আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নভেম্বরের শেষ বিকেল

লেখক/কবি

শীত প্রায় এসে গেছে বলে, মাঠের প্রান্ত জুড়ে মড়া ঘাস আর দূরের ঝোপ জঙ্গল সে কথাই বলছে। জীবন্ত এই কলেজ ক্যাম্পাসটাও হঠাৎ কেমন যেন একটা ক্লান্তি মেখে স্থির দাড়িয়ে আছে। কি করি কোথায় যাই, কিছুই ভালো লাগছে না, কলেজের হাফটাইমের পর নিজেকে কেমন মড়া মড়া লাগে। এই সময় বাসায় ফিরতে পারলে খুবই ভালো হতো, কিন্তু উপায় নেই, ম্যাথ ক্লাশটাযে করতেই হবে। আমারতো আর প্রাইভেট পরার মত সুযোগ হবে না।

আলাদা করে টিউটরের কাছে পড়া দরকার কিন্তু উপায় নেই, আব্বার ব্যবসার যে অবস্থা এই সময় এমন কিছু বলতে গেলেই সোজা ঝাড়ি খাবো। আবার একা একা এমন জটিল বিষয় আমর পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। অগত্যা কি আর করা ক্লাসটা করেই যাই। এদিকটায় ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে হরতাল হবার কোন সুযোগ নেই, তার পরেও আম্মা বার বার কলেজে আসতে আজকে নিষেধ কর ছিলেন। গেট থেকে বের হয়ে আসার আগে আমার মনেও কেমন যেন লাগছিলো, এতসব পাত্তা না দিয়ে শেষে ঠিকই কলেজে আসলাম, ভালয় ভালয় ক্লাসও করলাম টানা ব্রেকের আগ পর্যন্ত।

যাদের অনেক দূর হতে আসতে হয়েছে তারা এসেছে সিভিল ড্রেসে। এসেই ক্যান্টিন এর টয়লেট এ গিয়ে ইউনিফর্ম পড়ে নিয়েছে। ব্রেকের সময় আমরা ক্যান্টিন থেকে হালকা খাওয়া দাওয়া সেরে এসে কলেজের সামনের প্রসস্থ মাঠটিতে গোল পাকিয়ে আয়েস করে বসলাম। এমন সময় পেছন দিক থেকে আদিল এসে আমার হাত ধরে টেনে কাত করে এখনি ওর সঙ্গে রওনা দিবার জন্য বললও। সাড়ে তিনটার বাসে উঠবে।

বাসায় গিয়ে তৈরি হতে হবে এই কম সময়ের মধ্যে। “কি ব্যপার তুমি উঠতাছোনা ক্যান বাপ” আদিল আমাকে টানতে টানতে বললও “এখন রওনা না হলে বাস ধরতে পারবো না, তাড়াতাড়ি চল। ” আমারও ওর সঙ্গে যাবার ইচ্ছে ছিলো। সেভাবেই আমরা ক্লাসের ফাঁকে কথাবার্তাও বলেছি। কিন্তু এই কয়েক মিলি সেকেন্ডের মধ্যে আমার চিন্তায় কি যে কি খেলে গেলো আমি সোজা বলে উঠলাম “দেখ ভাই আদিল আজকের ম্যাথ ক্লাসটা আমার জন্য খুবই ইর্ম্পটেন্ট, আমি ভাই তোমার সঙ্গে এখন ওত দূরে যেতে পারবো না, বাসার থেকেও দিবেনা, তাছাড়া বাসার কাউকে তো বলেই আসিনি, আম্মা অনেক চিন্তা করবে।

