কেনিয়ায় পাঁচ বছর আগে ঘটা নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতো সম্পৃক্ত বলে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে দুই নেতাকে অবিচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার জন্য জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০০৮ সালে সংঘটিত ওই সহিংসতায় অন্তত দেড় হাজার মানুষ নিহত হয়। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় ছয় লাখ লোক। এ ঘটনার পর তা তদন্তে ‘দ্য ট্রুথ রিকনসিলিয়েশন অ্যান্ড জাস্টিস কমিশন’ (টিআরজেসি) গঠন করা হয়।
টিআরজেসি ১৯৬৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনা তদন্ত করে গত মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট উহুরুর কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
২০০৭ সাল পর্যন্ত কেনিয়ার প্রধান বিরোধী দলের নেতা ছিলেন উহুরু ও রুতো। ওই বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাঁদের দল জয়লাভ করে। এরপর শুরু হয় ভয়াবহ ওই সহিংসতা।
প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ না করা প্রসঙ্গে টিআরজেসির চেয়ারম্যান বেথুয়েল কিপলাগাত বলেন, ওই সহিংসতার কারণে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের সম্মুখীন হয়েছেন।
টিআরজেসির প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও মন্ত্রী নাজিব বালালা ও দুজন সিনেটরের বিরুদ্ধে সহিংসতায় সম্পৃক্ত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এমন শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের ব্যাপারে আরও তদন্ত করে তাঁদের বিচারের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। শুধু তা-ই নয়, টিআরজেসির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও অধিকতর তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ১৯৮৪ সালে ওয়াগালা গণহত্যায় সম্পৃক্ত থাকতে পারেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
উহুরু কেনিয়াত্তা দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট জোমো কেনিয়াত্তার ছেলে।
জোমো কেনিয়াত্তা কেনিয়ার স্বাধীনতার পর ১৯৬৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৭৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিবিসি ও এএফপি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।