এরমধ্যে বদরপাশা ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার এবং কদমবাড়ি এলাকায় অপর ঘটনাটি ঘটে তার এক সপ্তাহ আগে।
রাজৈর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে নয়ানগর গ্রামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী (১৫) প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় বদরপাশা গ্রামের ফেরদৌস শেখ, রোমান মিয়া ও অজ্ঞাত পরিচয় এক বখাটে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে মেয়েটির আত্মীয়স্বজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজৈর উপজেলা হাসপাতাল ও পরে রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
মেয়েটির মা সাংবাদিকদের জানান, “আমার মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। এই ঘটানার পর থেকে আমরা ভেঙ্গে পড়েছি।
এখন আমার মেয়ের পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ”
তিনি ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, “আমরা প্রাথমিকভাবে আলামত সংগ্রহ করে রেখেছি। ২/১ দিনের মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়া হবে। ”
থানার ওসি মনিরুজ্জামান আরো জানান, কদমবাড়ির আড়–য়াকান্দি নটাখোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার এক অপর কিশোরী (১৪)।
মেয়েটির মা সাংবাদিকদের বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) তিনি মেয়েকে নিয়ে কদমবাড়ির কীর্তনীয়া বাড়িতে রামকীর্তন শুনতে যান। সেখান থেকে কৌশলে উল্লাবাড়ি গ্রামের শ্রীকান্ত বালার ছেলে অনিমেশ বালা তার মেয়েকে নিয়ে যায় গজারিয়া এলাকায়।
সেখানে অনিমেশসহ একটি নির্জন স্থানে নিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই এলাকার আরো কিছু বখাটেও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি দেখতে পেয়ে অনিমেশ ও তার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারাও পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না তারা। ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে। এ কারণে মামলা করতেও সাহত পাচ্ছেন না তারা।
ধর্ষকের পরিবারের চাপের কারণেই মেয়েটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হয়নি বলেও দাবি করেন মেয়েটির মা।
ওসি মো. মনিরুজ্জামান আরো জানান, বদরপাশার ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ফেরদৌস শেখ, রোমান মিয়া ও অজ্ঞাত পরিচয় একজনের বিরুদ্ধে রাজৈর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
“তবে, কদমবাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনাটি আমি শুনেছি। কিন্তু এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি বলে আমরা খোঁজখবরও নেইনি,” বলেন ওসি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।