আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নগরীতে একদিন



রাস্তার নাম বলতে পারবো না। কারণ ঢাকায় রাস্তার নাম ঠিক যারা খোদ ঢাকাইয়া তারাও মনে হয় বলতে পারবে না। এখানে রোডের নাম কেউ খুব একটা নেয় না। বলে জায়গার নাম। একটা ছোট্ট গলি ভিতরে ঢুকলাম।

গলির পাশেই ছোট্ট একটি ড্রেন। দুর থেকে দেখতে পেলাম একটি ছোট ছেলে গলিটির এক সাইড দিয়ে হেটে আসছে। বলা নেই কওয়া নেই উপর থেকে একটি ময়লার বস্তা ছেলেটি মাথায় এসে পড়লো। আর সাথে সাথে ছেলেটি ঐ ড্রেনে পড়ে গেল। তড়িঘড়ি করে তাকে তুলে নিয়ে আসলাম।

সারা গায়ে ড্রেনের ময়লায় ভরে গেছে। ডেনটা ছোট ছিল বলে ছেলের ভেসে যায় নি। মাথা ফেটে গেছে ছেলেটার। কি জানি ময়লার প্যাকেটে কি ছিল। কোন রকমে তাকে কয়েকজন মিলে ধরে একটি ফার্মেসিতে নিয়ে গেলোম।

মাথা পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ বেধে দিলাম। খুব কান্নাকাটি করছিল ছেলেটা। কান্না একেবারে সহ্য করতে পারছিলাম না। নগরীতে এধরনের কাজ যারা করেন তাদের কি কোন দিন একটুও কান্ডজ্ঞান হবে না। ময়লা নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন ময়লার গাড়ি আসে বাড়িতে বাড়িতে।

তবুও ময়লা দিক তাদের জানলা দিয়ে ফেলতে হবে। এতো উচু উচু বিল্ডিং তারা কি মনে করে যে নিচে কেউ নেই। মানুষ মনে করে না তাদেরকে। হায়রে নগরীর পরিবেশ কোথায় গেছে। তো যাই হোক আরো দু-একজন ছিল তারা কিছু কিছু করে টাকা দিয়ে ফার্মেসীর খরচটা দিয়ে দিলাম।

এখন কে যাবে ঐ যারা ময়লা ফেলেছে তার কাছে যেয়ে ক্ষতিপূরণ আনতে। ছেলেটা গরিব। আমি পকেট থেকে পঞ্চাশ টাকা বের করে দিয়ে দিলাম। আরো দু-একজন দশ টাকা কুড়ি টাকা দিয়েছিল। শেষে ছেলেটাকে আমি বাসায় দিয়ে আসলাম।

তার মার সে কি কান্না। এদের সান্তনা দিতে আমিও কয়েকবার চেষ্টা করলাম। আর মনে মনে ওদের তিরষ্কার করতে করতে ফিরে আসলাম। এছাড়া কি বা করার আছে আমার? আপনারাই বলুন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.