মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অজুহাতে আজ বেলা ১১টার দিকে ইউএনও এবং এসিল্যান্ডকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ইউএনওকে লাঞ্ছিত ও তার গাড়িও ভাংচুর করা হয়। প্রায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশী প্রহরায় তাদের মুক্ত করা হয়।
আজ ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা শুরুর ১ ঘন্টা পরে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম এবং সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড ঝুমুর বালা পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে যায়।
এ সময় কলেজ কেন্দ্রের একটি কক্ষে প্রবেশ করলে দায়িত্বরত ওই কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদুর রহমানের সাথে তাদের পরিচয় জানতে চান।
এ সময় ওই শিক্ষকের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়।
কলেজ শিক্ষকদের অভিযোগ, কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে এই সরকারি কর্মকর্তারা পরীক্ষার হলে ঢুকলে শিক্ষকরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে খারাপ ব্যবহার করে। এই খবর জানতে পেরে বাইরে থাকা কলেজের থাকা শিক্ষার্থীরা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
এদিকে সরকারি কর্মকর্তাদের দাবী, ইউএনও কলেজে ঢোকার পর ভবনের একটি কক্ষে প্রবেশ করার সময় তাকে বাধা দেয় শিক্ষকরা। এ সময় শিক্ষকরা বলেন আপনার দায়িত্ব কলেজ পরিদর্শন করা তবে আপনি পরীক্ষার কক্ষে ঢুকতে পারবেন না।
কলেজের বারান্দায় দাড়িয়েই এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হলে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
দুপুর আড়াইটার দিকে এই ঘটনায় নিয়ে কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান ও সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আবু বকর সিদ্দিকের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের পর পুলিশী প্রহরায় তাদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করে আনা হয়। কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সরকারী নাজিমউদ্দিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিতেন মন্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'সামান্য ভুল বোঝাবুজির কারনে এই ঘটনা।
সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে'।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।