কী হলো তারপর- জানবার উপায় নেই- এ জীবনে।
নটেগাছটি মুড়িয়ে গেলেই গল্প ফুরিয়ে যায় না।
কত রকম কৌতূহলই যে জেগে ওঠে মানুষের মনে,
অনেকই ভাবে, কোনো লাভ নেই অরণ্যে রোদনে।
অনেকেই ভাবে, মুকুটে গুঁজতে হবে আরো পালক
অনেকেই ভাবে, কফিনে ঠুকে দিতে হবে আরো পেরেক
অথচ গাছের ছায়া গুটিয়ে গেলেও কোনো কোনো লোক
স্বপ্নের ভেতরে মাছের অধিক দক্ষতায় সাঁতরাতে থাকে।
বলি, অরণ্যে রোদন করে দেখো কত শান্তি লাগে
এ-কথা জেনেছি আমি মাত্র বছর-দুয়েক আগে
দুর্ভাগ্য যাচ্ছিল দূরপথে- দেখে আমি তীব্র অনুরাগে
তাকে ডাকি, এসে ফের চলে যায়, পেয়ারাবাগে।
জীবন ছোট বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাতাসটাকে ভারী
করে দিয়ো না তো! কতটুকু কষ্টই বা আমরা বইতে পারি?
বেঁচে থেকে থেকে মৃত্যুর অপেক্ষা ভালো- বলতে পারো?
সমান্য ডোবার জলে ডুবে মরে দক্ষ ডুবুরি।
আর সেইসব সাত কাহন জেনে কী এমন লাভ হবে,
তুমি মেঘলা আকাশের নিচে হাঁটতে হাঁটতে কবে
দৃশ্যের ধারাবর্ণনা দিয়ে গেছো, আমি অনুভবে
মর্মান্তিক শিহরণ বইতে গিয়ে ঝাপসা হয়ে তবে
স্বস্তি পেয়েছি। না, স্বস্তি নয়। তারপর আর কিছু আমি
জানতে পারিনি, যাদের অনেক পাগলামি-
অনেক সাহস- তারা শুধু পারে, আমি শুধু নামি
অবচেতনার চেয়ে নিচে গাঢ় বাদামি
দুঃখগুলো মনে পড়ে, যেন মালা থেকে খসে পড়া পুতি
সুখগুলো মনে পড়ে, যেন শৈশবের অচেনা পারাবত
দিনগুলো যেন জল_ চোখ থেকে তোমার থুতনিতে
রাত্রির ভেতরে কত রাত, ধারাপাত- তোমার ইঙ্গিতে।
কী হলো তারপর- জানবার উপায় নেই- এ জীবনে।
আমি তাই কাঁদি- কেঁদে ফিরি- চন্দনের ঘ্রাণে-
স্বস্তি নেই, চাইও না, লিখেছি একটি নাম নুনে
আষাঢ় বা ভাদ্র এলে বহু যুগের ওপার তা জানে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।