আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জঙ্গিরা থেমে নেই ,একের পর এক জঙ্গি গ্রেপ্তার

আমি আমার কাজ নিয়ে কখনো আত্মসন্তষ্টিতে থেমে যেতে চাইনা।

আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার বাংলাদেশী সদস্য আবদুল মোতালেব ওরফে মতু ওরফে মজনুকে (৪৪) গতকাল রোববার চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবি সূত্র জানায়, মোতালেব লস্কর-ই-তাইয়েবার একজন কমান্ডো। তিনি ছোট ও মাঝারী ধরনের অস্ত্র চালনা এবং গ্রেনেড উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক ব্যবহারের ওপর পাকিস্তানে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তিনি বাংলাদেশ থেকে লস্করের জন্য সদস্য সংগ্রহ করে পকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তানে জঙ্গি তত্পরতায় অংশ নিতে পাঠাতেন।

এরআগে গত ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে তিন সন্দেহভাজন জঙ্গি শহিদুল ইসলাম ওরফে সুজন, আল আমিন ওরফে সাইফুল ও মুফতি হারুন ইজহারকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে এরা কারাগারে আটক রয়েছেন। কিন্ত প্রতিদিন লস্কর-ই তৈয়বার সদস্য গ্রেপ্তার হচ্ছেন। যা আমাদের দেশের জন্য একটি অশনি সংকেত।

জঙ্গি সন্ত্রাসীরা বসে নেই। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের প্রসাশন যন্ত্র কতটুকু তত্পর। কোথায় আছি আমরা। একের পর এক বিদেশি জঙ্গি গ্রেপ্তার, জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে জঙ্গি তৎপরতার ভয়ঙ্কর তথ্য। এদিকে লস্কর-ই-তাইয়েবার নেতা আরেক পাকিস্তানি জঙ্গি আবু ইউসুফ ভাট ওরফে মাজেদ ভাট ওরফে আব্দুল মজিদকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল আরও তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এ দেশে জঙ্গি তত্পরতা এবং ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় ব্যবহূত গ্রেনেডে বিষয়ে গুরুত্বপুর্ন তথ্য দিয়েছেন। যেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহযোগীতায় এ দেশে জঙ্গি তত্পরতা চালাচ্ছে। মহানগর পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপিতে বলা হয়, ঢাকায় ভারতীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহে ইতিপূর্বে গ্রেপ্তার হওয়া লস্করের তিন পাকিস্তানী জঙ্গির কাছ থেকে মোতালেবের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। গতকাল আদালতে দেওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মোতালেব ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে ছিলেন। মুজাহিদ হিসেবে সেখানে যুদ্ধে অংশ নেন।

পরে দেশে ফিরে তিনি পাকিস্তান ভিত্তিক লস্কর-ই-তাইয়েবার সক্রিয় সদস্য ও সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশের ঢাকা ও রাজশাহী অঞ্চলে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। মোতালেব ঢাকায় পাকিস্তানের লস্কর-ই-তাইয়েবার সংগঠকদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি দেশী-বিদেশী সহযোগিদের নিয়ে ঢাকায় ভারতীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে এবং এসব দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেন। মাজেদ ভাট : মাজেদ কাশ্মীরের এখনকার সবচেয়ে বড় জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য। পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে তাঁর বাড়ি।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দিনের সহযোগিতায় এদেশে জঙ্গি তত্পরতা চালান। মাজেদ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলার জন্য তাজউদ্দিনের মাধ্যমে জঙ্গিদের গ্রেনেড সরবরাহ করেছেন বলে সিআইডি তথ্য পেয়েছে। এ ছাড়া মাজেদ পাকিস্তানি জঙ্গিদের এ দেশে আনা এবং তাঁদের ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাঠানোর ব্যবস্থা করতেন বলেও আদালতকে জানানো হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.