মাদারীপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্রীনিবাসে নিয়মবহির্ভূতভাবে ছাত্রীদের পাশের কক্ষে থাকছেন প্রতিষ্ঠানের ছয় পুরুষ কর্মচারী। এতে ছাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে মাদারীপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ভবন নির্মাণকাজ শেষ হলেও চলতি বছর জানুয়ারি মাসে এটি চালু হয়। ইনস্টিটিউটের ভবনই ছাত্রীনিবাস হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। জানুয়ারি থেকে ছাত্রীনিবাসে ৪৮ জন ছাত্রী বসবাস করে আসছেন।
একই ভবনে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ক্লাসও চলে। কিন্তু পাঁচ বছর ধরে ওই ভবনে বসবাস করে আসছেন এমএলএসএস হুমায়ুন, হারুন ও বাসার, টেবিলবয় শরীফ এবং কুক-মশালচি আতিক। জানা গেছে, তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা স্টাফ কোয়ার্টার খালি না হওয়ায় তাঁরা ছাত্রীনিবাস ছাড়ছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রীনিবাসের একাধিক ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাত্রীনিবাসের পাশের কক্ষে পুরুষ কর্মচারীরা বসবাস করায় আমরা স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারি না, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেকে ইনস্টিটিউট ছেড়ে চলে যেতে পারেন।
’ আর যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কাও করছেন অনেক ছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকেরা।
ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ পুতুল রানী রায় বলেন, ‘ছাত্রী হোস্টেলে পুরুষদের থাকার কোনো বিধান নেই। তবে ইতিপূর্বে ছাত্রীনিবাস খালি থাকায় ওই কর্মচারীরা পাঁচ বছর ধরে এখানে বসবাস করছে। এখন ছাত্রী ভর্তি হয়েছে, তাই ছাত্রীনিবাস থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু ইনস্টিটিউটের পুরুষ কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ করা কোয়ার্টারে সদর হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের কর্মচারীরা থাকায় আমাদের কর্মচারীরা সেখানে উঠতে পারছে না।
কোয়ার্টার খালি করে দেওয়ার জন্য ইতিপূর্বে সিভিল সার্জনকে দুইবার চিঠি দিয়েছি। কোয়ার্টার খালি হলেই সেখানে ওই পুরুষ কর্মচারীদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ’
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন আবু বকর মোল্লা বলেন, ‘নার্সিং ইনস্টিটিউটের হোস্টেলে যে ছয় কর্মচারী রয়েছে, তারা তো তাদেরই কর্মচারী। ইনস্টিটিউটের ছাত্রীনিবাসে তাদের কর্মচারীদের থাকা না থাকার বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আমার নয়। সেখানে একজন ইনচার্জ আছেন।
বিষয়টি তাঁর দায়িত্বে। সিভিল সার্জন অফিস ও ইপিআইয়ের যে কর্মীরা নার্সিং ইনস্টিটিউটের স্টাফ কোয়ার্টারে রয়েছে, তারা আগের সিভিল সার্জনের মৌখিক অনুমতি নিয়েই সেখানে উঠেছিল। কারণ তা খালি পড়ে ছিল। যেহেতু ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তাই আমরা তাদের দ্রুত কোয়ার্টার খালি করে দিতে বলেছি। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।