মঙ্গলবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের সামনে খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলনে জিমি বলেন, “আমরা মোহামেডানে খেলছি বলে আমাদের এই শাস্তি দেয়া হয়েছে। এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। ফেডারেশনের কাছে আমরা সুবিচার পাইনি। তাই আইনের আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ”
“আমি জাতীয় দলে খেলার সময় কোনো অন্যায় করলে আমাকে ঘরোয়া হকিতে কেন নিষিদ্ধ করা হবে? আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।
”
শাস্তি পাওয়া আরেক খেলোয়াড় জাহিদ হোসেন বলেন, “আমরা যারা দলবদলের পক্ষে সোচ্চার তাদেরকেই শুধু ফেডারেশন শাস্তি দিয়েছে। জাতীয় দল খারাপ খেললে শুধু চারজন দায়ী হবে কেন? দলের বাকি সদস্যদের কেন শাস্তি দেয়া হলো না?”
জিমি, জাহিদ, ইমরান হাসান পিন্টু ও কামরুজ্জামান রানার শাস্তির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হকি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স বলেন, “আমরা মনে করি মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের এই শাস্তি দেয়া হয়েছে। এটা একটা সুদুরপ্রসারী চক্রান্ত। ”
“আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করে ফেডারেশন কখনো সুষ্ঠুভাবে চলতে পারবে না। এতে ফেডারেশনেরই ক্ষতি হবে। আমরা এ ব্যাপারে ফেডারেশন সভাপতির হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ”
হকি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি কোষাধ্যক্ষ তাবিব এ নূর বলেন, “একের পর এক খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করে ফেডারেশনকে ধ্বংসের কিনারে নিয়ে যাচ্ছেন চার কর্মকর্তা। এই চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত চার জন হলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ, যুগ্ম-সম্পাদক ইউসুফ আলী এবং দুই সদস্য মামুনুর রশিদ ও মাহবুব এহসান রানা।
”
“আমরা মনে করি খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের জন্য গঠিত কমিটি বিতর্কিত ছিল। এই কমিটির সদস্যদের মধ্যে নিরপেক্ষতার অভাব ছিল। তাই সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। ”
এশিয়া কাপে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জিমি, জাহিদ ও পিন্টুকে জাতীয় দলে তিন এবং ঘরোয়া হকিতে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রানার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ জাতীয় দলে দুই এবং ঘরোয়া হকিতে এক বছর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।