ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অপেরার নামে যুবতী মেয়েদের নগ্ন নৃত্য। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শৈলকুপার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের আশুরহাট সপ্তপল্লী নতুন বাজারে ঢাকঢোল পিটিয়ে অশ্লীল কর্মকান্ড চলে আসলেও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের টনক নড়ছে না। এদিকে লাঙ্গলবাধ বাজারে তক্কেল মণ্ডল ও আব্দুর রশিদ নামে ২ জুয়াড়ি জুয়ার কোট বসিয়ে প্রকাশ্যে জুয়া খেলা ও মদ-গাঁজা বিক্রি করে যাচ্ছে। স্থানীয় মুসল্লিরা যাত্রার নামে এ নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার কোট বন্ধের দাবি জানিয়ে মিছিলও করেছে। জেলা প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত এ ধরনের অনুষ্ঠান কীভাবে চলছে তারও প্রশ্ন তোলেন গ্রামবাসী।
শৈলকুপার আশুরহাট গ্রামের অভিভাবকরা জানান, গত ১৫ নভেম্বর থেকে গ্রামের কতিপয় অর্থলোভী ব্যক্তি পুলিশকে ম্যনেজ করে সাপখোলা নতুন বাজারে যাত্রার নামে যুবতী মেয়েদের অর্ধনগ্ন করে নৃত্য পরিবেশন করছে। দিনের পর দিন জেলা প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে এ অবৈধ নৃত্যানুষ্ঠান
চলে আসলেও বিষয়টি নিয়ে কেউ মাথা ঘামাচ্ছে না। এদিকে একদিন পরই শুরু হচ্ছেন প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। পরীক্ষা সামনে করে গ্রামের মধ্যে এ নগ্ন নৃত্য চলায় অভিভাবকরা পড়েছেন বিপাকে। রাতে উচ্চ শব্দের ঢাকঢোল ও মাইকের আওয়াজে পরীক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
গ্রামের মুসল্লিরা জানান, এশার নমাজের মধ্যেও তারা বিরতি দেয় না।
এদিকে শৈলকুপার লাঙ্গলবাধ বাজারে প্রকাশ্যে জুয়ার কোট বসেছে। মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সাবিনগর গ্রামের জনৈক তক্কেল মণ্ডল লঙ্গলবাধ বাজারের নিজের কাঠের আড়তে দিনে এবং রাতে জুয়ার কোট পরিচালনা করছে। সেখানে রাতে মদ ও গাঁজাও বিক্রি করা হয় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। একই বাজারের পেঁয়াজহাটে জনৈক রশিদ মণ্ডল তার গোডাউনে আরেকটি জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রকাশ্যে জুয়ার কোট চলায় এলাকার রিকশা-ভ্যান চালকরাসহ দরিদ্র মানুষ জুয়া খেলায় হেরে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছে।
"ইভটিজং কি জিনিষ এরা জানে না,জানে যা দেখছি এইখানে তা কামে লাগাইতে হইবো"
নগ্ন নৃত্য প্রতিজেলাতে আয়োজন করা হয় । আমার মতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের হাতে আছে বিষয় টি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।