সিড়ি তে জোড়ে হাটা টা একদম বাজে অভ্যাস । বাচ্চারা দৌড়ে নামে আর আমার ভয় লাগে কখন কে পরে যায় । প্রায় মাঝে মাঝে কেউ না কেউ পরে যায় ।
সেদিন সিড়ির গাছে পানি দেওয়া হচ্ছিলো তাই দরজা টা আধ খোলা , হঠাৎ ধুসুম , পরে গেছে কেউ ? উকি দিয়ে দেখি বাড়িওলার ছেলে । উলটে পরে আছে ।
পানিতে আছাড় খেয়েছে । পা কেটে করে রক্ত বের হচ্ছে এটা দেখে বুদ্ধুরাম মা কে ডাকা শুরু করলো ।
দৌড়ে ডেটল এনে দিলাম । তারপর শান্ত হলো । বললাম এত তাড়া কেনও ? অসহায় ভাবে বলল ক্লাস আছে,পরে যাবার কথা টা কাউকে বলোনা প্লিজ ।
। কাদামাখা অবস্হায় বের হয়ে গেলো ।
সকাল সকাল ঘটনা টা । হাসতে হাসতে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত ব্যাপার । যদিও তেমন কিছুই না ,।
নিজের উপর রাগ উঠল । একজনের অসহায়ত্ব কি হাসার পুজি ?
কদিন পর সন্ধ্যায় বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছি । সিড়ির মুখে কটা ছেলে দাড়িয়ে বিড়ি ফুকছে । সরে দাড়াছে না , আমারও যাবার পথ হচ্ছে না । বুদ্ধুরাম ও দেখি আছে দাড়িয়ে ওদের সাথে ।
তাহলে তো আমার কাছে একটা সাহস আছে । তাকানোর সাহস ছিলো না বললাম ভেতরে যাবো , পাশ কাটিয়ে যেতেই ওরা বলল ঘরে চুড়ি পরে বসে থাকো ,আমারা ........... । বাকি কথাগুলো কানে এলো না । উপরে চলে এসেছি ।
চোখে পানি চলে আসলো ।
ও সব নোংরা ছেলেদের কথা শুনে না,এরা তো আমাকে চেনে না । কিন্তু বুদ্ধুরাম তুমি তো চিনতে ,তুমি কেন বলতে দিলে ,কেন কিছু বললে না । একদিন এই সিড়িতে কি আমি তোমাকে টেনে তুলিনি ? অথচ তুমি .................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।