ধোবাউড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন সেলিম মৃধা নিহত হওয়ার সাড়ে ৪২ ঘণ্টা পর গতকাল ১০টায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার তিন দিন অতিক্রম হলেও এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সোমবার ৬ জনকে আটক করা হলেও নতুন করে আর কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে উপজেলায় গতকালও ৫ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ গতকাল ধর্মঘট প্রত্যাহার এবং প্রশাসন ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করায় ধোবাউড়ায় জীবন যাত্রা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
জানা গেছে, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন এমপি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে আওয়ামী লীগ তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে। তবে তিন দিনের শোক কর্মসূচি চলছে।
শোক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কালো ব্যাচ ধারণ, দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং দলীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা। নিহত সেলিম মৃধার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া শিল্পী (৩২) বলেন, কলসিন্দুর বাজারে আজিজুল, শহীদ, মাজেদুল ও আনোয়ারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পুলিশের সামনেই আমার স্বামীকে খুন করেছে। ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ হক জানান, আজিজুলসহ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, রবিবার বিকালে ধোবাউড়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মৃধা ওরফে পাহাড়ি সেলিম নিহত হন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।