আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজ্ঞানীদের কি দোষ ? ইরানের শীর্ষ পরমানূ বিজ্ঞানি নিহত ।

I have recognized God from the breaking of my plans ( Hazrat Ali [R.A] )

রাজনিতির খেলায় বিজ্ঞানীরা বলি হয় । কি জন্য ? রাজনিতির এই খেলা শেষ হবে না, আর বিজ্ঞানিদের বলি হওয়া শেষ হবে না । এই বলি হওয়ার শিকার গ্যালালীয় থেকে মাসুদ আলী মোহাম্মাদি পর্যন্ত । আইস্টাইন কেও নিজের দেশ থেকে পালিয়ে বেরাতে হয়েছিল । আরো কত কি হবে ? যাইহোক, মঙ্গলবার তেহরানে নিজের বাড়ির কাছে বোমা বিস্ফোরণে মারা যান ৫০ বছরের মাসুদ আলী মোহাম্মাদি।

তিনি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যাপনা করতেন । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের রাজধানী তেহরানে বোমা হামলায় একজন ইরানী পরমাণু বিজ্ঞানীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, "যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িয়ে তেহরান যে অভিযোগ করেছে তা অতিরঞ্জিত। " গতকাল সকালে তেহরানে নিজ বাসভবনের সামনে দূর নিয়ন্ত্রিত বোমা বিস্ফোরিত হয়ে ইরানী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মাসুদ আলী মোহাম্মাদি নিহত হন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গতকালই ঐ হত্যাকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের হাত থাকার অভিযোগ করেন।

জনাব রমিন মেহমানপারাস্ত বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ড. আলী মোহাম্মাদির উপর হামলায় যুক্তরাষ্ট্র, ইহুদীবাদী ইসরাইল ও তাদের এদেশীয় এজেন্টদের হাত থাকার আলামত পাওয়া গেছে। ওদিকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রচারিত নিজেদের রেডিও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গতকালের ঐ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। ইরানে পুনরায় রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকারী দ্যা ইরান রয়াল এসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের কমান্ডোরা ড. আলী মোহাম্মাদিকে হত্যা করেছে। ২০০৮ সালের এপ্রিলে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শিরাজ শহরে রয়াল এসোসিয়েশনের শক্তিশালী বোমা হামলায় ১৩ জন নিহত এবং বহু লোক আহত হয়েছিলো। ইরানের টেলিভিশন তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেছে, হামলার কৌশল এবং ব্যবহূত সরঞ্জামের সঙ্গে কয়েকটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা বিশেষ করে ইসরায়েলের মোসাদের কৌশল ও সরঞ্জামের মিল পাওয়া গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এ সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের ভাড়া করা গোয়েন্দাদের জড়িত থাকার নিদর্শন পাওয়া গেছে। ’ কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মার্ক টোনার তেহরানের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইরানের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ইরানের একজন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা জানান, মাসুদ মোহাম্মাদি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবে তাঁর হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে বিরোধী নেতা মীর হোসেন মৌসাভির সমর্থনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি তালিকা করা হয়। সেই তালিকায় মোহাম্মাদির নাম ছিল। (তবে অন্য সূত্রে বলা হয়েছে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাসুদ আলী মোহাম্মাদি ইরানের ইসলামী বিপ্লব ও ইসলামী শাসনব্যবস্থার কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন) সূত্রঃ - রেডিও তেহরান -প্রথম আলো

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.