আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ষড়যন্ত্রের আবর্তে নিপতিত উচ্চশিক্ষা

মনুষ্যত্ব, মানিবকতা এবং ভালোবাসা

প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির দ্বন্দে দোদুল্যমান স্বাথান্বেষী মহল সব সময়ই প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির হিসেব করে। ফলাফলে যদি তারা দেখে প্রপ্তির দ্বারা তাদের প্রত্যাশার অপমৃত্যু ঘটেছে, ঠিক তখনই তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হীন চক্রান্ত শুরু করে। এরই সত্যতা আরো একবার প্রমাণ করলেন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের কর্ণধার, মানুষ গড়ার কারিগর, জাতির জাগ্রত বিবেক বলে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট্ট একদল চক্রান্তকারী শিক্ষক। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের প্রত্যাশা তারা হবে সকল দিক থেকে বিচ্ছিন্ন একদল ধর্মযাজক। যারা ইহজগত নয় শুধু পারজাগতিক বিষয়ে পারদর্শিতা দেখাবে।

কিন্তু তারা যখন দেখতে পাচ্ছেন মাদরাসা শিক্ষার্থীরা সকল দিক থেকেই সব্যসাচী; তখনই শুরু করেছেন মাদরাসা শিক্ষার্র্থীদের অগ্রযাত্রা রোধের নষ্ট ষড়যন্ত্র। এরই ধারাবাহিকতায় এবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আটটি বিভাগে মাদরাসা শিক্ষার্থী ভর্তি ঠেকাতে এমন শর্তারোপ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে যখন এই শিক্ষকরাই কথা বলেন, তখন তদের মুখেই শোনা যায়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন এক ভর্তি পদ্ধতি বিদ্যমান যার দ্বারা প্রকৃত মেধাবীদেরকেই সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে সুযোগ দেওয়া হয়। ” তাদের দাবীর স্বীকৃতি দিয়ে আমরা বলছি, ভর্তি পরীক্ষার দ্বারাই প্রকৃত মেধাবীদের খুজে বের করা সম্ভব। এখানে সবার অবগতির জন্য বলে রাখছি,গত ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের ‘খ’ ইউনিটের মেধা তালিকার প্রথম ১০ জনের ৪ জন এবং ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের একই ইউনিটের মেধা তালিকার প্রথম ১০ জনের ৩ জন এবং ‘ঘ’ ইউনিটের প্রথম ৩ জনের ২ জনই মাদরাসা শিক্ষার্থী।

এখন এই শীর্ষ ২৩ জনের ৯ জনকে যদি প্রকৃত মেধাবী না বলি তবে তাদেরকে তো বটেই বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিকেই অবজ্ঞা করা হয়। আবার যদি মেধাবী বলে স্বীকৃতি দেই এবং তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করি তবে অধিকার হরণকারী হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী হতে হয়। আমাদের সচেতন শিক্ষকবৃন্দ অতিশয় চাতুর্যে তাদের পরীক্ষা পদ্ধতিকে সর্বোত্তম বলে আখ্যা দিচ্ছেন। আবার পাশাপাশি এমন এক অবৈধ পদ্ধতির আশ্রয় নিচ্ছেন যার দ্বারা তাদের বিপরীত মতাদর্শের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের যোগত্যা সত্ত্বেও সহজেই বাদ দেওয়া যায়। প্রতিহিংসা পরায়ন শিক্ষকবৃন্দ ভর্তি পরীক্ষায় সফলতার স্বাক্ষরস্থাপনকারী মাদরাসা শিক্ষর্থীদের মেধাহীন না বলে মেধাবী বলতে বাধ্য হচ্ছেন আবার সেই মেধাবীদের সুকৌশলে বঞ্চিত করতে অনৈতিক, অবৈধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন।

ঐ যে গ্রাম বাংলার সেই বিখ্যাত প্রবাদ “বিচার মানি কিন্তু তালগাছটা আমার” এই আরকি ? সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ একবার ভেবে দেখবেন কি?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.