আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি পিটিশন …...... ।

আজ যদি আমরা বসে থাকি তাহলে এটি হবে আমাদের অনলাইন এক্টিভিজম এর নামে সবচেয়ে বড় দেউলিয়াপনা। অসংখ্য বার অসংখ্য বিষয় নিয়ে লিখেছি ব্লা ব্লা ব্লা তবে আজ যদি আমাদের কলম আর কি-বোর্ডে এই রকম একটি ন্যাক্কারজনক অধ্যায়ের বিরুদ্ধে যদি দল মত নির্বিশেষে প্রতিবাদি লিখার ঝর না উঠে তাহলে মনে হয় আমাদের অনলাইন রেভ্যুলেশন আনয়নের এই প্রচেষ্টা এক রকম ব্যর্থ প্রমানিত হবে। আমাদের দেশের পুলিশকে মার খেতে হচ্ছে কিছু বিপদ্গামি যুবকের হাতে রাস্তার উপর। ঘটনাটি যদিও এইবারই প্রথম নয় তবে এটি সবচাইতে বড় রুপে এবং পরিকল্পিত বলে মনে হয়েছে , যেখানে আগের গুলিতে তাদের আত্মরক্ষা বা ওউন সেফটির কিছুটা অবস্থান মনে হয়েছে তবে এবার আর সেই অবকাশ নেই বরং মনে হচ্ছিল এটি “ক্লিন পুলিশ মিশন” । আর সেই লক্ষে তারা এইবার গুলি ছুরে।

১৫ -১৭ রাউন্ড আবার কোথাও সেটি ২০- ২৫ । এই পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনী বলেছি যখন তারা আক্রমন করেছে শিক্ষক আর সাংবাদিকদের ,এদেরকে বলেছি আওয়ামি কর্মী যখন আক্রমন করেছে বিরোধীদলের চিফ হুইফ কে। কিন্তু তারাত প্রতিঘাতে পুলিশকে আক্রমন করেনি। পুলিশের বিরুদ্ধে মাঠে নামেনি কিংবা পুলিশের উপর গুলি করার মতন স্পর্ধা দেখায় নি। যেখানে আমি বলব সেটা সেই মুহূর্তে করা তাদের জন্য সঙ্গত এবং যৌক্তিক ছিল।

কিন্তু আজ সারা জাতি যখন একটি বিচার এর জন্য গর্বিত তখন সেই জামায়াত ই ইসলাম আবার আগের রুপে ফিরে আসলো । আজকের এই রুপই ছিল তার একাত্তুরের রুপ। তারা আজ নিজেরা না পেরে লেলিয়ে দিয়েছে আমাদেরই কিছু ভাই এবং সন্তানদের যাদেরকে আমরা শিবির বলে জানি। যদিও আমার এক প্রকার সিম্পেথি কাজ করে শিবিরের প্রতি কেননা আমি দেখেছি এদেরকে কিভাবে “ ব্রেইন ওয়াস” করা হয় এবং এর পর যে তারা ভাল মন্দ বোঝার জ্ঞ্যানটুকুও হারিয়ে ফেলে। শেষ পর্যন্ত যতটুকু জানলাম ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

আমাদের সবার মানবাধিকার আছে তাহলে কি পুলিশের নাই। পুলিশ কি গুলি খাবে শুধু দাড়িয়ে দাড়িয়ে ? আসলে পুলিশও ভীত এরুপ আক্রমনে কেননা এরকমতো আগে কখনো হয়নি । এরকমতো আগে সম্ভবও ছিল না। তবে আজ কেন এরুপ দেখা যাচ্ছে। তবে কি আমরা খারাপ কিছুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

এই ধারনা আসলে অমুলক নয় তবে যদি তাই হয় তাহলে আশা করব আরও শক্ত স্টেপ নিবে সরকার। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সাহায্য নেয়া যেতে পারে এবং এই মুহূর্তে পরিচালনা করা যেতে পারে চিরুনি অভিযান এদের ধরার জন্য । তবে যেটি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল একটি জামাত কর্মীও যেন না বাচে তবে আবার অন্যদিকে একজন নিরপরাধ মানুষও যাতে হজামাত হিসেবে আটক না হয়। কিন্তু এরা আমাদের পুলিশ পেটাবে রাস্তায় সেটি মানতে পারছি না কোন ভাবেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.