” এই ফাঁকে আমি কল্পনার মনো ছবিতে দেখে নিলাম ভোর বেলার সেই রোমান্টিক দৃশ্য, এসময় ভাগলে চলবে না, ও কি ব্যপারটা সবাইকে বলে দিয়েছে যে একলা ঘরে বিছানায় আধা ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়ে জোর করে ওকে চুমু খেয়েছি আমি ?, না এসময় ঢাকা ছেড়ে ভাগলে চলবে না, সামনা সামনি মোকাবেলা করতে হবে। পরক্ষনেই আবার ভাবছি অবস্থা যদি এমনই হয় তাহলে তো বাসায় ঢোকা একদমই হারাম হয়ে যাবে, কি উপায় আদিলের সঙ্গে ওর বাড়ি যাওয়াইতো অনেক ভালো অন্তত কয়েক দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকা যাবে। তার দু’তিন দিন বাদে যখন বাসায় ফিরবো সবাই হয়তো ব্যপারটা ভুলেই যাবে নতুবা অনেক হালকা হয়ে যাবে, আবার ভাবছি এভাবে যদি কাউকে একদম না বলে চলেই যাই তাহলে আম্মা যে পরিমাণে টেনশন করবেন তাতে সবাই আমার ওপর আরও বেশী ক্ষেপে যাবে। আদিল কি বুঝতে কি বুঝলও জানিনা কিন্তু ও আর আমাকে একদমই জোরাজোরি করলো না, শুধু বললও “জিয়াটা আজকে না এসে ভেজাল করলো, ও থাকলে এতক্ষণে আমরা তিনজন রওনা হয়ে যেতে পারতাম, এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে তার মধ্যে তুমি এখন আবার নতুন করে বলছও যাবে না, থাক কি আর করা, থাকো তুমি তোমার মতো থাকো। ” “থাকো তুমি তোমার ম্যাথ ক্লাস নিয়া” “ম্যাথে কে বেশী নম্বর পায় দেখাযাবে” আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে না নিয়ে খানিকটা মুচকি হাসলাম, হাত দেখাতে দেখাতে আদিল রাস্তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

অন্যপাশে ক্যান্টিনের খানিকটা সামনে তখনো বিমান বাহিনীর বাস অপেক্ষা করছে, ক্লাস শেষে যখন বের হবো তখন কিন্তু এত সুন্দর করে বাস দাড়িয়ে থাকবেনা। হেটে হেটে সেই সিগনাল পর্যন্ত যেতে হবে, সে অনেক দূর, ভাগ্য ভালো হলে রিক্সাও পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু বিকেল বেলা রিক্সার সংখ্যা অনেক কম থাকে এদিকটায়। বন্ধুরা সবাই দল বেধে হাটতে ভালই লাগে পথের ক্লান্তি থাকেনা। কিন্তু আজকে জিয়া আদিল কেউ না থাকায় কেমন জেনো একলা হয়ে গেলাম বলে মনে হচ্ছে।

মাঠের গোল পাকানো আড্ডায় একটু পর ওদের কথা আর মনেই আসলো না। এক সময় ক্লাস শুরুর ঘণ্টা পরলও। আমরা যে যার মতো ভৌ-দৌড়। বাকিটা সময় ক্লাস আর ক্লাসের ভেতর খণ্ড আড্ডায় বুদ হয়ে রইলাম। ছুটির পর দল বেধে সারি সারি ইউনিফর্ম পরা ছাত্র-ছাত্রী পিচ ঢালা প্রায় যানবাহন শূন্য পথ ধরে হাঁটছি।

মাঝে মধ্যে দু’একটা রিক্সা আর আর্মি ভ্যান যাচ্ছে। অনেকে দৌড়ে উঠেও যাচ্ছে সেই সব ভ্যানে। ওরা কলেজ ইউনিফর্ম অবস্থায় যে কাউকে যাত্রা পথে লিফট দেয়। আর পথের সঙ্গে মিললেই আর সিট খালি থাকলেই কেবল সেটা সম্ভব হয়। নচেৎ নয়।

