আমি সবুজ হতে চাই
উপরের যে মেয়েটিকে দেখতে পাচ্ছেন তার নাম রন্টি দাস। উনি একজন ক্লোজ আপ ওয়ান তারকা এবং একজন গায়ক। আর নিচের ছবিটা হচ্ছে তার বিয়ের সময়ের ছবি
এখন দেখেন তার এই বিয়ের ছবিতে তার ভক্তকুলদের কমেন্ট
এইটা দেখেন একজন ভারতীয় বাঙালি কি বলে। ভারত নাকি অসাম্প্রদায়িক দেশ
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসি ভারতীয় হিন্দু ভাইয়ের বাংলাদেশী হিন্দুদের জন্য জান-প্রান ছুইট্টা যাইতেছে দেখেন
হায় হায় একি বলে
তার স্বামীটাকে বানায়া ফেললো লাদেনের ছেলে। একজন তাকে অপবাদ দিলো কল গার্ল
আরও
স্বামীর পেশা নিয়ে টানাটানি
লজ্জায় মরে যাচ্ছে সবাই
মেয়ের বাবা-মায়ে নিয়ে টানাটানি
অবস্থা না কুলাইতে ভারতীয় হিন্দি ভাষী হিন্দু ভাইয়েও পর্যন্ত নিয়ে আসা হইছে
ভাইয়েরা অনেক বুঝাইছে
ওঃ গালাগালি রে ভাই
৫ হাজার লাইকের হিন্দু পেজগুলাও এসে হাজির গালাগালিতে অংস নিতে
মোট কথা আমি কি আর বলবো।
আমি পুরাই অবাক। একটা মেয়ের বিয়ের ছবি ফেসবুক এ আপলোড দেওয়াতে উনার ভক্তকুল এবং সম্প্রদায়ের মানুষরা তো পারলে তাকে ফেসবুক এই মেরে ফেলে। এমন অনেক সুন্দর ভাষা ব্যাবহার করা হয়েছে ঐ মেয়ের প্রতি যে আমি সেটা ব্লগে দিতে পারলাম না। মোট গালাগালির কমেন্ট ২৫০ টার উপরে যে সমস্ত গালাগালি ৬৮ টা স্ক্রিনশট নিতে হয়েছে। তা ফেসবুক এ অ্যালবাম হিসেবে আমি সংরক্ষন করে রেখে দিয়েছি
এখানে
এইটা সে মেয়ের ফেসবুক পেজ এইখানে
বিয়ে করার পর থেকে উনি প্রতিটা পোস্ট এই এখন গালাগালির স্বীকার হচ্ছেন।
উনার পেজ এ গিয়ে উনার প্রতিটা স্ট্যাটাস দেখলেই এর সত্যতা পাবেন।
এখন কথা হচ্ছে উনি এই ছবিটা উনার ফ্যান পেজে দিয়েছিলো। হয়ত উনার আশা ছিলো কমেন্ট এর মাধ্যমে কিছু শুভেচ্ছার বানী পাবে। কিন্তু আমাদের সমাজের একদল অসভ্যর কমেন্ট তিনি হয়তো আশাকরে নি
আমার স্ট্যাটাস এ কে একজন কমেন্ট করে জানালো এখানে যেতে। ভদ্র সমাজের দেখা নাকি সেখানে পাওয়া যাবে কিছুটা
যারা ঐ মেয়ের পেজ এ এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এ আক্রমন করেছে তাদের বেশীরভাগই অনলাইন এবং ফেসবুক এ উগ্রবাদী হিন্দু পেজ চালায় বা সে পেজের সাথে জড়িত।
হয়ত বা অচিরেই আমরা তার ফল পাব আমাদের সমাজে
জয় বাংলা
খেতাবালিশ সামলা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।