আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায়েনা আমাদেরই ভাই, হ্যায় না?

আমার ভিতর তুমি থাকো আমি কোথায় রই, আমি না থাকিলে তোমার থাকার জায়গা কই?

যদি দলে দুজনের মধ্যে ঝামেলা লাগে, তবে ক্ষমতার লাইনে একটু যে এগিয়ে, তাকেই সাপোর্ট করবো। ক্ষমতাবানের সাথে যে ক্যাচাল করতে যাবে, তাকেই যে শুধু কড়কাবো, তা না, সবাই মিলে তার গুষ্ঠির অন্যদের পিছনে লাগব; এসবতো চলে জানতাম আমাদের গনতন্ত্রে। হায়েনাতন্ত্রেও এসব! আফ্রিকার ছোপওয়ালা হায়েনারা বেশ বড় যৌথ পরিবার ভিত্তিক সমাজে বাস করে। দল বেঁধে শিকার, বাসায় অপেক্ষারত বাচ্চাদের কিংবা তাদের পাহারায় থাকা মা-খালাদের জন্য শিকার করা মাংসের টুকরো আধ-গেলা অবস্থায় নিয়ে আসা, দলের সীমানার মধ্যে অন্য দলের কেউ ঢুকে পড়লে সবাই মিলে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে তাড়ানো; এ সব ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে তাদের ভারী ভাব। দলে মাতব্বরী করে মেয়ে হায়েনারাই, সর্বোচ্চ পদেও কোনো ভাইয়া নয়, আপু।

তবে, মহিলা-পুরুষ সব সদস্যেরই চেষ্টা থাকে ক্ষমতার সিঁড়ি বেয়ে আরেকটু উপরে উঠার। এই নিয়ে দলের সদস্যদের মধ্যে কোন্দল, ঘোট পাকানো, কামড়া-কামড়ি লেগেই থাকে। অ্যান এঙ্গ এবং তার সহ-বিজ্ঞানীরা বিশদ পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, দুটি হায়েনার মধ্যে ঝগড়া লাগলে আশেপাশে থাকা অন্য দলের সদস্যরা নির্লজ্জভাবে দুজনের মধ্যে ক্ষমতার সিঁড়িতে যে একটু উঁচু ধাপে আছে তাকেই মদদ দেয়। যারা ঝগড়া করছে তারা যদি দুজনের মদতদেনেওয়লাদের থেকে একটু নিচু তলার সদস্য হয়, সে ক্ষেত্রেও মদতদানের ধরন বদলায়না। শুধু তাই নয়! এরকম ঝগড়া মিটে যাওয়ার পরও দেখা যায় দলের অন্য সদস্যেরা প্রতিদ্বন্দ্বী দুজনের মধ্যে যেটি নিচু তলার, তার নিকটাত্মীয়দের ওপর বেছে বেছে হামলা চালাচ্ছে।

আমাদের গনতন্ত্রে হায়েনাদের প্রতিচ্ছায়া অনেক আগেই ফূটে উঠেছে। দলীয় রাজনীতিতে নীতি নয়, ক্ষমতাই যে সব, হায়েনা সমাজের আয়নায় সেটা ভালোভাবেই ফুটে উঠে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.