আমাদের সামনে পেছনের অনেকে সেসব গাড়িতে উঠেও গেলো, এখন বাস নেই হঠাৎ আসা এই গাড়ি গুলোই দ্রুত বাসায় যাবার অন্যতম উপায়। আমরা কিএক আড্ডায় ডুবে গেলাম, হাটা পথে কথার আড্ডা। বুদ হয়ে রইলাম, সবাই বলতে ব্যস্ত, খুব কমই শুনছে। সামনে থেকে কেউ এসে পেছনের হাটা দলে যোগ দিচ্ছে আবার কেউ সামান্য দৌড়ে সামনের সারিতে চলে যাচ্ছে। পথ যত এগিয়ে আসছে ততই জেনো আমার ব্যস্ততা বাড়ছে, বাসায় গিয়ে একের পর এক কি কি করবো মনে মনে তার ছক কাটছি।

খানিক বাদে সোজা রাস্তার শেষ মাতায় আসতেই সিগনালের টেম্পো স্ট্যান্ডে ভীর চোখে পরলও। খালি টেম্পো আসতেই হুর মুরিয়ে আরও সব লোক জনের সঙ্গে আমরা একদল ইউনিফর্ম পরা ছাত্র উঠে পরলাম। রাস্তা একদম ফাকা। রোমান্টিক টেম্পোচালক এই সুযোগে পঙ্খীরাজের মতো প্রায় হাওয়ায় উড়িয়ে এগিয়ে চললও। আমার জায়গা হয়েছে পেছনের দিকের চার জনের সিটের একদম ডান পাশে।

আর বামদিকের প্রথম সিটটায় আমার আগেই উঠেছে বসেছে মুন্না। ওর ঠিক উল্টো দিকে মানে আমার ডানপাশের প্রথম সিটে বসেছে রঞ্জু। অবশ্য ওর সঙ্গে তখনো আমার তেমন খাতির হয়ে ওঠেনি। আপনি আপনি সম্পর্ক। তাই সামান্য এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকলাম।

টেম্পো জেনো বাতাসে উড়ে চলছে। বিমান বাহিনীর বড় বাসে করে ফিরতে না পারার আক্ষেপ আর রইলো না। আদিলের কথাও এর মধ্যে কিছু মনে নেই। মাথার ভেতর সেই একটাই চিন্তা ... ... কখন বাসায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া সেরে... ... ওর দেখা পাওয়া যাবে... ... কি বলবো... কি বলে শুরু করবো... কি হতে যাচ্ছে... হঠাৎ আমি এমনটা না করলে কি পারতাম না ? ... আবার মনে হচ্ছে ভালই হলও..., এমনি করে কত কথা ভাবতে ভাবতে চোখের সামনে দিয়ে কত সুন্দর দৃশ্য দূরে সরে যেত থাকলো, নভেম্বরের মৃদু রোদ মাখা একটি বিকেল, বাতাসে শীতল আমেজ, অচেনা ফুলের ঘ্রাণ, গাছগাছালির দীর্ঘ ছায়া, প্রকৃতি আর আমার ভেতরকার ক্লান্তি, বন্ধুদের কোলাহল, কন্ডাকটরের ডাকাডাকি; সব কিছু মিলেমিশে জেনো অভূতপূর্ব এক আবহের মাঝে ডুবে গেলাম। সেনানিবাসের নির্জন পরিপাটি রাস্তার কারণে বাধাবিঘ্নহীন অসীম গতিই এক সময় আমাদের সবার জন্য কাল হলও।

কে জানতো এবছরের মতো এটাই হবে নভেম্বরের দেখা আমার শেষ বিকেল। হঠাৎ ভারি ব্রেক কষার শব্দে আমার সম্বিৎ ফিরে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ডানকাত হয়ে টেম্পো যায় উল্টে। ভয়ানক চিৎকার চেঁচামেচি, কোলাহল। যাত্রীরা যেযার মত কাত হওয়া সেই টেম্পো থেকে একে একে নেমে যাচ্ছে।

