সর্বদা উদ্দোমী, প্রানবন্ত কলেজ জীবনের একটি চরিত্র জুনিয়র বন্ধু রাসেল। বাংলা বিভাগে পড়ার পাশাপাশি কিছু লেখালেখি, কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা ও অহর্নিশ ভালবেসে যাওয়া পার্বতী এই নিয়ে তার গত বাধা জীবনযাত্রা। একই মেসে থাকায় তার কবিতা, গান, রাজনীতি, সমাজনীতির পাশাপাশি তার অন্যতম অংশ পার্বতী সহ সব কিছুর অালোচনা-সমালোচনার একমাত্র ব্যাক্তি এই অামি। মাঝে মধ্যে জোসনা প্লাবিত রাত্রে মেসের পাশে রেল লাইনে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা তর্ক চালাতাম সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে। তবে সব চেয়ে অাশ্চর্য হতাম তার পার্বতীকে নিয়ে, যেখানে তার প্রেম শুদ্ধ, সব কিছুর উপরে।
তার প্রেমের শুদ্ধতা, জোসনা প্লাবনের সাথে হিমেল হাোয়া মিশে অামার সর্বাঙ্গ শিহরিত করে তুলত। অাপন মনেই বলে উঠতাম শুদ্ধ তোমার প্রেম, তুমি শুদ্ধ, পার্বতী শুদ্ধ, তোমাদের সবকিছু শুদ্ধ, তোমাদের জয় হোক। ।
কিন্তু সেই পার্বতী অাজ কোথায়? শুদ্ধ প্রেমের বদলে বন্ধুকে দিয়েছে কান্না, বুক ভরা কষ্ট, অনেক অনেক অভিমান। পার্বতী রাসেলকে ছেড়ে গেছে অনেক অনেক দুরে।
২০০৩ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর নীলাম্বরী শাড়ী পড়ে এক অাচল সাদা ফুল নিয়ে অপেক্ষায় থাকবে বলেছিল পার্বতী। ফুরফুরে অনূভূতী নিয়ে চঞ্চলা হরিণীর মতো ছুটছিল এদিক সেদিক - কিন্তু কি কল্পনায় যেন দাড়িয়ে যায় উঠোনে নারিকেল গাছ তলায়্ । দেখছিল চিকন নারিকেল পাতা যা হাওয়ায় ঝিরঝির করছে। কিন্তু বিধাতা এ কোন খেলা........................... না বিধাতা না ..এটা করো না ওর শুদ্ধতার প্রয়োজন অামাদের সকলের..................
বিধাতার খেলায এক ঝাক শক্ত কষ্ট ওর মাথার উপর পড়ে। সুন্দর নিস্পাপ দেহটি লুটিয়ে যায় ধুলোয়
চলে যায় অাকাশের ঐ পাড়ে.........................
অাসুন অাজ সবাই ওর শুদ্ধ প্রেম কে স্বগত জানাই...
অার রাসেল অাজো অন্ধকার তারাভরা রাতে অাকাশ পানে চেয়ে প্রশ্ন তোলে... "অাকাশ ভরা তারার মাঝে অামার তারা কই"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।