিখন হিসেবে বিরাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। এর পাশাপাশি সায়েদাবাদ থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত যেখানে-সেখানে বাস-ট্রাক-টেম্পো রাখা যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গাবতলী থেকে বাইরে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে মিরপুর সেতু ৩৩টি জেলার মানুষের জন্য এবার দুঃখ হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মিরপুর সেতুমুখের অব্যবস্থাপনা এবং দুই পাশের রাস্তায় জবরদখলকারীদের দৌরাত্দ্য থাকায় দুই মিনিটের পথ দুই ঘণ্টায় অতিক্রম করাও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গাবতলী থেকে বাস যায় আরিচা ঘাট হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৪টি জেলায়। আর যমুনা সেতু হয়ে উত্তরাঞ্চলের ২০টি জেলায়। অব্যবস্থাপনার কারণে এবার ঈদে ৩৪টি জেলার ঘরমুখো মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। মহাখালী বাসটার্মিনাল থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত কয়েক মিনিটের রাস্তা পার হতে চার ঘণ্টা লাগছে সড়ক অব্যবস্থাপনার কারণে। চালকদের আশঙ্কা, আজ এবং আগামীকাল এ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। অব্যবস্থাপনার কারণে যানজট না থাকা সত্ত্বেও পোস্তগোলার বুড়িগঙ্গা সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনকে জুরাইন এলাকায় ধীরগতির শিকার হতে হচ্ছে। রাজধানীর যানজটের প্রধান কারণ যেমন ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা, রাজধানী থেকে বাইরে যাওয়া এবং আসার পথে সৃষ্টি হচ্ছে একই বিড়ম্বনা। এ ভোগান্তির অবসানে অন্তত এ ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর হতে হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।