এই ব্লগের কোন লেখা আমার অনুমতি ব্যতীত কোথাও ব্যবহার না করার অনুরোধ করছি
০৪.০৮.২০০৭
অশুভ, ভীষণ অশুভ, জন্মদিন।
দন্ডিত মানুষ আমি, অনুভূতিশীল এবং বাকশক্তিহীন, গোটা একটা জন্ম ধরে আমাকে প্রায়শ্চিত্ত করে যেতে হবে, কারণ, কখনও আমি কবিতা লিখতাম, অস্বীকার করতাম পৃথিবীর সমস্ত অশুভকে; আমি তাই ভোগ করছি অনন্ত যন্ত্রণাময় দন্ড।
সারাটাদিন একা একা কাটালাম, এখন আমি ঢাকা থেকে, আমার আজন্ম লালিত স্বপ্নময় চেনা গন্ডি থেকে, আমার জন্মভূমি থেকে অনেক দূরে, চাইলেই চলে যেতে পারছি না অই প্রিয় শহরে, অই আজিমপুরের অলিতে-গলিতে খুঁজে ফিরতে পারছি না আমার কৈশোরকে, আশ্রয় খুঁজতে পারছি না চিরচেনা ধূলিকণাগুলোর কাছে। এখানে এমন কেউ নেই যার সাথে আমি দেখা করতে পারি, এমন কিছু নেই যেটা আমি উপভোগ করতে পারি, এমন জায়গা নেই যেখানে আমি যেতে পারি-এটা ঢাকা নয়।
জন্মদিনের প্রথম শুভেচ্ছাটি পেয়েছিলাম তোমার কাছ থেকেই।
মাত্র পাঁচ মিনিটের একটি সংক্ষিপ্ত কথোপকথন, যা আমাকে বীতশ্রদ্ধ করে তোলে জীবনের প্রতি, আমার কাছে বোঝা মনে হয় জীবনকে। বন্ধুরা শুভেচ্ছা জানায়, জানায় আরও অনেকেই, এবং অনেকেই জানায় না, আমি এতে কোন আবেগ বোধ করি না।
এবং সারাদিনে অসংখ্য অশ্রুবিন্দু আমি প্রখর রোদে শুকোতে দেই, তাদের শেষকৃত্য করি, আমার মনে হয় অশ্রুবিন্দু দিয়ে আমি তোমার জন্য স্বাধীনতা কিনছি, আমার অশ্রুগুলো তোমার জন্য স্বাধীনতা বয়ে আনছে, সুখ বয়ে আনছে। আর কতগুলো অশ্রুবিন্দু ঝড়ে পড়লে তুমি সম্পূর্ণ স্বাধীন হবে? সম্পূর্ণ সুখী হবে? কতোটা পরাধীন, কতোটা অসুখীই না আমি তোমাকে করে রেখেছিলাম!
অনেক্ষণ পা ডুবিয়ে বসে ছিলাম আমার হল সংলগ্ন বিশাল দীঘির পাড়ে, সারারাতই, এখন আমি জানি এই দীঘির অজস্র বৃন্দ জলবিন্দুতে আমার অশ্রুরও কয়েক ফোঁটা অবদান আছে।
[চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম জন্মদিন ছিল সেটা, তখন ঢাকা শহরকে অনেক মনে পড়ত, এখন ঢাকাকে খুব অসহ্য লাগে।
সেই জন্মদিন এর পর থেকে তার সাথে আমার আর কখনও কথা হয়নি। ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।