এই ব্লগের কোন লেখা আমার অনুমতি ব্যতীত কোথাও ব্যবহার না করার অনুরোধ করছি
০৬.১২.২০০৫
ঢাকা শহরের তরুণীরা আবারো আগের মতো উচ্ছ্বল, প্রাণবন্ত; আমাকে ওরা এতটুকু প্রাণশক্তি দিতে চায় না, ওরা নির্দয় হতে পারে ভীষণ, ওরা অতীতকে ছুঁড়ে ফেলে বর্তমানকে উপভোগ করে ভবিষ্যৎকে পরিকল্পনাময় করে তুলতে পারে, ওদের জীবন আনন্দের এবং প্রাপ্তির, আমি ওদের দিকে তাকিয়ে কোথাও গাঢ় বিষাদ বোধ করি, প্রচন্ড শূণ্যতা আমাকে ছেয়ে যায়; এবং আমি কিছুটা পুলক বোধ করি, ওদের শূণ্যতাটুকু আমি আমার করে নিয়েছি বলে।
আমি কারো সাথেই আর কথা বলি না, আমার কাছেও কেউ আসে না, আমার কদর্য চেহারা কুষ্ঠরোগীর মতো বিকৃত, আমি তোমার মতো স্বপ্নলোকের নারী দূরে থাক, বিচিত্র এই নগরে আমার পুরোনো বন্ধুদের সান্নিধ্য পাওয়ার যোগ্যতাও আর রাখি না অনেকদিন।
এবং আমি রাজপথে বেরিয়ে আসি, বিষণ্ন বোধ করি প্রতি ঘনফুট বাতাস জুড়ে, ডিসেম্বর বলে পতাকা বিক্রি হয় এখন রাজপথে, গাঢ় সবুজের মাঝে টকটকে লাল; আমি সেখানে স্বাধীনতা খুঁজতে চাই, প্রাণশক্তি খুঁজতে চাই, বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজতে চাই, অথচ সেখানে আমি প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়া ছাড়া কিচ্ছু দেখতে পাই না, সেখানে মৌলবাদীদের লকলখে জীব দেখতে পাই, সেগুলো রক্তমাখা, বীভৎস; সন্দেহাতীতভাবেই আমার চেহারার চেয়ে অনেক বেশি কদর্য, অনেক বেশি পঙ্কিল, নোংরা।
আমি গাঢ় লাল বৃত্ত দেখি, বাঙলাদেশের নারকীয় হত্যাযজ্ঞগুলো সেখানে লেপ্টে থাকে; দূষিত রক্তের নোনতা, বোঁটকা গন্ধে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, আমি জীবনের কোন অর্থ খুঁজে পাই না, এবং হঠাৎ আমি বুঝতে পারি আমার কী করা উচিৎ।
কিন্তু আত্নহত্যাকে যে আমি শিল্পকলা বলে ভাবতে পারি না!
[উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় আমি যতটা অনুভূতিশীল ছিলাম, এখন তার ছিঁটেফোঁটাও আর নই, পুরোনো ডায়েরি ঘাটতে ঘাটতে আমার এখন এটাই সবচেয়ে বেশি মনে হচ্ছে। আজকের দিনলিপি নিলাম আমার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মাত্র চার মাস আগের একটি বিষণ্ন দিন থেকে, মনে পড়ছে, জীবন তখন আমার কাছে বড় বেশি নিরর্থক ছিল।]
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।