সিরিয়ায় সম্ভাব্য ইঙ্গ-মার্কিন হামলাকে কেন্দ্র করে বিশ্বশান্তি মারাত্দক হুমকির মুখে পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সিরিয়ার সামরিক লক্ষ্যস্থলগুলোতে সর্বাত্দক হামলা চালাবে এমন খবর প্রচারিত হয়ে যায় সংবাদ মাধ্যমে। সিরিয়া সরকার বিদ্রোহীদের দমনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে এই অভিযোগে সে দেশের আসাদ সরকারকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা হামলার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। সম্ভাব্য এ হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন, রাশিয়া ও ইরান। মার্কিন হামলা ঠেকাতে রাশিয়া সিরিয়ার পক্ষে ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র হামলার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এলেও তাদের যুদ্ধপ্রস্তুতি চলছে সমানতালে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, দামেস্কে সরকারি বাহিনী রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে এটি নিশ্চিত হওয়ার পর তার দেশ পদক্ষেপ নিতে চায়। স্মর্তব্য জাতিসংঘ সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত চালাচ্ছে। বারাক ওবামা প্রশাসন এই তদন্তের ফলাফল হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। সিরিয়ায় হামলা চালানোর বিরুদ্ধে রাশিয়া ও চীন অবস্থান নিলেও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণ হলে দামেস্কের পক্ষে তাদের অবস্থান নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রেসিডেন্ট আসাদের স্বৈরাচারী সরকার জগদ্দল পাথরের মতো জনগণের ওপর চেপে আছে। গৃহযুদ্ধে ইতোমধ্যে সে দেশের এক লাখেরও বেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ প্রাণভয়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। সিরিয়ায় স্বৈরশাসন অকাম্য হলেও সে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বাইরের হস্তক্ষেপও একটি অবাঞ্ছিত বিষয়। স্বৈরতন্ত্রের অজুহাত তুলে মধ্যপ্রাচ্যের ভারসাম্য নষ্ট করতে ইসরায়েল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং বিদ্রোহীদের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর মদদ মানব সভ্যতার অন্যতম পাদপিঠ সিরিয়াকে বিপজ্জনক পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে কিনা সে প্রশ্ন কম নয়। আমরা মনে করি বিশ্বকে সংঘাতের মুখে ঠেলে দেওয়ার বিপদ থেকে রক্ষা করতে সিরিয়া সংকটের সমাধানে সশস্ত্র পদক্ষেপের বদলে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা দরকার। এ বিষয়ে জাতিসংঘ সমন্বিত পদক্ষেপ নেবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।