আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি সুন্দর ভালোবাসা - ২ (পূর্ণদৈর্ঘ্য রোমান্টিক বাংলা ছায়াছবি)

"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার

৭ রমজান তার মামা সোবাহান সাহেব (রেটিং) কে নিয়ে মেয়ে দেখতে এসেছেন। রমজান ছেলেটা দেখতে ভাল বিষুর খুব পছন্দ। গলায় ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, এক হাতে লাল সুতা বাধা অন্য হাতে স্বর্ণের ব্রেসলেট। পান চিবাতে থাকে সবসময়, পরে এসেছে জাম্প কেডস...জিন্সের প্যান্ট, বেগুনী রঙের ফতুয়া সোবাহান সাহেব মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক। সোবাহান সাহেব: দয়া করে জলদি আম্মাজানকে নিয়ে আসুন... বিষু: ও রেডি হয়ে আসছে।

রমজান: কোন মেকাপ টেকাপ লাগবে না বিষু অপ্রস্তুত হল ছেলের কথা শুনে। সে কি কথা বলবে খুজে পাচ্ছিল না। সোবাহান সাহেব: জানো বাবা এই ছেলেটার মত ছেলে হয় না....তুমি ১০টা মেয়ের মধ্যে ওকে বসিয়ে দিবে...টু শব্দ করবে না...মাথা নিচু করে বসে থাকবে.... বিষু কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল কিন্তু রমজান তার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিল। রমজান: এমন কি আমি রাস্তা দিয়েও মেয়ে দেখলে তাকাই না। বিষু এবার একটু বিরক্তই হল।

সে বেলি কতদূর রেডি হল দেখতে গেল। ৮ রমজানদের নাস্তা দিতে আসলো বেলির কাজিন জেবিন। জেবিন মেয়েটা অল্পবয়সী ঘরে ঢুকেই একটু অস্বস্তিতে পড়ল...সে প্রায় পড়ে যেতে গেল ...ধাক্কা খেল সোকেসের সাথে। রমজান: ইশশ!! রমজান হাত ধরতে গেল জেবিনের....জেবিন বলল, না ঠিক আছে আপনার আর কষ্ট করতে হবে না রমজান: এস কিউজ মি!! আপনি কি ষোড়শী? জেবিন: মানে?!! রমজান মোচড়াতে মোচড়াতে গাইতে লাগলো: লাগি রে লাগি তেরা ষোলা উমার মেরা দিল হুয়া ঘায়েল..... জেবিন রেগে হনহন করে চলে গেল। এতক্ষণ রমজানের নির্লজ্জের মত আচরণ তার মামা সোবাহান সাহেব চুপচাপ দেখছিলেন না কারণ তিনি খাচ্ছিলেন এবং খেয়েই যাচ্ছিলেন।

ভাগ্নে যে যা তা করছে তা তে তার খেয়াল নেই। ৯ জেবিন রেগে বেলী আর আইরিনকে বলছিল রমজানের অসভ্যতার কথা। ওরা সব শুনে বলল: লুল কোথাকার!! বিষু পাশ থেকে ওদের কথা শুনল। ওদিকে রমজান ঘরের মধ্যে পায়চারি করতে করতে উকি মেরে ভেতরে মেয়েদের দেখার চেষ্টা করছিলো। বিষু ঘরে ঢুকে দেখলো রমজানের গলাটা ভেতরের ঘরের দিকে.... পর্দা সরিয়ে দেখছে বিষুকে দেখে রমজান বলল, এক গ্লাস পানি হবে? বিষু: হ্যা কেন নয়?! ওই তো তোমাকে পানি দেয়া হয়েছে...টেবিলে (চিপে চিপে বলল) রমজান: না মানে ওই পানিটাতে পোকা পড়েছে বিষু পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে দেখলো কিছুই নেই....সে বলল: কোথায় পোকা? রমজান পান খাওয়া লাল দাত বের করে বলল: না আমি পোকাটা ফেলে দিছি বিষু হঠাৎ হুঙ্কার দিয়ে বলল: এক্ষুনি বের হও আমার বাড়ি থেকে রমজানের হাত ধরে টেনে বের করে দিতে গেল বিষু... রমজান: করেন কি!! আপনি না ভদ্রলোক... ভদ্রলোক ভেবেই তো আপনাদের এখানে এসেছিলাম বিষু: কোন কথা না....এ্যাই ছেলে তুমি বের হও....এই যে মামা না কি হন!!..বের হন।

সোবাহান একটা মিষ্টি মুখে পুরতে পুরতে বললেন: চা টা শেষ করে যাই। বিষু এবার রমজানের নির্মমভাবে কান টেনে ধরলেন এবং সোবাহান সাহেবের হাত ধরে টানতে টানতে বের করে দিলেন। রমজান কোনরকমভাবে কানটা ছাড়িয়ে বিষুর শার্টের কলার চেপে ধরে বলল: কত্ত বড় সাহস তোর!! বের করে দিচ্ছিস!! তোর বুনকে আজকে বিয়া না করে যাবো না!! কি করবি!! (বিষুকে দেয়ালের সাথে ধাক্কা মারল) আইরিন জেবিন আর বেলি বের হয়ে আসলো। আইরিন তার পায়ের জুতা খুলে রমজানকে পেটাতে লাগলো কিন্তু রমজান কোন পাল্টা জবাব দিল না কারণ রমজান মনে করে যারা মেয়েদের গায়ে হাত তোলে তারা কাপুরুষ। রমজান গলাবাজি করতে করতে চলে গেল: বিষু তোরা কাজটা ভাল করলি না!! তোদের ১৪ গুষ্টিরে দেইখ্যা নিমু।

১০ বেলির খালা তানজু বেগম (তানজু রাহমান) ফোন করেছেন। তানজু বেগম: হ্যা কি খবর রে বিষু? বিষু: আর বলেন না!! একেবারে যাচ্ছেতাই একটা ছেলে...অন্য ছেলে দেখুন খালা। তানজু বেগম: ক্যানো রে কি হয়েছে? বিষু: না মানে... তানজু বেগম: বলবি তো!! বিষু: ছেলেটা কেমন ফোর টুয়েন্টি আর লুল লুল!! ধানাই পানাই বুঝলেন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.