৬.
A rolling stone gather's no moss
অতি পরিচিতরা অতিদুর চলে গ্যালে বুঝি জোনাক হয়ে যায়,
নিভুনিভু ফ্ল্যাশব্যাক-আমাদের স্মৃতিচারনকে
যদি কোনো শল্য চিকিৎসক ব্যবচ্ছেদ করতো
তবে সেখানে সে নিশ্চিতভাবেই প্রয়োজনবোধের সাথে সুসম্পর্কিত
কিছু পাগলামি ছাড়া গবেষণার কোনো বিষয় পেতোনা।
এদিকে আমি তাই আমাদের প্রয়োজনের সমস্ত আলোকিত
দেয়ালে সজোরে লাথি মেরে একইসাথে ধ্বংস ও মেরামত
করি ঘনিস্ঠতার কাঠগড়া।
সেই কাঠগড়া থেকে যারা পলায়ন করে অতিদুর চলে যেতে
পেরেছে বলে মনে করে-
তারা আসলে দূর থেকে আমার নিভুনিভু রুপ দেখেও
নিজস্ব দৃস্টিবিভ্রম ভেবেছিলো,যা কিনা "রজ্জু'তে সর্পভ্রম"এর সমার্থক!
অনতিদুরে জোনাকভবন আমার বিমোহিত হবার অপেক্ষায় থাকেনি,মোটেও।
৭.
সন্ধ্যার দিকে যে সব জেলেদের দেখেছিলাম
সমুদ্রজলে করছিলো স্নান-তারা বুঝি
অস্টাঙ্গে মেখেছিলো সামুদ্রিক ফসফরাস,
অনাগত অন্ধকারে সবুজাভ আর উজ্জল প্রতিরুপ পাবার জন্যেই শুধু,আর কিছু নয়?
আর বেশ খানিকটা পরে যখন সুর্যাস্তের ইশারায়
জেলেরা করলো ভুমিত্যাগ-
তখন
বহুদুরের অন্ধকারাচ্ছন্ন তীরে দাড়ানো সকলের কাছে নৌকাটি
মনে হয়েছিলো একটি নিভুনিভু জোনাক,
পৃথিবীর বয়ামে,ঢেউয়ে দুলছে।
৮.
কোন বয়ামে বলো বন্দী আছি আমরা?
আমাদেরই নিজস্ব অভিলাষী বন্দীত্ব,একান্তে।
নিজের দেহপ্রাঙ্গনে নিজের মধ্যেও বিভেদ!কোথায় যেন এক কাঁচের দেয়াল!
তুমিও কি খেয়াল করনি এইসব?
আর এইসব দৃশ্য পৃথিবীর বাইরে যারা থেকে দেখে চলছে প্রতিদিন
তাদের অভিলাষ নিয়ে সন্দেহ আছে আমার,
তারা কি আমাদের দুরসম্পর্কের চিন্তার ফসল নয়,
আনমনে তাদেরকে আমরা আগন্তুক বলে ফেলি,ঢোক গিলে ফেলি সাতপাঁচ ভেবে।
একবার আমি আকাশে তাকাই,
চন্দ্র,সুর্য,তারকমালা
এদের সকলকেই আমার মনে হয় প্রকৃত জোনাক।
যারা কিনা নিজস্ব সঙ্গম স্পৃহা চরিতার্থ করতেই
যেন নিভছে সারাদিন,জ্বলছে সারারাত(সুর্য ব্যাতীত)।
হয়তো এদেরই কোন মহাধংসের প্রজননের গাদাগাদা
স্তুপ থেকে আমাদের বিস্তারণ।
(ইচ্ছে হলে আগের লেখাগুলো পড়তে পারেন,না-ও পারেন)
জোনাক ধরার কাচের বয়াম ১,২
জোনাক ধরার কাচের বয়াম ৩,৪
জোনাক ধরার কাচের বয়াম ৫
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।