বেরিয়ে যাওয়া অনেকেই ভেতরে আটকে থাকাদের হাঁকডাক সহ নানান ভাবে সাহায্য করছে। আমি বের হবার জন্য একটু সোজা হবার চেষ্টা করতেই বুঝতে পারলাম কাজটা আর সম্ভব না। কারণ আমার ডান হাতে ডানপাশের রেলিং ধরা ছিলও সেটা এখন আমার হাতকে চাপাদিয়ে আছে। যে কোন ধরনের নড়াচড়া ভয়াবহ হতে পারে বুঝতে পারার পর অন্যদের ডাকছিলাম। বন্ধুদের অনেকে তখনো পরিস্থিতি আচ করতে না পেরে আমাকে বেরিয়ে না আসার জন্য রাগি স্বরে ডাকছে।

এক পর্যায়ে ব্যপারটা অন্যদের বুঝাতে পারলাম। সবাই মিলে এবার টেম্পোটাকে সোজা করে দাড় করালও। আমি স্বাভাবিক ভাবে বেরিয়ে আসতে গিয়ে হাতের দিকে তাকিয়ে আঁতকে উঠলাম !অন্যরাও ! যাত্রীদের মাঝে আমার ইনজুরিটাই ছিলও সবচেয়ে মারাত্মক। কিন্তু কন্ডাকটর আর ড্রাইভারের অবস্থা আরও খারাপ। আমার বন্ধুরা তখন দায়িত্ব এড়াতে ব্যস্ত অথবা ঘটনার ভয়াবহতা ওদের চোখ এড়িয়েছে।

ওরা আমাকে একাই একটা রিক্সা নিয়ে কাছের পোস্ট অফিস হসপিটালে যাবার পরামর্শ দিচ্ছে। রঞ্জু পাশদিয়ে যেতে থাকা একটা রিক্সার পথ আটকাল। আমি উঠতে চাইলাম কিন্তু পারছিলাম না। রঞ্জু আমাকে নিয়ে রিক্সায় উঠলো, ততক্ষণে সাদা ক্ষত থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করেছে, মুন্না পাশে বসাছিলো, রিক্সা চলতে শুরু করেছে। এরা আমাকে ক্ষতের জায়গাটি চেপে ধরে রাখতে বলছে কিন্তু চেষ্টা করার পরও আমি পারছিলাম না।

জেনো তলিয়ে যেতে লাগলাম। প্রচণ্ড এক শ্রান্তি আমার ওপর ভর করলো। জেনো আর কিছু না ভাবলেও চলবে। ঘুম প্রচণ্ড এক ঘুম। হসপিটালের ডাক্তারের বকাঝকাতে সে ঘুম ক্ষণিকের জন্য ভাঙ্গলও।

“এই ছেলে এর মধ্যে কি খেয়েছও কিছু,” বন্ধু আর দেখতে আসা অন্যদের সঙ্গে তার কথাবার্তা আবছা শুনতে পাচ্ছি, “ইনডেক্স ফিঙ্গারের টেন্ডন ছিড়েগেছে, মেজর অপারেশন লাগবে, এখানে সেই ব্যবস্থা নেই, অন্যকথাও নিয়ে যান। খেয়াল রাখবেন কোন কিছু জেনো খাওয়ানো না হয়। আর যে করেই হোক একে জাগিয়ে রাখবেন, কিছুতেই ঘুমতে দেওয়া যাবেনা। ” আমি আবারো সেই অতলে তলিয়ে যেতে থাকলাম কিন্তু এবার সবাই আমাকে কথাবার্তা বলে ব্যস্ত রাখলও। বাসা থেকে বড়ভাই আসার পর আমাকে নিয়ে রওনা হলও পঙ্গুতে।

