আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রতি বছর ঈদ কেন এগিয়ে আসে

ঈদ বর্ষপঞ্জী হিসেব করে এগিয়ে আসে প্রতিবছর। কারণ চন্দ্রমাস অনুযায়ী আরবি ক্যালেন্ডার এগিয়ে যায়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে লিপ ইয়ার ছাড়া দিন সংখ্যা কম-বেশি হয় না। শুধু চার বছর অন্তর একদিন করে বাড়ে এই ক্যালেন্ডারে। এমনটি হওয়ার কারণ সূর্যের চারদিকে পৃথিবী তার কক্ষপথে যে গতিতে ঘোরে তার একদম সঠিক হিসাবটা ক্যালেন্ডারে দিন হিসেবে যোগ হয় না। প্রতি লিপ ইয়ারে এসে সেটার সমন্বয় করা হয়। কিন্তু হিজরি সাল অনুযায়ী আরবি ক্যালেন্ডারের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই ভিন্ন। যেহেতু চাঁদ দেখার ওপরই বিভিন্ন আরবি মাসের শুরু এবং শেষ নির্ভর করে তাই চাঁদ দেখাটাই এখানে আসল বিষয়। আর সে কারণেই বিভিন্ন উৎসবও এগিয়ে আসে। এটাই আরবি ক্যালেন্ডারের বৈশিষ্ট্য। ঈদ, রোজা, মহররমসহ ইসলাম ধর্মীয় দিনগুলো প্রতিবছর এগিয়ে আসে। গত বছরের চেয়ে এবার ১১ দিন আগে ঈদ হবে। এর কারণ, আরবি ক্যালেন্ডার বা হিজরি সন ইংরেজি বা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের বছরের চেয়ে প্রায় ১১ দিন কম। হিজরি সনের প্রতিটি মাস শুরু হয় অমাবস্যার পরের সন্ধ্যায় প্রথম চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে। মাসের প্রথম চাঁদ সূর্যাস্তের পরপরই পশ্চিমাকাশে উদিত হয়। দেখতে খুব সরু কাস্তের একটি ফালির মতো। এ চাঁদ আকাশে ক্ষণস্থায়ী হয়। এর পর প্রতি সন্ধ্যায়ই চাঁদ বড় হতে থাকে। ক্রমে পূর্ণিমা এবং এর পর কৃষ্ণপক্ষে চাঁদ ক্রমে ছোট হয়ে আকাশে দেখা দেয়। আসলে চাঁদ ছোট-বড় হয় না, আকাশে চাঁদের যে অংশ সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে, সেটা বাড়ে বা কমে। চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে বলেই এ রকম হয়। এই ঘোরার পথে রাতে পৃথিবীর বিপরীত পাশে অবস্থিত সূর্যের আলোয় আলোকিত চাঁদের অংশ বাড়ে বা কমে। পৃথিবীও যেহেতু ২৪ ঘণ্টায় নিজ অক্ষরেখার চারপাশে একবার করে ঘুরে আসে, তাই প্রতি রাতেই আকাশে চাঁদ দেখা যায়, শুধু অমাবস্যার সময় চাঁদ ও সূর্য পৃথিবীর একই দিকে চলে যায় বলে ওই রাতে চাঁদ দেখা যায় না। চাঁদ পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করতে যে সময় নেয়, সেটা ইংরেজি ক্যালেন্ডারের প্রায় সাড়ে ২৯ দিনের সমান। কিন্তু যেহেতু মাসের হিসাবে দিনের ভগ্নাংশ থাকে না, তাই আরবি মাস চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৯ বা ৩০ দিনে হয়। ১২ মাসে মোট দিনের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৪ (২৯.৫১২)। কিন্তু ইংরেজি ক্যালেন্ডার হিসাব করা হয় সৌরবছর দিয়ে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে প্রায় ৩৬৫ দিন লাগে। তাই প্রতিবছর ইসলাম ধর্মীয় দিবস ও মাস ১১ দিন করে এগিয়ে আসে। সে জন্যই গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত ঘুরে ঘুরে সব ঋতুতেই ঈদ আসে। প্রায় ৩৩ বছর পর পর বছরের একই সময়ের কাছাকাছি সময়ে ঈদ হয়। যেমন : এবার ঈদুল ফিতর হচ্ছে আগস্ট মাসের শুরুর দিকে। ২০৪৬ সালে আবার প্রায় এই সময়ে ঈদুল ফিতর আসবে। সে যাই হোক না ঈদ এগিয়ে এসে ক্যালেন্ডারে যতটুকুই এগিয়ে যাক না কেন আনন্দ আর উৎসবের কোনো কমতি হয় না কখনো। *রকমারি ডেস্ক

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.