আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রিকেটে বিশ্বায়ন,জাতীয় সংগীত এবং আমাদের গাধামি......

শুভ্রতায় ভরে উঠুক চারিপাশ......

গতকাল বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া খেলা দেখলাম......শুরুতেই জাতীয় সংগীত.....ইদানিং ক্রিকেটকেও ফুটবলের মত আরও বেশী করে আন্তজাতিকীকরণের চেস্টা হচ্ছে দেখে ভালই লাগল......দুই দেশের খেলয়াড়েরা ছোট ছোট বাচ্চাদের হাত ধরে মাঠে ঢুকল, দুই পাশে দুই দেশের পতাকার সামনে গিয়ে দাঁড়াল......শুরু হল জাতীয় সংগীত। প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার পালা......জাতীয় সংগীত বাজল, তারা তাদের মত করে সম্মান দেখাল,শেষ হল এবং তারপর হাততালি। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত শুরু হতেই অবাক হয়ে দেখলাম একটা দৃশ্য। দেখে তাজ্জব বনে গেলাম। এ কি!!! এভাবে দাড়ালো কেন ওরা!!!সবাই জাতীয় সংগীত চলাকালীন সময়ে ডান হাত বুকের বা পাশে দিয়ে দাঁড়াল!!!! অন্য হাত সোজা নিচে ঝুলানো!!!! (ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের এভাবে দাঁড়াতে দেখেছি) যদিও সংবিধানের কোথাও লেখা নাই জাতীয় সংগীত চলাকালীন সময়ে কিভাবে দাঁড়িয়ে সম্মান দেখাতে হবে......লেখা থাকার কোন প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু আমাদের নিজস্ব প্রথা আছে! আছে নিজস্ব রীতিনীতি!! ছোটবেলায়, school-এ সবাইজাতীয় সংগীত গেয়েছি; বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, এমনকি ছিনেমা হলে ছিনেমা শুরু হওয়ার আগে---যেখানেই হোক না কেন-- আমাদের সবারই বেশ ভাল অভিজ্ঞতা আছে এ ব্যাপারে। যাই হোক, অনেকজনকেই দেখেছি জাতীয় সংগীত চলাকালীন সময়ে ইতঃস্তত করতে......হাতদুটো কিভাবে রাখবে বুঝতে পারছে না! কেউ হয়ত সোজা ঝুলিয়ে রাখছে, কেউবা পিছনে হাত বেঁধে দাঁড়িয়েছে, কেউবা সামনে বুকের কাছে এনে দুই হাত বেঁধে রেখেছে!! আমি বেশ মজাও পেয়েছি অনেকসময়। প্রথাটা হচ্ছে--দুই হাত দুই দিকে ঝুলিয়ে রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ানো। কিন্তু বাংলাদেশের গাধাগুলো ওভাবে দাঁড়ালো কেন?????? ওটা কি আমাদের প্রথা, আমাদের নিয়ম????ডান হাত বাঁ বুকে তুলে হৃদয় ছুঁয়ে দাঁড়ানো??? এমন আন্তজাতিক খেলা, বিদেশের মাঠ, দেশি-বিদেশি সবাই দেখছে, সেখানে আমাদের নিজস্বতা থাকবে না???? আমরা আমদেরকে কি এমন ভুলভাবেই তুলে ধরতে চাই??? গর্ব করার মত তেমন তো কিছু নাই ই, তার উপর এমন অসংলগ্ন আচার আমাদের মাথা আরও হেট করে দেয়.........নিজের অজান্তেই ছিঃ ছিঃ বেড়িয়ে আসে মুখ থেকে......জাতীয়তাবোধ, জাতিস্বত্তা--এসব আমাদের জন্য কেবলই 'বই-এর কথা'...... আমি প্রতিনিয়ত ধিক্কার দেই নিজেকে এমন দেশের নাগরিক হাওয়ার জন্য, এমন জাতির গর্বিত(!!??) সন্তান হওয়ার জন্য। এই ঘটনাটা আমার সেই ধিক্কার দেয়াটিকেই বাড়িয়ে দিল......ধিক্ নিজেকে, ধিক্ শতবার......

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।