ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে পতিতারা তাদের যৌনতার পুরোটুকু বিক্রি করছে মাত্র ১৫ পাউন্ডের বিনিময়ে। সম্প্রতি পরিচালিত এক গবেষণায় দেশটির পতিতাদের করুণ অবস্থা উঠে এসেছে। পাচার হয়ে যাওয়া নারীদের চ্যারিটি সংস্থা ‘দ্য পপি প্রজেক্ট’ ৯ শ’রও বেশি পতিতালয়ে জরিপ চালিয়ে দেখেছে যে, অনেক পতিতাই তাদের খদ্দেরদের জন্যে মাত্র ১০ পাউন্ড অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়েই ‘অ্যানাল সেক্স’ -এর মতো উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন সেবা দিয়ে থাকে। গবেষণা পরিচালনার করবার সময় গবেষকরা সম্ভাব্য খদ্দেরের বেশে ৯২১টি পতিতালয়ে ফোন দিয়েছিলেন। এই পতিতালয়গুলোর তরফ থেকে স্থানীয় সংবাদপত্রে এই মর্মে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল যে, তাদের কাছে বিভিন্ন প্রকার ৭৭টি জাতিগোষ্ঠীর মেয়ে রয়েছে; যাদেরকে সেক্সের জন্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এদের অনেকেই এসেছে ইস্টার্ন ইউরোপ এবং সাউথ-ইস্ট এশিয়ার মতো পাচার হওয়ার মোক্ষম জায়গাগুলো থেকে।
পপি প্রজেক্টের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, অনেক পতিতালয় থেকে ‘কমবয়সী যুবতী মেয়েদের’ ব্যাপারে লোভনীয় অফার দেয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে পতিতালয়গুলো এ ধরনের কম বয়সী মেয়ে থাকবার ব্যাপারে প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি দেয় না।
এই গবেষণা প্রজেক্টের অন্যতম একজন হেলেন এটকিন্স বলেন, ‘সেক্স ইন্ড্রাস্ট্রির এই আনাগোনা এখন লন্ডনের অলিতে-গলিতে প্রসারিত হয়ে গেছে। পতিতাদের অব্যাহত চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এমনটি হয়েছে।
’ তিনি আরো জানান, পতিতাবৃত্তিতে জড়িত অধিকাংশ নারীই জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে এ ধরনের পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্য তাদেরকে এ পথে আসতে বাধ্য করেছে।
জরিপে আরো জানা গেছে যে, পতিতারা পূর্ণ সেক্স করতে গড়ে ৬২ পাউন্ডেরও কম নিয়ে থাকে। জরিপ করা পতিতালয়গুলোর ৯৫ শতাংশ অবস্থিত আবাসিক এলাকাগুলোতে। বেশ গোপনীয়তার সাথে এগুলোর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এরকম একটি পতিতালয় থেকে গবেষকদের জানানো হয়েছে যে, তারা শুরুর দিকের খদ্দেরদের জন্যে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়ে থাকে, যাতে করে তারা পরবর্তীতে আসতে উদ্বুদ্ধ হয়।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।