পোস্ট অফিস জেনারেল হসপিটালের গেট পার হবার পর পর গ্লাস উঠিয়ে দেওয়া হলও। এম্বুলেন্সের শব্দ গেলো থেমে। পথে আবারো অন্য এক জগতে তলিয়ে গেলাম। আমার পরিচিত কোনকিছুর সাথে তার মিল নেই, স্পর্শ, গন্ধ কোন কিছুই না, শুধু মনে হচ্ছিলো সামনে কী ঘটবে, কী ঘটেছে আসলে সবই আমার জানা ছিলও। শুধুই এমন মনে হতে থাকে।

হঠাৎ কুঁকড়ে উঠলাম। ইশ জেনেশুনে আজকে বাসা থেকে বের হলাম ! আম্মাতো এই কথাই মনে হলও আমাকে বার বার বললও, তার পর কেনো.... ! তার পর যেনো নিকট ভবিষ্যতে ঘটবে এমন ভয়ানক আরও কিছু ঘটনা আগাম দেখে আমি শিউরে উঠছিলাম... ... এভাবেই যেন কাটলও কত শত অনন্তকাল... ... নিজের ভারেই(!) যেন আবার ভেসে উঠলাম... ... অচিন অনন্ত আমাকে জেনো বেশী ক্ষণ ধরে রাখতে পারছিলনা। ময়মনসিংহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহতরা করিডোরের দুপাশে অসহায় কোঁকাচ্ছে। হাত বা পা ছেড়া থেঁতলে যাওয়া জখম কয়েকটি শরীর নিথর পড়ে আছে। তার মাঝ দিয়েই পঙ্গু হসপিটালের জরুরি বিভাগ হয়ে ট্রলিতে করে আমাকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো অপারেশন থিয়েটারের দিকে।

তারপর অপারেশন থিয়েটারের স্পট লাইটের নিচে পাতা বিছানায় কতক্ষণ কেটে গেলো মনে নেই, এক সময় এনিসথেটিস্ট এসে ইনজেকশন দিলো, পরিচিত ভঙ্গিতে কথাবার্তা বলতে লাগলো “তোমাকে নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাস দিয়ে এবার অজ্ঞান করা হবে, মেজর অপারেশন তো” এই বলে মাস্ক পড়িয়ে দিলো” সার্জন খেদের সঙ্গে বলছে “ভাই কি যে অপারেশন করবো জানিনা, যন্ত্রপাতির যে অবস্থা তাতে আর কাজ করতে মন চায়না” এ কথা শোনার পর আমি নড়ে চড়ে উঠতে যাচ্ছিলাম, সব জান্তার মত বললাম এই হাত দিয়ে আমাকে অনেক লিখতে হবে প্লিজ... ...! এমন সময় কড়া এক ধরনের গ্যাস ঢুকতে শুরু করলো নাক দিয়ে, আমি প্রচণ্ড জোরে শ্বাস নিতে শুরু করে দিলাম, যে করেই হোক পতন ঠেকাতে হবে, তার পরও আবার তলিয়ে যেতে থাকলাম... ...! জেনো কোন কুয়ার ওপর থেকে কেউ একজন অনেক জোরে শব্দ করে বলে যাচ্ছিলো “এই ছেলে আস্তে নিশ্বাস নাও, একটু এদিক সেদিক হলে আমরা তোমাকে আর জাগাতে পারবো না !” কিন্তু তার সেই কথার জবাব দেওয়ার সময় আমার আর হলও না, ইচ্ছেও করছিলো না, আবারো সেই অসীম অনন্তের মাঝে ডুবে যাচ্ছি... ... এই পরম অনুভূতিই আমাকে তখন ঘিরে ছিলও ! সে বছর তাই নভেম্বরের পরের বিকেল গুলো আমার আর দেখা হয়ে ওঠেনি। ১৯৯২, ২৯ই নভেম্বরের ঘটনা, আমার ইন্টারমিডিয়েট ফাস্ট ইয়ারের ক্লাস মাস তিনেক আগে সবে মাত্র শুরু হয়েছিলো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.