মঙ্গলবার সকালে ইসলামে কওম পরিষদ নামের একটি সংগঠনের নেতৃত্বে প্রায় ৫/৬শ’ লোক এতে অংশ নেয়।
এ সময় তারা পল্লীর মেয়েদের মারধর এবং ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মেয়েদের সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথ করে দেয়।
বেলা ২টার মধ্যে পতিতাপল্লী খালি হয়ে যায়। ছেলেমেয়েসহ এখানে বসবাস করতেন পাঁচ শতাধিক যৌনকর্মী।
পল্লীটি জোরপূর্বক উচ্ছেদ না করার আদেশ ছিল হাই কোর্টের।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইসলামে কওম পরিষদ এই পতিতাপল্লী উচ্ছেদের আন্দোলন করে আসছিল।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ৫/৬শ’ লোক এখানে হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নাম প্রকাশ না করে ওই পল্লীর এক নারী বলেন, “কথা ছিল আমাদের পুনর্বাসন করা হবে।
কিন্তু তা না করে এভাবে আমাদের উচ্ছেদ করা হল। এখন আমরা যাব কোথায়? খাব কী?”
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সুজিত চ্যাটার্জি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ পল্লী জোরপূর্বক উচ্ছেদ না করার আদেশ রয়েছে হাই কোর্টের। তাই উচ্ছেদ কাজটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে হওয়া উচিত ছিল।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ মে হাই কোর্ট এ আদেশ দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।