"বাউল মানুষ"
এগুলো কী গাছ, সবুজ রঙের? তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার সেই গাছ দেখে প্রকৃতিপ্রেমী এক বন্ধুকে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, ‘ভাই, আর কেউরে কইয়েন না, আশপাশে তাকান, আর গাছটা ভালো কইরা দেহেন। তাইলেই বুঝবেন। ’ সাত-আট বছর আগের ঘটনা। নিয়মিত ছবি তুলতে সেদিন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের উদ্ভিদ উদ্যানে গিয়েছি।
ভালো করে গাছটি দেখে আমি হতবাক। এরপর দীর্ঘ সময় গাছটির সামনে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, তাকিয়ে ছিলাম। ভাবছিলাম, সত্যি দেখছি তো!
গাছটি ছিল গোলাপ ফুলের। একটি নয়, পাশাপাশি অনেকগুলো গাছ একসঙ্গে। সবুজ রঙের গোলাপ ফুলের গাছ! এ রঙের গোলাপ হয়, আমার ভাবনাতেই ছিল না।
শুনিনি আগে কোনো দিন। সেই প্রথম দেখলাম। তারপর সে বছরই জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে গিয়ে গোলাপ বাগানে পেলাম সবুজ গোলাপ ফুলের গাছ। সেই থেকে প্রতিবছর শীত এলেই ছুটে যাই সবুজ গোলাপ ফুল দেখতে। নিজে দেখি, অন্যকে দেখাই।
আনন্দ পাই। মানুষ কালো গোলাপ নিয়ে পাগল। কোথায় কালো গোলাপ! খুব ঘন লালচে গোলাপকে কালচে রঙের দেখায়। আর সেই কালো গোলাপ খোঁজে সবাই। সবুজ রঙের গোলাপ হয়—এমন বিশ্বাস মানুষের মধ্যে কম।
উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে, সবুজ গোলাপের বয়স কম করে হলেও ৩০০ বছর। সবুজ গোলাপ আকারে খুবই ছোট হয়ে থাকে। এর পাতার গঠনও খুব ছোট। ফুলের পাপড়ি আর পাতার রঙে সামঞ্জস্য আছে। পাতার মতোই ফুলের পাপড়িও করাতের মতো ধারালো।
ফুলের পাপড়ির সংখ্যা অনেক। কম করে হলেও ত্রিশের মতো! কিন্তু ফুলের গন্ধ তেমন তীব্র নয়, একেবারেই হালকা সুগন্ধযুক্ত ফুল সবুজ গোলাপ। পাপড়ি শুঁকে তবে গন্ধ পেতে হয়। তার পরও সবুজ গোলাপকে সবুজ রং এবং ধারালো পাপড়ির জন্য হলেও মনে রাখতে হবে।
আমাদের দেশে সবুজ গোলাপ নেই বললেই চলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ উদ্যানে (কার্জন হলে) চামেলি ফুলের পাশে এক লাইনে সাত-আটটি এবং মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের বিশাল গোলাপ বাগানে অনেকগুলো সবুজ গোলাপ ফুলের গাছ রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।