সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদবিরোধীদের ওপর সরকারি বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বলা হয়েছে, সরকারি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় অন্তত ১৩০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। হামলা অব্যাহত থাকায় হতাহতের ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছে ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। সংস্থাটি জানায়, সরকারি বাহিনী রাজধানী দামেস্কের গোতা উপশহরে বিদ্রোহীদের গোপন ঘাঁটিতে প্রচণ্ড হামলা চালায়। তারা সরাসরি রাসায়নিক হামলার অভিযোগ না করলেও বিদ্রোহীরা বলেছে, সরকারি বাহিনী এ ধরনের নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করছে। সিরিয়ায় সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। উভয়পক্ষ একে-অপরের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ করছে। সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের একটি দল সিরিয়া সফরে এসেছে। ঠিক এমন সময় বিরোধীদের পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ কতটা সত্যি আর কতটা প্রচারণামূলক তা একটি বিবেচ্য বিষয়। রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার হোক না হোক সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মানবতা যে আজ বিপদাপন্ন তা একটি মহাসত্যি। বিদ্রোহী বাহিনীর ওপর সরকারি বাহিনীর বড় ধরনের হামলায় ১৩০০ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা এই আরব দেশটির ভয়াবহ অবস্থার সাক্ষ্য দেয়। সিরিয়ায় একদলীয় শাসন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। অজনপ্রিয় এ শাসনকে উপলক্ষ করে পশ্চিমা শক্তি ও ইসরাইল সিরিয়ায় ক্ষমতার রদবদল ঘটাতে চাচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে আসাদ সরকারের ভূমিকা বিতর্কিত হলেও বিদেশি আধিপত্য ও ইসরাইলবিরোধী মনোভাবের জন্য তাদের পরিচিতি সুবিদিত। সিরিয়ায় জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা কাঙ্ক্ষিত হলেও সে দেশের গৃহযুদ্ধে ইসরাইল ও পশ্চিমা শক্তির মদদ সুস্পষ্ট। এ মদদ মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, ভারসাম্য এবং স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিরিয়ার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের স্বার্থে সে দেশে সব ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ যেমন বন্ধ হওয়া দরকার তেমন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ উন্মোচনেও সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এর ব্যত্যয় গৃহযুদ্ধকে আরও ঘোরতর করে তুলবে এবং এ ধরনের পরিস্থিতি ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদী
শক্তিকে লাভবান করাবে। যা কাম্য হওয়া উচিত নয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।