নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বালিয়া গ্রামে এক প্রবীণ দম্পতি খুন হয়েছেন। তারা হলেন ঘোড়াশাল সার কারখানার সাবেক মাস্টার অপারেটর আরমান ভূইয়া (৭০) ও তার স্ত্রী সালমা বেগম (৫৫)। তালাবদ্ধ ঘর থেকে গতকাল ভোরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, সম্পত্তি দখলের জন্য তাদের হত্যা করা হতে পারে। ডিসি ওবায়দুল আজম, পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিনসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ও নিহতদের স্বজনরা জানান, আরমান ভূইয়া এক ছেলে ও চার মেয়ের জনক। ছেলে শহিদুল্লাহ ভূইয়া পর্তুগালের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। চার মেয়েরই বিয়ে হয়েছে। বালিয়া গ্রামের ওই বাড়িটিতে শুধু তারা বাস করতেন। সোমবার রাত থেকে তাদের মেয়ে শিল্পী বেগম মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দেন। পরদিনও কেউ ফোন না ধরায় এক আত্দীয়কে খোঁজ নিতে বলেন। কিন্তু বাড়িতে তালা লাগানো দেখা যায়। পরে জানালা দিয়ে বিছানা ও মেঝেতে তাদের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে দম্পতির মেয়েরা ছুটে আসেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। বালিয়া গ্রামে পাকা সড়কের পাশেই আরমান ভূইয়ার এক তলা বাড়ি। ভবনটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। আরমান ভূইয়ার চাচাতো ভাই আমান উল্লাহ ওরফে হিরণ বলেন, 'আরমান ভাইয়ের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেখান থেকে রক্ত ঝরেছে। আর ভাবীর গলায় লুঙ্গি পেঁচানো ছিল। ঘটনার পর থেকে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ। দুর্বৃত্তরা হত্যার পর দুটি মোবাইল ফোনসেট ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে।' নিহত সালমা বেগমের ভাই মুরাদ হোসেন ভূইয়া বলেন, 'কী কারণে কারা এভাবে নৃশংস হত্যা করল, বলতে পারছি না।' পলাশ থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, 'ঘটনার ধরন দেখে আমাদের ধারণা, হত্যাকারীরা নিহতদের পূর্ব পরিচিত। একদিন আগে পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করে বাইরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বৃদ্ধ দম্পতি একা থাকায় তাদের সম্পত্তির ওপর নিকটাত্দীয় অথবা পাশর্্ববর্তী লোকজনের নজর থাকতে পারে।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।