এই ব্লগের কোন লেখা আমার অনুমতি ব্যতীত কোথাও ব্যবহার না করার অনুরোধ করছি
০৭.১১.২০০৫
প্রচন্ড ক্লান্তি লাগছে যদিও বলার মতো কোন কাজই আজ করা হয়নি। নিজেকে কেমন যেন ছন্নছাড়ার মতো লাগছে, এতদিন ধরে বুকে পুষে রাখা স্বপ্নেরা সব চলে গেছে দূরে কোথাও, কোন অচিন দেশে, যেখানে পাখি নেই, গান নেই, আলো নেই, বৃষ্টি নেই; সেখানে রয়েছে কেবল গুমোট, নীরব আঁধার। আমার স্বপ্নেরা সেখানে মরে গেছে, সেখানে বেঁচে থাকা যায় না, অক্সিজেনের বড় অভাব, তাই ওরা মরে গেছে। আমি জানি না আর কখনও ওরা ফিরবে কি না, কখনও বেঁচে উঠতে পারবে কি না, আবার কোনদিন রঙ্গীন হয়ে উঠবে কি না, আবার আমাকে নতুন করে বাঁচতে শিখাবে কি না, অনুপ্রেরণা যোগাবে কি না। কিন্তু, সে পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আমার অন্য কিছুই আর করার নেই, ক্লান্তিকর, দীর্ঘকায়, একরাশ মূহুর্ত। বিধাতা বড় বেশি স্বার্থপর, তিনি মৃত্যুকে মানুষের হাতে ছেড়ে দেননি, দিলে ভালো হতো, এমন অবস্থায় মানুষ স্বেচ্ছামরণে যেতে পারত!
খুব স্বাভাবিক, সাধারণভাবে শেষ ছুটির দিনটা কাটালাম। সন্ধ্যায় বের হয়েছিলাম ওর বাসার দিকে, প্রবেশাধিকার অই বাড়িতে এখন আমার নেই আর, তবু আমার শেষবারের মতো যাওয়া একটু প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। আমি যেটুকু শুনলাম, বিশ্বাস করিনি, অবিশ্বাস্য সব গল্প, কিন্তু কত অবিশ্বাস্য চরম সত্যই না নিরন্তর ঘটে চলেছে আমাদের চারপাশে!
আমি কষ্ট পাইনি এক বিন্দুও, দোষারোপ করি নি কেউকে, অভিযোগ বা অনুরোধও করি নি, প্রচন্ড শূণ্যতা বোধ করি নি, সেটা অনেক আগেই বোধ করা আমার; আমি শুধু অবাক হয়েছি, ভীষণ অবাক।
[রোজার ঈদের চার দিন পরের দিনলিপি ছিল এটা।]
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।