২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই সচিব ও সচিব পদমর্যাদার ১৫ জন কর্মকর্তা অবসরে যাচ্ছেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব শেখ মোহাম্মদ ওয়াহিদ উজ জামানের চাকরির মেয়াদ আছে আর মাত্র দুই দিন। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি অবসরে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ জনপ্রশাসন ট্রেনিং সেন্টারের রেক্টর এ জেড এম শফিকুল ইসলামও এ মাসেই অবসরে যাবেন। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি তার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোখলেছুর রাহমানের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৪ মার্চ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব (ওএসডি) মোহাম্মদ নুরুল হকও অবসের যাচ্ছেন আগামী ৭ মার্চ। প্রাইভেটাইজেশনের সদস্য রোকেয়া সুলতানা অবসরে যাচ্ছেন আগামী ২ জুলাই। এর মাত্র একদিনের ব্যবধানেই অবসরে যাচ্ছেন অর্থ বিভাগের সচিব ফজলে কবির। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সি কিউ মোশতাক আহমেদও এর কয়েকদিনের ব্যবধানে অবসরে যাচ্ছেন। তার চাকরির মেয়াদ রয়েছে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত। সি কিউ মোশতাকের অবসরের পরের দিনই অবসরে যাচ্ছেন পরিকল্পনা কমিশনের সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ শফিকুর রহমান পাটোয়ারির চাকরির মেয়াদ আছে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত। রেল সচিব আবুল কালাম আজাদ অবসরে যাচ্ছেন আগামী ৯ আগস্ট। নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ সাদিক অবসরে যাচ্ছেন আগামী ১৮ আগস্ট। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ গোলাম রব্বানির চাকরির মেয়াদ আছে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপরই তাকে অবসরে যেতে হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ সিদ্দিকীর চাকরির মেয়াদও শেষ হচ্ছে অক্টোবরেই। আগামী ৩১ অক্টোবরের পরেই তাকে যেতে হচ্ছে অবসরে। এডিবির অতিরিক্ত বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ইকবাল মাহমুদ অবসের যাচ্ছেন আগামী ২৯ নভেম্বর। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য সচিব মোহাম্মদ নিয়াজ উদ্দিন মিয়ার চাকরির মেয়াদ রয়েছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশাসনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ এই কর্মকর্তাদের কেউ কেউ চুক্তিতে চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর লবিং করছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার চুক্তিতে মেয়াদ না বাড়িয়ে প্রশাসনকে গতিশীল করতে চান। সূত্র মতে, প্রশাসনের রেগুলার ব্যাচের কর্মকর্তাদেরই সংশ্লিষ্ট পদে পদায়নের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।