ফেসবুক আইডি:নাই
মানসিক প্রশান্তি প্রত্যেকেরই কাম্য। কিন্তু নানা কারণে সবাই সে প্রশান্তি লাভ করতে পারে না। মনোবিজ্ঞানীরা এজন্য মনের নানা অবস্থাকে দায়ী করে থাকেন। তবে সেখানেই তারা ক্ষান্ত থাকেন এমন নয়। বেশ কিছু পথও তারা বাতলিয়ে থাকেন।
যারা যথাযথভাবে সেসব পথ অনুসরণ করেন তারা ঠিকই কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছান। এ ক্ষেত্রে উঠতি বয়স একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে বিবেচনা করেন তারা। এ বয়সের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা সে পরিণত বয়সের সুখ-শান্তির আকর তাও তারা বলতে ভোলেনি। এ সম্পর্কে তাদের অভিমত, যেসব কিশোর-কিশোরী মাঝে-মধ্যে অবসাদগ্রস্ততায় ভোগে পরিণত বয়সে অর্থাৎ পরবর্তী জীবনে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় নিপতিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বড় ধরনের।
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি এবং নিউইয়র্ক স্টেট সাইকিয়াট্রিক ইনস্টিটিউটের একদল মনোবিজ্ঞানী ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সের ৭৫০ জন কিশোর-কিশোরীর ওপর সর্বপ্রথম সমীক্ষা চালান।
সে সময় তারা তাদের মানসিক অবস্থার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন। পরবর্তী পর্যায়ে ঐসব কিশোর-কিশোরীর বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে উপনীত হলে দ্বিতীয় দফা সমীক্ষা চালান হয়। তাতে দেখা গেছে প্রথম সমীক্ষায় যারা স্বল্পমাত্রায় মনোবৈকল্য তথা অবসাদগ্রস্ততায় ভোগা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিলেন দ্বিতীয় দফা সমীক্ষায় তাদের অধিকাংশই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভোগার পাশাপাশি চরম অবসাদগ্রস্ততায় দিনযাপন করছেন বলে স্বীকার করেছেন। আরো উপসর্গ হলো তাদের খাদ্য-পানীয় গ্রহণে চরম অনীহা।
ব্রিটিশ একটি জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কিশোর-কিশোরীদের ৮ শতাংশ প্রথম সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছিল যে, তারা মাঝে-মধ্যে অবসাদগ্রস্ততায় ভুগে থাকে।
অথচ দ্বিতীয় সাক্ষাৎকারে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে তাদের মনোবৈকল্য তথা অবসাদগ্রস্ততায় ভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে চারগুণেরও বেশি। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কৈশোর বয়সে মানসিক অসুস্থতা মোটেই হেলাফেলার নয়। তাই প্রয়োজনে এ ব্যাপারে শুরুর দিকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
ব্লগের মনোবৈকল্যে ভুগা সবাইকে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।